রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
সেতু নির্মাণের এক দশকেও সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। ফলে প্রায় অকেজো পড়ে আছে সেতুটি। সম্প্রতি কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুর সংযোগস্থলে মাটি ফেলা হয়েছে। এতেও ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ৪টি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার।
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে এবং রামগড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার শুরুতে অংহলাপাড়ায় সেতুটি অবস্থিত। ২০১০-১১ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণ করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর। কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতুতে বরাদ্দ ছিল ৮০ লাখ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অংহলাপাড়া, শামুকছড়া, কর্মচানপাড়া ও চিনছড়িপাড়া ৪ গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সেতুর মূল অংশের কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রামগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র উম্রাচিং মারমাসহ কয়েকজন জানান, কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তাদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোনো যানবাহন এদিকে আসে না। বর্ষায় এই দুর্ভোগ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
অংহলাপাড়ার বাসিন্দা চাইল্যাহ মারমা বলেন, ‘গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য জগন্নাথপাড়ার মোড় ও আদর্শ গ্রাম ঘুরে বাজারে নিতে হয়। সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী ও রাস্তা ঠিক থাকলে কম খরচে, স্বল্প সময়ে আনা-নেওয়া করা যেত। হাসপাতালের রোগী নিতে কষ্ট করতে হয়। অসুস্থ মানুষ মরণাপন্ন হয়ে পড়ে।’
নুরুল আফসার বলেন, ‘পৌরসভা ও ইউনিয়নের মাঝামাঝি হওয়ায় কয়েকটি গ্রাম খুবই অবহেলিত। আমাদের কষ্টের কথা অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলর বলেছেন, রাস্তা হবে। এই সান্ত্বনায় ১০ বছর কেটে গেছে।’
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে নির্বাচিত হওয়ার পর অংহলাপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। সামনের বাজেটে বরাদ্দের আবেদন করা হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে দ্রুত অংহলাপাড়া সেতুর সংযোগস্থলে মাটি ভরাট ও সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’ তিনি জানান, ওই এলাকায় কয়েকটি সংযোগ সড়কবিহীন সেতু রয়েছে। ক্রমান্বয়ে সেগুলোর সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা জানান, অংহলাপাড়া এলাকাটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের মাঝামাঝি পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তিনি রামগড়ে যোগ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সেতু নির্মাণের এক দশকেও সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। ফলে প্রায় অকেজো পড়ে আছে সেতুটি। সম্প্রতি কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুর সংযোগস্থলে মাটি ফেলা হয়েছে। এতেও ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ৪টি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার।
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে এবং রামগড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার শুরুতে অংহলাপাড়ায় সেতুটি অবস্থিত। ২০১০-১১ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণ করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর। কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতুতে বরাদ্দ ছিল ৮০ লাখ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অংহলাপাড়া, শামুকছড়া, কর্মচানপাড়া ও চিনছড়িপাড়া ৪ গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সেতুর মূল অংশের কাজ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রামগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র উম্রাচিং মারমাসহ কয়েকজন জানান, কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তাদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোনো যানবাহন এদিকে আসে না। বর্ষায় এই দুর্ভোগ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
অংহলাপাড়ার বাসিন্দা চাইল্যাহ মারমা বলেন, ‘গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য জগন্নাথপাড়ার মোড় ও আদর্শ গ্রাম ঘুরে বাজারে নিতে হয়। সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী ও রাস্তা ঠিক থাকলে কম খরচে, স্বল্প সময়ে আনা-নেওয়া করা যেত। হাসপাতালের রোগী নিতে কষ্ট করতে হয়। অসুস্থ মানুষ মরণাপন্ন হয়ে পড়ে।’
নুরুল আফসার বলেন, ‘পৌরসভা ও ইউনিয়নের মাঝামাঝি হওয়ায় কয়েকটি গ্রাম খুবই অবহেলিত। আমাদের কষ্টের কথা অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পৌর কাউন্সিলর বলেছেন, রাস্তা হবে। এই সান্ত্বনায় ১০ বছর কেটে গেছে।’
রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে নির্বাচিত হওয়ার পর অংহলাপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। সামনের বাজেটে বরাদ্দের আবেদন করা হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে দ্রুত অংহলাপাড়া সেতুর সংযোগস্থলে মাটি ভরাট ও সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’ তিনি জানান, ওই এলাকায় কয়েকটি সংযোগ সড়কবিহীন সেতু রয়েছে। ক্রমান্বয়ে সেগুলোর সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা জানান, অংহলাপাড়া এলাকাটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের মাঝামাঝি পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তিনি রামগড়ে যোগ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে