জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
নিজেদের ভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গারো, কোচ, হাজং, ডালু ও বানাইসহ ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের নিজস্ব ভাষা বিলুপ্তির পথে। পাহাড়ি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষার বই দেওয়া হলেও ওই সব ভাষার দক্ষ শিক্ষকের অভাবে তা পড়তে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
এজন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা ধীরে ধীরে তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলতে বসেছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে এসব ভাষার বই পড়ানোর ব্যবস্থা করা না হলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরবর্তী প্রজন্ম তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে যাবে বলে শঙ্কা এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্ত এলাকা ও সমতলসহ পুরো জেলায় গারো, কোচ, হাজং, বানাই, হদি, ডালুসহ ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তত ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব নৃগোষ্ঠীর মানুষের আছে আলাদা আলাদা ভাষা ও বর্ণমালা। আছে নিজস্ব সংস্কৃতি।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব বর্ণমালার ব্যবহার না থাকায় এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সেগুলোর পরিচয় বা চর্চা না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষা। তাদের নিজস্ব ভাষার বই থাকলেও দক্ষ শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইগুলো পড়ানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় বই দিলেও তা পড়ানোর মতো শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে নেই। ফলে বইগুলো কোনো কাজেই আসছে না শিশুদের। তাই নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিদ্যালয়ে তাদের মাতৃভাষায় দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।
গজনী এলাকার বাসিন্দা জেনি কোচ বলেন, ‘স্কুল-কলেজে তো আমাদের ভাষা শেখায় না। তাই ধীরে ধীরে ছেলেমেয়েরা আমাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে বাংলা ভাষায় কথা বলে। বানাইপাড়া এলাকা প্রমোদিনী কোচ বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের ভাষায় কথা বলতে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বাংলা ভাষায় কথা বলে।
আমাদের ভাষা বলতে পারলেও ভাষা লিখতে ও পড়তে ভুলে যাচ্ছে। স্কুলে আমাদের ভাষার বই থাকলেও সেটা পড়ায় না। ওই ভাষার শিক্ষক না থাকায় বাংলা ভাষাতেই সব পড়ায়। তাই আমাদের ভাষা লিখতে ও পড়তে জানছে না শিশুরা।
প্রবীর সাংমা নামে একজন বলেন, আমাদের নিজস্ব ভাষা পড়ার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই ছেলেমেয়েরা বাংলা ভাষায় সবকিছু পড়ছে। আমরা চাই বাংলা ভাষার পাশাপাশি আমাদের ভাষাটাও তারা লিখতে ও পড়তে শিখুক। এটাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
স্কুলছাত্র স্বপ্ন হাজং, লটমন, সুব্রতসহ কয়েকজন জানান, আমাদের স্কুলে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা পড়ায়। আমাদের ভাষার বই আছে, কিন্তু স্যার নাই। তাই সেগুলো পড়ার কোন উপায় তো নাই। তাই সেগুলো আমরা পড়তে পারি না, লিখতেও পারি না।
এ ব্যাপারে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুরের আহবায়ক ও শিক্ষাবিদ মো. আবুল কালাম বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব ভাষা আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। আমরা চাই প্রতিটি ভাষা টিকে থাকুক। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুলগুলোয় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ভাষা শেখাতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেবে-এ প্রত্যাশা করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, শেরপুরের পাহাড়ি উপজেলাগুলোয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বই দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের ভাষায় পারদর্শী শিক্ষকের সংকট রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিজেদের ভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গারো, কোচ, হাজং, ডালু ও বানাইসহ ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের নিজস্ব ভাষা বিলুপ্তির পথে। পাহাড়ি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষার বই দেওয়া হলেও ওই সব ভাষার দক্ষ শিক্ষকের অভাবে তা পড়তে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
এজন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা ধীরে ধীরে তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলতে বসেছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে এসব ভাষার বই পড়ানোর ব্যবস্থা করা না হলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরবর্তী প্রজন্ম তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে যাবে বলে শঙ্কা এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্ত এলাকা ও সমতলসহ পুরো জেলায় গারো, কোচ, হাজং, বানাই, হদি, ডালুসহ ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তত ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব নৃগোষ্ঠীর মানুষের আছে আলাদা আলাদা ভাষা ও বর্ণমালা। আছে নিজস্ব সংস্কৃতি।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব বর্ণমালার ব্যবহার না থাকায় এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সেগুলোর পরিচয় বা চর্চা না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষা। তাদের নিজস্ব ভাষার বই থাকলেও দক্ষ শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইগুলো পড়ানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় বই দিলেও তা পড়ানোর মতো শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে নেই। ফলে বইগুলো কোনো কাজেই আসছে না শিশুদের। তাই নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিদ্যালয়ে তাদের মাতৃভাষায় দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।
গজনী এলাকার বাসিন্দা জেনি কোচ বলেন, ‘স্কুল-কলেজে তো আমাদের ভাষা শেখায় না। তাই ধীরে ধীরে ছেলেমেয়েরা আমাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে বাংলা ভাষায় কথা বলে। বানাইপাড়া এলাকা প্রমোদিনী কোচ বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের ভাষায় কথা বলতে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বাংলা ভাষায় কথা বলে।
আমাদের ভাষা বলতে পারলেও ভাষা লিখতে ও পড়তে ভুলে যাচ্ছে। স্কুলে আমাদের ভাষার বই থাকলেও সেটা পড়ায় না। ওই ভাষার শিক্ষক না থাকায় বাংলা ভাষাতেই সব পড়ায়। তাই আমাদের ভাষা লিখতে ও পড়তে জানছে না শিশুরা।
প্রবীর সাংমা নামে একজন বলেন, আমাদের নিজস্ব ভাষা পড়ার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই ছেলেমেয়েরা বাংলা ভাষায় সবকিছু পড়ছে। আমরা চাই বাংলা ভাষার পাশাপাশি আমাদের ভাষাটাও তারা লিখতে ও পড়তে শিখুক। এটাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
স্কুলছাত্র স্বপ্ন হাজং, লটমন, সুব্রতসহ কয়েকজন জানান, আমাদের স্কুলে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা পড়ায়। আমাদের ভাষার বই আছে, কিন্তু স্যার নাই। তাই সেগুলো পড়ার কোন উপায় তো নাই। তাই সেগুলো আমরা পড়তে পারি না, লিখতেও পারি না।
এ ব্যাপারে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুরের আহবায়ক ও শিক্ষাবিদ মো. আবুল কালাম বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব ভাষা আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। আমরা চাই প্রতিটি ভাষা টিকে থাকুক। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুলগুলোয় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ভাষা শেখাতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেবে-এ প্রত্যাশা করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, শেরপুরের পাহাড়ি উপজেলাগুলোয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বই দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের ভাষায় পারদর্শী শিক্ষকের সংকট রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে