সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে গত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন পৃথক চার দলের প্রার্থীরা। তবে গত দুই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে নৌকা। এবার দলটির মনোনয়ন পেতে আশাবাদী বেশ কয়েকজন। নির্বাচন ঘিরে তাঁদের তৎপরতাই বেশি। বিপরীতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে নেতাদের তৎপরতাও কম।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন উপলক্ষ ঘিরে পোস্টার, ব্যানার টানিয়েছেন। দলীয় সূত্র ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় কমিটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এ থেকে নির্বাচন ঘিরে একাধিক নেতা প্রার্থিতা চাইতে পারেন। পোস্টার, ব্যানারের মাধ্যমে তাঁরা তা জানানও দিচ্ছেন। তবে বিএনপি নীরব থাকায় নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা আওয়ামী লীগকে ঘিরেই বেশি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ টিটু, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও আমেরিকাপ্রবাসী ব্যবসায়ী আবদুল কাদের মিয়া। তবে তাঁদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান মিতা এবং জামাল উদ্দিন চৌধুরীর নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে।
বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা বলেছেন, হাইকমান্ড এবারও তাঁর ওপর আস্থা রাখবে। এ ছাড়া বিগত সময়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মানুষের সমর্থনও পাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় কোন্দল নেই, কিন্তু প্রতিযোগিতা আছে।
সম্ভাব্য আরেক প্রার্থী জাফর উল্লাহ টিটু বলেন, ৩৬ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের মানুষ হিসেবে দল তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করেন। আর জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দল চাইলে ভোটের মাঠে থাকবেন। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দিয়ে সব সময় মানুষের পাশে আছেন। তাই কিছুটা হলেও আশাবাদী।
২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সেবার জিতেছিলেন বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা। এবার সরাসরি মাঠে না থাকলেও নির্বাচনের আগে বিএনপিতে প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা আছে। তাতে মোস্তফা কামাল পাশার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। তবে তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই ভোটের মাঠে বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য নুরুল মোস্তফা খোকন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিনের নামও শোনা যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (একাংশের) বেলায়েত হোসেনকেও অনেকে প্রার্থী তালিকায় রাখছেন।
মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দল অংশ নিলে তখন ভোটের কথা আসবে। বর্তমানে শারীরিক কারণে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না।
অন্য দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী যদি নির্বাচনে থাকে, সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন সিকদারই হতে পারেন প্রার্থী। জোটগতভাবে হলে বিএনপির পক্ষেই যাবে তাদের অন্তত ১৫ হাজার ভোট। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির টিকিটে কেন্দ্রীয় নেতা এম এ সালাম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আকতার ও এএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুকতাদের আজাদ খানের নামও ভোটের মাঠে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে প্রার্থীর পাশাপাশি বিগত সময়ের উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আলোচনা চলছে ভোটারদের মাঝে। সাগরের ভাঙনে যাঁরা ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তাঁরা স্থায়ী বাঁধ চান। আবার দ্বীপে বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে যে প্রার্থী কাজ করবেন, তাঁকে ভোট দিতে আগ্রহী তাঁরা। স্থানীয় ভোটার সালেহ নোমান বলেন, ‘ভোটে যিনিই নির্বাচিত হয়ে আসুন; এই দ্বীপের উন্নয়ন চাই।’
বর্তমানে একটি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা। এখানে ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৬২৫ জন।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে গত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন পৃথক চার দলের প্রার্থীরা। তবে গত দুই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে নৌকা। এবার দলটির মনোনয়ন পেতে আশাবাদী বেশ কয়েকজন। নির্বাচন ঘিরে তাঁদের তৎপরতাই বেশি। বিপরীতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে নেতাদের তৎপরতাও কম।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা বিভিন্ন উপলক্ষ ঘিরে পোস্টার, ব্যানার টানিয়েছেন। দলীয় সূত্র ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় কমিটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এ থেকে নির্বাচন ঘিরে একাধিক নেতা প্রার্থিতা চাইতে পারেন। পোস্টার, ব্যানারের মাধ্যমে তাঁরা তা জানানও দিচ্ছেন। তবে বিএনপি নীরব থাকায় নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা আওয়ামী লীগকে ঘিরেই বেশি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ টিটু, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও আমেরিকাপ্রবাসী ব্যবসায়ী আবদুল কাদের মিয়া। তবে তাঁদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান মিতা এবং জামাল উদ্দিন চৌধুরীর নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে।
বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা বলেছেন, হাইকমান্ড এবারও তাঁর ওপর আস্থা রাখবে। এ ছাড়া বিগত সময়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মানুষের সমর্থনও পাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় কোন্দল নেই, কিন্তু প্রতিযোগিতা আছে।
সম্ভাব্য আরেক প্রার্থী জাফর উল্লাহ টিটু বলেন, ৩৬ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের মানুষ হিসেবে দল তাঁকে মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করেন। আর জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দল চাইলে ভোটের মাঠে থাকবেন। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দিয়ে সব সময় মানুষের পাশে আছেন। তাই কিছুটা হলেও আশাবাদী।
২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সেবার জিতেছিলেন বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা। এবার সরাসরি মাঠে না থাকলেও নির্বাচনের আগে বিএনপিতে প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা আছে। তাতে মোস্তফা কামাল পাশার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। তবে তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই ভোটের মাঠে বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য নুরুল মোস্তফা খোকন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিনের নামও শোনা যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (একাংশের) বেলায়েত হোসেনকেও অনেকে প্রার্থী তালিকায় রাখছেন।
মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দল অংশ নিলে তখন ভোটের কথা আসবে। বর্তমানে শারীরিক কারণে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না।
অন্য দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী যদি নির্বাচনে থাকে, সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন সিকদারই হতে পারেন প্রার্থী। জোটগতভাবে হলে বিএনপির পক্ষেই যাবে তাদের অন্তত ১৫ হাজার ভোট। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির টিকিটে কেন্দ্রীয় নেতা এম এ সালাম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আকতার ও এএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুকতাদের আজাদ খানের নামও ভোটের মাঠে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে প্রার্থীর পাশাপাশি বিগত সময়ের উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আলোচনা চলছে ভোটারদের মাঝে। সাগরের ভাঙনে যাঁরা ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তাঁরা স্থায়ী বাঁধ চান। আবার দ্বীপে বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে যে প্রার্থী কাজ করবেন, তাঁকে ভোট দিতে আগ্রহী তাঁরা। স্থানীয় ভোটার সালেহ নোমান বলেন, ‘ভোটে যিনিই নির্বাচিত হয়ে আসুন; এই দ্বীপের উন্নয়ন চাই।’
বর্তমানে একটি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা। এখানে ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৬২৫ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে