সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। মোট পাঁচটি পদের বিপরীতে এখানে আছেন শুধু একজন পিয়ন। অধিকাংশ সময়ই কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে পিয়ন এসে রোগীদের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুজন চিকিৎসকসহ মোট পদ আছে পাঁচটি। কিন্তু বর্তমানে শুধু একজন পিয়নই আছেন এখানে। বাকি পদগুলো শূন্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র মাসের অধিকাংশ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। দেখলে মনে হয় যেন পরিত্যক্ত কোনো ভবন। মাঝে মধ্যে পিয়ন আনোয়ার হোসেন আসেন। তিনি তালা খোলেন। পুরো ইউনিয়নের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশু-কিশোরীদের জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। কিন্তু চিকিৎসক, পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ।
জয়ধরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাজী শাহনেওয়াজ শান্তাজ বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকতাম। দুই-তিন মাস হলো দেশে আসলাম। একদিনও হাসপাতাল খুলতে দেখিনি। সব সময় তালা ঝুলতে দেখি। ডাক্তার তো দূরের কথা, কম্পাউন্ডারও দেখি না এখানে।’
একই এলাকার বাসিন্দা কামাল মিয়া বলেন, ‘একজন বয়স্ক লোক মাঝে মধ্যে হাসপাতালে এসে বসেন। অসুস্থ হলে আমরা তাঁর কাছে ওষুধের জন্য যাই। তিনি ডাক্তার নাকি পিয়ন জানি না। অসুখ হলে তিনিই আমাদের ওষুধ দেন।’
পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশু-কিশোরীদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। ডাক্তার না থাকলেও একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা থাকলে মানুষ ন্যূনতম সেবাটুকু পেত।’
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ওই গ্রামের কেউ আমাকে বলেনি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার নেই, আমি জানি না। দ্রুত খোঁজ নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের পিয়ন (এমএলএসএস) আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, ‘কেন্দ্রটি আমার নয়। এটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অধীনে। আমাদের বিভাগের লোকবল সংকট চরম। অতিরিক্ত থাকলে ওখানে দিতে পারতাম।’
পিয়ন ছাড়া কেন্দ্রটিতে আর কেউ নেই, বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া। তিনি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক ছিলেন এখানে। করোনার সময় চিকিৎসক সংকটের কারণে আমরা তাঁকে উপজেলায় নিয়ে এসেছি। এখন পিয়ন আনোয়ার হোসেনই রোগীদের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই ব্যবস্থা হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। মোট পাঁচটি পদের বিপরীতে এখানে আছেন শুধু একজন পিয়ন। অধিকাংশ সময়ই কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে পিয়ন এসে রোগীদের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়ধরকান্দি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুজন চিকিৎসকসহ মোট পদ আছে পাঁচটি। কিন্তু বর্তমানে শুধু একজন পিয়নই আছেন এখানে। বাকি পদগুলো শূন্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র মাসের অধিকাংশ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে। দেখলে মনে হয় যেন পরিত্যক্ত কোনো ভবন। মাঝে মধ্যে পিয়ন আনোয়ার হোসেন আসেন। তিনি তালা খোলেন। পুরো ইউনিয়নের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশু-কিশোরীদের জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। কিন্তু চিকিৎসক, পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ।
জয়ধরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাজী শাহনেওয়াজ শান্তাজ বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকতাম। দুই-তিন মাস হলো দেশে আসলাম। একদিনও হাসপাতাল খুলতে দেখিনি। সব সময় তালা ঝুলতে দেখি। ডাক্তার তো দূরের কথা, কম্পাউন্ডারও দেখি না এখানে।’
একই এলাকার বাসিন্দা কামাল মিয়া বলেন, ‘একজন বয়স্ক লোক মাঝে মধ্যে হাসপাতালে এসে বসেন। অসুস্থ হলে আমরা তাঁর কাছে ওষুধের জন্য যাই। তিনি ডাক্তার নাকি পিয়ন জানি না। অসুখ হলে তিনিই আমাদের ওষুধ দেন।’
পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশু-কিশোরীদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। ডাক্তার না থাকলেও একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা থাকলে মানুষ ন্যূনতম সেবাটুকু পেত।’
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ওই গ্রামের কেউ আমাকে বলেনি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার নেই, আমি জানি না। দ্রুত খোঁজ নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের পিয়ন (এমএলএসএস) আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, ‘কেন্দ্রটি আমার নয়। এটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অধীনে। আমাদের বিভাগের লোকবল সংকট চরম। অতিরিক্ত থাকলে ওখানে দিতে পারতাম।’
পিয়ন ছাড়া কেন্দ্রটিতে আর কেউ নেই, বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া। তিনি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক ছিলেন এখানে। করোনার সময় চিকিৎসক সংকটের কারণে আমরা তাঁকে উপজেলায় নিয়ে এসেছি। এখন পিয়ন আনোয়ার হোসেনই রোগীদের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রের দুরবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই ব্যবস্থা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে