জাহাঙ্গীর হোসেন, নকলা
প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কার্যক্রম। সঙ্গে রয়েছে জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যা। রোগী বহনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের অভাবে তা গ্যারেজেই নষ্ট হচ্ছে। পয়োনিষ্কাশনের জন্য নেই নালার ব্যবস্থা।
এমনকি কনসালট্যান্ট বসার রুম, রান্নাঘর, স্টোররুম, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থাও নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এদিকে সংস্কারের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা।
জানা যায়, ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হয় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট থাকলেও পরবর্তীকালে ৩১ ও সর্বশেষ ২০২২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। প্রায় ২ লাখ জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বহির্বিভাগে ৭০০ থেকে ৮০০ এবং জরুরি ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
এদিকে ৩১ জন চিকিৎসকের স্থানে রয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপস্থিত থাকেন। ৩৬ জন সেবিকার মধ্যে রয়েছেন ২৬ জন।
২৬ জনের মধ্যে ২ জন নার্সিং সুপারভাইজার। সেবার কাজ করেন ২৪ জন। অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা দূরবর্তী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের।
ওটি চালু না হওয়ায় সরবরাহ করা যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসককে ডেপুটেশনে শেরপুর সদর হাসপাতালে কাজ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নালার ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা। তখন রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।
২ নম্বর নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা গ্রামের বাসিন্দা শাহানাজ পারভীন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটি চালু না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। গর্ভকালীন জরুরি সিজারের প্রয়োজন হলে দূরে যেতে হয়। এতে প্রসূতি ও প্রসূতির গর্ভের বাচ্চার জীবন সংকটের মুখে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাসেবা বাড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল প্যাথলজি রুম চালু করেছি। ২৪ ঘণ্টা ইসিজি সার্ভিস চালু রয়েছে।’
প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কার্যক্রম। সঙ্গে রয়েছে জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যা। রোগী বহনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের অভাবে তা গ্যারেজেই নষ্ট হচ্ছে। পয়োনিষ্কাশনের জন্য নেই নালার ব্যবস্থা।
এমনকি কনসালট্যান্ট বসার রুম, রান্নাঘর, স্টোররুম, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থাও নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এদিকে সংস্কারের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা।
জানা যায়, ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হয় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট থাকলেও পরবর্তীকালে ৩১ ও সর্বশেষ ২০২২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। প্রায় ২ লাখ জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বহির্বিভাগে ৭০০ থেকে ৮০০ এবং জরুরি ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
এদিকে ৩১ জন চিকিৎসকের স্থানে রয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপস্থিত থাকেন। ৩৬ জন সেবিকার মধ্যে রয়েছেন ২৬ জন।
২৬ জনের মধ্যে ২ জন নার্সিং সুপারভাইজার। সেবার কাজ করেন ২৪ জন। অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা দূরবর্তী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের।
ওটি চালু না হওয়ায় সরবরাহ করা যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসককে ডেপুটেশনে শেরপুর সদর হাসপাতালে কাজ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নালার ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা। তখন রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।
২ নম্বর নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা গ্রামের বাসিন্দা শাহানাজ পারভীন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটি চালু না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। গর্ভকালীন জরুরি সিজারের প্রয়োজন হলে দূরে যেতে হয়। এতে প্রসূতি ও প্রসূতির গর্ভের বাচ্চার জীবন সংকটের মুখে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাসেবা বাড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল প্যাথলজি রুম চালু করেছি। ২৪ ঘণ্টা ইসিজি সার্ভিস চালু রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে