সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ বেড। করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের সেবার জন্য বেশ ভূমিকা রেখেছিল আইসিইউগুলো। নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও রোগীরা আইসিইউ সেবা নিতে এই হাসপাতালে ছুটে আসতেন। স্বল্প মূল্যে আইসিইউ সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন সেবা নিতে আসা লোকজন। তবে করোনার প্রকোপ কমে এলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় খানপুর হাসপাতাল। ২০২১ সাল থেকেই আগের মতো আবারও চালু হয় হাসপাতালের অন্যান্য ইউনিট। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, প্রায় এক বছর ধরে আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করার মতো করোনা রোগী আসেন না বললেই চলে। কিন্তু এই আইসিইউর মাধ্যমে অন্যান্য রোগীও সেবা নিতে পারেন। বিশেষ করে সার্জারির পর গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া, স্ট্রোক, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধসহ বিভিন্ন রোগের গুরুতর রোগীদের আইসিইউ সেবা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে অলস পড়ে আছে খানপুর হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড।
নাম গোপন রাখার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনাকালে অন্য সব ইউনিট বন্ধ থাকায় চিকিৎসকেরা আইসিইউ সেবা দিতে পেরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের সব ইউনিট চালু হওয়ায় নিজ নিজ ইউনিটে সেবা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকেরা। আইসিইউতে বাড়তি সেবার চাপ নিতে চান না। কারণ, এতে কোনোটিই ঠিকভাবে দেখভাল করতে পারবেন না তাঁরা। আর তাই কেউ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নিতে এলেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। মূলত আইসিইউর জন্য যে আলাদা জনবল প্রয়োজন, তা এই হাসপাতালে নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে আইসিইউ ইউনিট পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এবং পরিচালক বরাবর দুই দফায় চিঠি দিয়েছে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায় আইসিইউ ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে চিঠি দেন।
দুটি চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২০ সালের এক চিঠিতে আইসিইউ ইউনিটের জন্য দুজন আইসিইউ স্পেশালিস্ট, দুজন সিসিইউ স্পেশালিস্ট এবং ১০ জন আইসিইউ এক্সপার্ট নার্স চাওয়া হয়। এক বছর পর ২০২১ সালে আইসিইউর জন্য চারজন স্পেশালিস্ট চিকিৎসক চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তবে কোনো চিঠির পরই আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল পায়নি হাসপাতালটি।
আইসিইউ সেবা না পাওয়া ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বাবাকে ইমার্জেন্সি লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। শহরের বালুরমাঠ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাইনবোর্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। যানজটের কারণে শিবু মার্কেট এলাকায় পৌঁছাতেই তিনি মারা যান। সে সময় নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো আইসিইউ সাপোর্ট পাওয়ার মতো সরকারি হাসপাতাল ছিল না। থাকলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত।’
জনবলসংকটের কারণে আইসিইউতে অন্য রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সব কটি আইসিইউ এখনো ভালো এবং সচল আছে। করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী না থাকায় আপাতত আইসিইউ ইউনিট খালি। অন্য রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই। থাকলে আমরা অন্য রোগীদের এই সেবা দিতে পারতাম।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মশিউর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ সেবার জন্য কিছু দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়। যেটা এ মুহূর্তে খানপুর হাসপাতালে নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব। ইতিমধ্যে খানপুরের পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালেও ১০ শয্যার আইসিইউ সেবা চালুর চেষ্টা চলছে। সেখানেও আমাদের জনবল প্রয়োজন হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ বেড। করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের সেবার জন্য বেশ ভূমিকা রেখেছিল আইসিইউগুলো। নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও রোগীরা আইসিইউ সেবা নিতে এই হাসপাতালে ছুটে আসতেন। স্বল্প মূল্যে আইসিইউ সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন সেবা নিতে আসা লোকজন। তবে করোনার প্রকোপ কমে এলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় খানপুর হাসপাতাল। ২০২১ সাল থেকেই আগের মতো আবারও চালু হয় হাসপাতালের অন্যান্য ইউনিট। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, প্রায় এক বছর ধরে আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করার মতো করোনা রোগী আসেন না বললেই চলে। কিন্তু এই আইসিইউর মাধ্যমে অন্যান্য রোগীও সেবা নিতে পারেন। বিশেষ করে সার্জারির পর গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া, স্ট্রোক, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধসহ বিভিন্ন রোগের গুরুতর রোগীদের আইসিইউ সেবা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে অলস পড়ে আছে খানপুর হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড।
নাম গোপন রাখার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনাকালে অন্য সব ইউনিট বন্ধ থাকায় চিকিৎসকেরা আইসিইউ সেবা দিতে পেরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের সব ইউনিট চালু হওয়ায় নিজ নিজ ইউনিটে সেবা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকেরা। আইসিইউতে বাড়তি সেবার চাপ নিতে চান না। কারণ, এতে কোনোটিই ঠিকভাবে দেখভাল করতে পারবেন না তাঁরা। আর তাই কেউ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নিতে এলেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। মূলত আইসিইউর জন্য যে আলাদা জনবল প্রয়োজন, তা এই হাসপাতালে নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে আইসিইউ ইউনিট পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এবং পরিচালক বরাবর দুই দফায় চিঠি দিয়েছে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক গৌতম রায় আইসিইউ ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে চিঠি দেন।
দুটি চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২০ সালের এক চিঠিতে আইসিইউ ইউনিটের জন্য দুজন আইসিইউ স্পেশালিস্ট, দুজন সিসিইউ স্পেশালিস্ট এবং ১০ জন আইসিইউ এক্সপার্ট নার্স চাওয়া হয়। এক বছর পর ২০২১ সালে আইসিইউর জন্য চারজন স্পেশালিস্ট চিকিৎসক চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তবে কোনো চিঠির পরই আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল পায়নি হাসপাতালটি।
আইসিইউ সেবা না পাওয়া ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বাবাকে ইমার্জেন্সি লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। শহরের বালুরমাঠ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাইনবোর্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। যানজটের কারণে শিবু মার্কেট এলাকায় পৌঁছাতেই তিনি মারা যান। সে সময় নারায়ণগঞ্জ শহরে কোনো আইসিইউ সাপোর্ট পাওয়ার মতো সরকারি হাসপাতাল ছিল না। থাকলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত।’
জনবলসংকটের কারণে আইসিইউতে অন্য রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সব কটি আইসিইউ এখনো ভালো এবং সচল আছে। করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী না থাকায় আপাতত আইসিইউ ইউনিট খালি। অন্য রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই। থাকলে আমরা অন্য রোগীদের এই সেবা দিতে পারতাম।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মশিউর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ সেবার জন্য কিছু দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়। যেটা এ মুহূর্তে খানপুর হাসপাতালে নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব। ইতিমধ্যে খানপুরের পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালেও ১০ শয্যার আইসিইউ সেবা চালুর চেষ্টা চলছে। সেখানেও আমাদের জনবল প্রয়োজন হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে