আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন ধান ও বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজির খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে ছোট-বড় গাছপালা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলেছেন, পানি দ্রুত অপসারণ করতে না পারলে ডুবে থাকা ফসল সব পচে যাবে। অন্যদিকে ধানের ক্ষতির তুলনায় লাভ বেশি হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
এর আগে গত সোমবার সকাল থেকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে অন্যান্য জেলার সঙ্গে টাঙ্গাইল, শেরপুর ও জামালপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
নকলা (শেরপুর): উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। অসময়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে আমন ফসলসহ মৌসুমি শাকসবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে খেতে পানি জমে যাওয়ায় পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা ও মরিচের চাষ বিলম্বিত হতে পারে।
পৌর এলাকার লাভা মহল্লার কৃষক বকুল মিয়া বলেন, ‘ঝড়ে আমার চায়না থ্রি লিচুবাগানর ১৫টি গাছ উপড়ে গেছে। তা ছাড়া প্রায় এক একর জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।’ পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বাতাসের কারণে আমার ৬০ শতক জমির হাইব্রিড ধানিগোল্ড জাতের কাঁচা পাকা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা চরাঞ্চলের কৃষক আলমাছ মিয়া বলেন, ‘সরিষার বীজ বপনের জন্য দুই একর জমি প্রস্তুত করেছিলাম। বৃষ্টির কারণে এখন তা পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।’
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): উপজেলা উয়ার্শী ও বহুরিয়া ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমির পাকা রোপা আমন ধান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সবজি আবাদের জন্য প্রস্তুত করা জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। দ্রুত এ পানি না শুকালে সবজি আবাদেও বিঘ্ন ঘটবে। ঝড়ের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতেরও ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সমগ্র উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
সখীপুর: সোমবার রাতের ঝোড়ো বাতাসে উপজেলার প্রায় ৯ দশমিক ৭৩ হেক্টর জমির কলাগাছ, ২ দশমিক ২ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুধু কলা ও সবজিতেই কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার।
উপজেলার ইছাদীঘি গ্রামের কলাচাষি আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমার প্রায় ১০ হাজার কলাগাছ ভেঙে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি এক প্রকার নিঃস্ব।’ এ ছাড়া পেঁপে, ফুলকপি ও অন্য সবজিরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। সবজিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ টাকা বলে জানায় কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে ধানের জন্য বৃষ্টির খুব প্রয়োজন ছিল। এ কারণে ধানের ক্ষতির তুলনায় লাভ বেশি হয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলের কলাচাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত খবর আসছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন ধান ও বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজির খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে ছোট-বড় গাছপালা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলেছেন, পানি দ্রুত অপসারণ করতে না পারলে ডুবে থাকা ফসল সব পচে যাবে। অন্যদিকে ধানের ক্ষতির তুলনায় লাভ বেশি হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
এর আগে গত সোমবার সকাল থেকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে অন্যান্য জেলার সঙ্গে টাঙ্গাইল, শেরপুর ও জামালপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
নকলা (শেরপুর): উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। অসময়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে আমন ফসলসহ মৌসুমি শাকসবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে খেতে পানি জমে যাওয়ায় পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা ও মরিচের চাষ বিলম্বিত হতে পারে।
পৌর এলাকার লাভা মহল্লার কৃষক বকুল মিয়া বলেন, ‘ঝড়ে আমার চায়না থ্রি লিচুবাগানর ১৫টি গাছ উপড়ে গেছে। তা ছাড়া প্রায় এক একর জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।’ পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বাতাসের কারণে আমার ৬০ শতক জমির হাইব্রিড ধানিগোল্ড জাতের কাঁচা পাকা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা চরাঞ্চলের কৃষক আলমাছ মিয়া বলেন, ‘সরিষার বীজ বপনের জন্য দুই একর জমি প্রস্তুত করেছিলাম। বৃষ্টির কারণে এখন তা পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।’
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): উপজেলা উয়ার্শী ও বহুরিয়া ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমির পাকা রোপা আমন ধান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সবজি আবাদের জন্য প্রস্তুত করা জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। দ্রুত এ পানি না শুকালে সবজি আবাদেও বিঘ্ন ঘটবে। ঝড়ের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতেরও ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সমগ্র উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
সখীপুর: সোমবার রাতের ঝোড়ো বাতাসে উপজেলার প্রায় ৯ দশমিক ৭৩ হেক্টর জমির কলাগাছ, ২ দশমিক ২ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুধু কলা ও সবজিতেই কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার।
উপজেলার ইছাদীঘি গ্রামের কলাচাষি আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমার প্রায় ১০ হাজার কলাগাছ ভেঙে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি এক প্রকার নিঃস্ব।’ এ ছাড়া পেঁপে, ফুলকপি ও অন্য সবজিরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। সবজিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ টাকা বলে জানায় কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে ধানের জন্য বৃষ্টির খুব প্রয়োজন ছিল। এ কারণে ধানের ক্ষতির তুলনায় লাভ বেশি হয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলের কলাচাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত খবর আসছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে