কামাল হোসেন, কয়রা
কয়রা উপজেলায় বোরো ধানখেতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ আক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো কাজে আসছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষি।
কৃষকের এ বিপদে কৃষি বিভাগ পাশে নেই বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। সরেজমিন উপজেলার জদুর বিল, হেতালখালির বিল, আবাদের বিল ও মধ্য মহারাজপুর বিলে দেখা গেছে, সবে ধানের শিষ বের হতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে সাদা লম্বা লেদার মতো এক ধরনের পোকা ওই ধানের শিষগুলো ছিদ্র করে ফেলছে। ফলে ওই ছড়িতে আর ধান না হয়ে শুকিয়ে সাদা (চিটা) হয়ে যাচ্ছে। ওই পোকার আক্রমণ থেকে কৃষকের কষ্টের বোরো ধান রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
পোকার আক্রমণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বেশির ভাগ কৃষক। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ-ছয় মণ করে ধান কম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার জদুর বিল এলাকার কৃষক সলেমান সরদার বলেন, বোরো রোপণের পর ২০-২৫ দিন পর্যন্ত কোনো পোকা আক্রমণ করেনি। হঠাৎ করে খেতে ব্যাপকভাবে পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেছি। এরপরও ছড়ায় ধানের শিষ বের হওয়ার পর আবারও পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
একই এলাকার কৃষক আবুল সরদার ও কামরুল ঢালি বলেন, এ বছর বোরো ধানের বীজ খুবই ভালো ছিল। কিন্তু পোকা সব শেষ করে দিচ্ছে। ধানের শিষ কেটে দিয়েছে। তাই আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে এ বছর ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪ ৯০ হেক্টরে হাইব্রিড ও ১ হাজার ৩৬০ হেক্টরে উচ্চফলনশীল (উফশি) বীজ আবাদ করা হয়েছে।
এদিকে কৃষকদের বোরো আবাদ বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে ১ হাজার ৫০০ কৃষককে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়রা উপজেলার বিভিন্ন বোরোখেতে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
তা ছাড়া কৃষক ভাইয়েরা বেশি ফলনের আশায় কৃষি বিভাগের অনুমোদনহীন বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করে থাকেন। সেই জাতগুলো নতুন ধরনের মাজরা পোকা ও রোগবালাই বহন করে আক্রান্ত হয়। একই মাঠে বা পাশাপাশি জমিতে সেসব জাতের ধান চাষ করার কারণে পোকা ও রোগবালাই অনুমোদিত জাতের ধানেও ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কৃষক ভাইদের বারবার পরামর্শ দেওয়া হলেও তাঁরা মানেন না।
কয়রা উপজেলায় বোরো ধানখেতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ আক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো কাজে আসছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষি।
কৃষকের এ বিপদে কৃষি বিভাগ পাশে নেই বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। সরেজমিন উপজেলার জদুর বিল, হেতালখালির বিল, আবাদের বিল ও মধ্য মহারাজপুর বিলে দেখা গেছে, সবে ধানের শিষ বের হতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে সাদা লম্বা লেদার মতো এক ধরনের পোকা ওই ধানের শিষগুলো ছিদ্র করে ফেলছে। ফলে ওই ছড়িতে আর ধান না হয়ে শুকিয়ে সাদা (চিটা) হয়ে যাচ্ছে। ওই পোকার আক্রমণ থেকে কৃষকের কষ্টের বোরো ধান রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
পোকার আক্রমণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বেশির ভাগ কৃষক। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ-ছয় মণ করে ধান কম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার জদুর বিল এলাকার কৃষক সলেমান সরদার বলেন, বোরো রোপণের পর ২০-২৫ দিন পর্যন্ত কোনো পোকা আক্রমণ করেনি। হঠাৎ করে খেতে ব্যাপকভাবে পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেছি। এরপরও ছড়ায় ধানের শিষ বের হওয়ার পর আবারও পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
একই এলাকার কৃষক আবুল সরদার ও কামরুল ঢালি বলেন, এ বছর বোরো ধানের বীজ খুবই ভালো ছিল। কিন্তু পোকা সব শেষ করে দিচ্ছে। ধানের শিষ কেটে দিয়েছে। তাই আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে এ বছর ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪ ৯০ হেক্টরে হাইব্রিড ও ১ হাজার ৩৬০ হেক্টরে উচ্চফলনশীল (উফশি) বীজ আবাদ করা হয়েছে।
এদিকে কৃষকদের বোরো আবাদ বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে ১ হাজার ৫০০ কৃষককে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়রা উপজেলার বিভিন্ন বোরোখেতে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
তা ছাড়া কৃষক ভাইয়েরা বেশি ফলনের আশায় কৃষি বিভাগের অনুমোদনহীন বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করে থাকেন। সেই জাতগুলো নতুন ধরনের মাজরা পোকা ও রোগবালাই বহন করে আক্রান্ত হয়। একই মাঠে বা পাশাপাশি জমিতে সেসব জাতের ধান চাষ করার কারণে পোকা ও রোগবালাই অনুমোদিত জাতের ধানেও ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কৃষক ভাইদের বারবার পরামর্শ দেওয়া হলেও তাঁরা মানেন না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে