অর্চি হক, ঢাকা
ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে ও ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ডিবিআইডি (ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন) নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই ডিবিআইডি নিয়েই এখন দেখা দিয়েছে নতুন জটিলতা। ডিবিআইডি কার্যক্রম উদ্বোধনের ছয় মাস পার হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী কেউ আবেদন করার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিবিআইডি পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আবেদনের ছয় মাস পরও নিবন্ধন পাচ্ছে না। অনেকে ডিবিআইডির আবেদনই সম্পন্ন করতে পারছে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কারিগরি জটিলতার কারণে ডিবিআইডি কার্যক্রম আপাতত পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। আর ডিবিআইডি নিবন্ধনের দায়িত্ব যাঁদের ওপর, সেই যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) বলছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যাচাই ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল আজিজকে ডিবিআইডি নিবন্ধনের একটি সনদ তুলে দেওয়া হয়। তিনি ডিবিআইডির জন্য নিয়ম অনুযায়ী আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখনো তিনি ডিবিআইডি নম্বর পাননি।
জানতে চাইলে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘উদ্বোধনের দিন আমিসহ বেশ কয়েকজন ই-কমার্স ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের হাতে কাগজ তুলে দিয়ে ফটোসেশন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি ডিবিআইডি নম্বর পাইনি। অর্থাৎ আমার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি।’
ফেব্রুয়ারিতেই ডিবিআইডির জন্য আবেদন করেন রিটজি আউটফিটসের কর্ণধার শাহ পরান নির্ঝর। এখন পর্যন্ত ডিবিআইডি নম্বর পাননি তিনি। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্য জানান, তাঁরাও ডিবিআইডি পাননি।
সরকারি প্ল্যাটফর্ম ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হয়। এটি তৈরির কাজ করেছে এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন)। এটুআইয়ের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাফিজুর রহমান বলেন, প্ল্যাটফর্মে কারিগরি সমস্যা
নেই। আরজেএসসির সবার কাছে প্ল্যাটফর্মের একসেস না থাকায় এ কার্যক্রমে ধীরগতি এসেছে। এটা নিয়ে কাজ চলছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রম শুরু হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি নিবন্ধন নির্দেশিকা জারি করে ২৯ জুন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এ নিবন্ধন করা যাবে। আরজেএসসি থেকে এ নিবন্ধন নিতে হবে। ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—যেখানেই ব্যবসা পরিচালনা করা হোক না কেন, সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে ডিবিআইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, যাঁরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন, তাঁদের নির্দেশিকা জারির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট পর্যন্ত ডিবিআইডির জন্য আবেদন এসেছে ১ হাজার ৪৫১টি। আর ডিবিআইডি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে ৩৮৫টি। ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিবিআইডি প্ল্যাটফর্মে আবেদন সাবমিট হচ্ছে না বলেই আবেদনের সংখ্যা এত কম। না হলে দিনে কয়েক শ আবেদন পড়ত।
নিয়ম থাকলেও ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কেন ডিবিআইডি দেওয়া যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে আরজেএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজের তুলনায় আমাদের জনবল এমনিতেই কম। আগে থেকেই আমরা কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। এখন আমাদের ঘাড়ে নতুন করে ই-কমার্সের নিবন্ধনের কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনবল তো একজনও বাড়েনি। তাহলে কাজে গতি আসবে কী করে?’
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মো. সাঈদ আলী বলেন, কারিগরি কিছু জটিলতার কারণে এমনটা হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় আরজেএসসির অল্প কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে ডিবিআইডি প্ল্যাটফর্মের একসেস দেওয়া ছিল। এ জন্য ধীরগতিতে কাজ চলছিল। এখন এই একসেস আরজেএসসির আরও বেশি কর্মীর কাছে দেওয়া হবে। এ জন্য এটুআই কাজ করছে।
ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে ও ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ডিবিআইডি (ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন) নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই ডিবিআইডি নিয়েই এখন দেখা দিয়েছে নতুন জটিলতা। ডিবিআইডি কার্যক্রম উদ্বোধনের ছয় মাস পার হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী কেউ আবেদন করার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিবিআইডি পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আবেদনের ছয় মাস পরও নিবন্ধন পাচ্ছে না। অনেকে ডিবিআইডির আবেদনই সম্পন্ন করতে পারছে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কারিগরি জটিলতার কারণে ডিবিআইডি কার্যক্রম আপাতত পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। আর ডিবিআইডি নিবন্ধনের দায়িত্ব যাঁদের ওপর, সেই যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) বলছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যাচাই ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল আজিজকে ডিবিআইডি নিবন্ধনের একটি সনদ তুলে দেওয়া হয়। তিনি ডিবিআইডির জন্য নিয়ম অনুযায়ী আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখনো তিনি ডিবিআইডি নম্বর পাননি।
জানতে চাইলে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘উদ্বোধনের দিন আমিসহ বেশ কয়েকজন ই-কমার্স ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের হাতে কাগজ তুলে দিয়ে ফটোসেশন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি ডিবিআইডি নম্বর পাইনি। অর্থাৎ আমার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি।’
ফেব্রুয়ারিতেই ডিবিআইডির জন্য আবেদন করেন রিটজি আউটফিটসের কর্ণধার শাহ পরান নির্ঝর। এখন পর্যন্ত ডিবিআইডি নম্বর পাননি তিনি। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্য জানান, তাঁরাও ডিবিআইডি পাননি।
সরকারি প্ল্যাটফর্ম ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হয়। এটি তৈরির কাজ করেছে এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন)। এটুআইয়ের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাফিজুর রহমান বলেন, প্ল্যাটফর্মে কারিগরি সমস্যা
নেই। আরজেএসসির সবার কাছে প্ল্যাটফর্মের একসেস না থাকায় এ কার্যক্রমে ধীরগতি এসেছে। এটা নিয়ে কাজ চলছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রম শুরু হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি নিবন্ধন নির্দেশিকা জারি করে ২৯ জুন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এ নিবন্ধন করা যাবে। আরজেএসসি থেকে এ নিবন্ধন নিতে হবে। ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—যেখানেই ব্যবসা পরিচালনা করা হোক না কেন, সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে ডিবিআইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, যাঁরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন, তাঁদের নির্দেশিকা জারির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট পর্যন্ত ডিবিআইডির জন্য আবেদন এসেছে ১ হাজার ৪৫১টি। আর ডিবিআইডি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে ৩৮৫টি। ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিবিআইডি প্ল্যাটফর্মে আবেদন সাবমিট হচ্ছে না বলেই আবেদনের সংখ্যা এত কম। না হলে দিনে কয়েক শ আবেদন পড়ত।
নিয়ম থাকলেও ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কেন ডিবিআইডি দেওয়া যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে আরজেএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজের তুলনায় আমাদের জনবল এমনিতেই কম। আগে থেকেই আমরা কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। এখন আমাদের ঘাড়ে নতুন করে ই-কমার্সের নিবন্ধনের কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনবল তো একজনও বাড়েনি। তাহলে কাজে গতি আসবে কী করে?’
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মো. সাঈদ আলী বলেন, কারিগরি কিছু জটিলতার কারণে এমনটা হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় আরজেএসসির অল্প কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে ডিবিআইডি প্ল্যাটফর্মের একসেস দেওয়া ছিল। এ জন্য ধীরগতিতে কাজ চলছিল। এখন এই একসেস আরজেএসসির আরও বেশি কর্মীর কাছে দেওয়া হবে। এ জন্য এটুআই কাজ করছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে