নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এবারের ঈদযাত্রায় সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সড়ক-মহাসড়কে ৩১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন ও আহত হয়েছেন ৭৭৪ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেলে। এতে ১১৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও নিহত ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বেপরোয়া গতি, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকেরা রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকায় নতুন চালকেরা এসব সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তা ছাড়া মহাসড়কের নির্মাণত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩ জুলাই থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনের তথ্য প্রতিবেদনে এসেছে। এতে বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, নিহত ব্যক্তির ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ১৯৩টি, এতে নিহত হন ২৪৮ জন। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২১৪টি, নিহত হন ৩৫৪ জন। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২৩৭টি, নিহত হন ২৫৯ জন। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২০৩টি, নিহত হন ২২৪ জন। ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২০১টি, নিহত হন ২৪২ জন। ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২৪০টি, নিহত হন ২৭৩ জন। ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৩১৯টি, নিহত হন ৩৯৮ জন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঈদুল আজহায় সড়কে মোট ১ হাজার ৬০৭টি দুর্ঘটনা হয়, এতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৯৮ জন। আর আহত হয়েছিলেন ৫ হাজার ১৩০ জন।
দুর্ঘটনার বিষয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অনেক স্বপ্ন এবার বাড়ির বদলে কবরে গেছে। সড়কে প্রতিবার ঈদেই দুর্ঘটনায় প্রাণ যায়। দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তির বিষয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করায় গণপরিবহনসংকটের সুযোগ নিয়ে এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভাড়া নৈরাজ্য হয়েছে। এ ছাড়া নানান অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন রুটে ৪ ঘণ্টার যাত্রা ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাও লেগেছে। পথে পথে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্যের পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন বাসের পাশাপাশি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মুরগিবাহী প্রিজন ভ্যানেও যাত্রী যাতায়াত করতে দেখা গেছে। বরাবরের মতো ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কালোবাজারি, টিকিট পেতে বিড়ম্বনাসহ নানান ভোগান্তি রেলযাত্রীদের পিছু লেগেই ছিল।
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মোট যানবাহনের ২৯ দশমিক ০৩ শতাংশ মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনার মধ্যে ২৩ দশমিক ১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে ও শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত পড়ুন:
এবারের ঈদযাত্রায় সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সড়ক-মহাসড়কে ৩১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন ও আহত হয়েছেন ৭৭৪ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেলে। এতে ১১৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও নিহত ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বেপরোয়া গতি, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকেরা রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকায় নতুন চালকেরা এসব সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তা ছাড়া মহাসড়কের নির্মাণত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩ জুলাই থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনের তথ্য প্রতিবেদনে এসেছে। এতে বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, নিহত ব্যক্তির ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ১৯৩টি, এতে নিহত হন ২৪৮ জন। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২১৪টি, নিহত হন ৩৫৪ জন। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২৩৭টি, নিহত হন ২৫৯ জন। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২০৩টি, নিহত হন ২২৪ জন। ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২০১টি, নিহত হন ২৪২ জন। ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ২৪০টি, নিহত হন ২৭৩ জন। ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৩১৯টি, নিহত হন ৩৯৮ জন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঈদুল আজহায় সড়কে মোট ১ হাজার ৬০৭টি দুর্ঘটনা হয়, এতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৯৮ জন। আর আহত হয়েছিলেন ৫ হাজার ১৩০ জন।
দুর্ঘটনার বিষয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অনেক স্বপ্ন এবার বাড়ির বদলে কবরে গেছে। সড়কে প্রতিবার ঈদেই দুর্ঘটনায় প্রাণ যায়। দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তির বিষয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করায় গণপরিবহনসংকটের সুযোগ নিয়ে এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভাড়া নৈরাজ্য হয়েছে। এ ছাড়া নানান অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন রুটে ৪ ঘণ্টার যাত্রা ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাও লেগেছে। পথে পথে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্যের পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন বাসের পাশাপাশি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মুরগিবাহী প্রিজন ভ্যানেও যাত্রী যাতায়াত করতে দেখা গেছে। বরাবরের মতো ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কালোবাজারি, টিকিট পেতে বিড়ম্বনাসহ নানান ভোগান্তি রেলযাত্রীদের পিছু লেগেই ছিল।
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মোট যানবাহনের ২৯ দশমিক ০৩ শতাংশ মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনার মধ্যে ২৩ দশমিক ১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে ও শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে