খান রফিক, বরিশাল
শিক্ষাছুটিতে বিদেশে গিয়ে কর্মস্থলে আর ফেরেননি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অন্তত ছয় শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে তিনজনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধকোটির বেশি টাকা পাওনা। এদিকে গবেষণার জন্য বিদেশে গিয়ে আর না ফেরায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়, অসন্তোষ প্রকাশ করে না ফেরা শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তাগিদ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ জন শিক্ষক শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। তাঁদের ৪৭ জন ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আছেন। এর মধ্যে ছয়জন আর ফেরেননি।
বিদেশে গিয়ে না ফেরা ওই ছয় শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কিষান মাহমুদ, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিসান আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মমিন উল্লাহ, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অহিদুর রহমান, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহ এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিনুর রহমান। হাসিনুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক যদি চার বছরের জন্য শিক্ষাছুটিতে যান, তাহলে দেশে ফিরে টানা চার বছর ওই বিভাগে অধ্যাপনা করতে হবে। অন্যথায় নির্দিষ্ট হারে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা মেটাতে হবে। সূত্র জানায়, না ফেরা ওই ছয় শিক্ষকের মধ্যে তিনজনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মমিন উল্লাহর কাছে ৭ লাখ, জিসান আহমেদের কাছে ৩৭ লাখ এবং অহিদুর রহমানের কাছে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা পাওনা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সিন্ডিকেট সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেট সভায় বিদেশে গিয়ে শিক্ষকদের না ফেরা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি হতাশাজনক উল্লেখ করে শিক্ষকদের শিক্ষাছুটির বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা আদায়েও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চার শিক্ষকনেতাকে ফোন করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সস্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবির বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষাছুটিতে অনেক শিক্ষক অর্থসহায়তা ছাড়াই যান। আবার অনেকে সহায়তা নেন। যাঁরা ছুটিতে বিদেশে গিয়ে আর ফেরেন না, তাঁদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কানাডায় যাওয়া শিক্ষক অহিদুর রহমানের ক্ষেত্রেও একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিভাগের শিক্ষক জিসান আহমেদ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করতে গিয়ে আর ফেরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দেনা-পাওনা থাকতে পারে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহও ফেরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ওই পদটি আটকে রয়েছে এখন পর্যন্ত। শিক্ষকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবশ্য অনেকে তো ফিরেও আসছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষকেরা পিএইচডি করতে বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেন না, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপচয় হয়। এ কারণে আমাদের যে মূল লক্ষ্য, তা পূরণ হচ্ছে না।’
শিক্ষাছুটিতে বিদেশে গিয়ে কর্মস্থলে আর ফেরেননি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অন্তত ছয় শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে তিনজনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধকোটির বেশি টাকা পাওনা। এদিকে গবেষণার জন্য বিদেশে গিয়ে আর না ফেরায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়, অসন্তোষ প্রকাশ করে না ফেরা শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে তাগিদ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ জন শিক্ষক শিক্ষাছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। তাঁদের ৪৭ জন ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আছেন। এর মধ্যে ছয়জন আর ফেরেননি।
বিদেশে গিয়ে না ফেরা ওই ছয় শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কিষান মাহমুদ, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিসান আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মমিন উল্লাহ, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অহিদুর রহমান, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহ এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিনুর রহমান। হাসিনুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক যদি চার বছরের জন্য শিক্ষাছুটিতে যান, তাহলে দেশে ফিরে টানা চার বছর ওই বিভাগে অধ্যাপনা করতে হবে। অন্যথায় নির্দিষ্ট হারে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা মেটাতে হবে। সূত্র জানায়, না ফেরা ওই ছয় শিক্ষকের মধ্যে তিনজনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মমিন উল্লাহর কাছে ৭ লাখ, জিসান আহমেদের কাছে ৩৭ লাখ এবং অহিদুর রহমানের কাছে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা পাওনা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সিন্ডিকেট সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেট সভায় বিদেশে গিয়ে শিক্ষকদের না ফেরা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি হতাশাজনক উল্লেখ করে শিক্ষকদের শিক্ষাছুটির বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা আদায়েও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত চার শিক্ষকনেতাকে ফোন করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সস্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবির বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষাছুটিতে অনেক শিক্ষক অর্থসহায়তা ছাড়াই যান। আবার অনেকে সহায়তা নেন। যাঁরা ছুটিতে বিদেশে গিয়ে আর ফেরেন না, তাঁদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কানাডায় যাওয়া শিক্ষক অহিদুর রহমানের ক্ষেত্রেও একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিভাগের শিক্ষক জিসান আহমেদ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করতে গিয়ে আর ফেরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দেনা-পাওনা থাকতে পারে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহও ফেরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ওই পদটি আটকে রয়েছে এখন পর্যন্ত। শিক্ষকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবশ্য অনেকে তো ফিরেও আসছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষকেরা পিএইচডি করতে বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেন না, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপচয় হয়। এ কারণে আমাদের যে মূল লক্ষ্য, তা পূরণ হচ্ছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে