ওয়াহিদুজ্জামান, বেড়া (পাবনা)
পাবনা-নাটোর মিলে যে বিশাল চলনবিল, তারই একটি অংশ চাকলা বিল। এই বিলের একটি অংশের নাম চাকলা মোড়। এ নামে কেউ না-ও চিনতে পারেন জায়গাটিকে। পুরো ঠিকানা পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের চাকলা বাসস্ট্যান্ড। কয়েকটি গ্রামের মিলনক্ষেত্র এই বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে চাকলা মোল্লাপাড়া গ্রাম। এর পাশে পাঁচুড়িয়া, খাকছাড়া ও দমদমা নামে আরও তিনটি গ্রাম আছে। আর বাসস্ট্যান্ডের একেবারে পাশে আছে পুন্ডরিয়া। এ গ্রামগুলো চাকলা বিলের পাড়ে।
চাকলা মোল্লাপাড়ায় অধ্যাপক আবদুল মালেক ও আজগর মোল্লার বাড়ি। এই বাড়ি দুটির পাশে জঙ্গলঘেরা জায়গা আছে বেশ খানিকটা। এর মধ্যে জঙ্গলের মালিক আজগর মোল্লা। তাঁর ভালোবাসা আর প্রশ্রয়ে তাঁর জঙ্গলের উঁচু গাছে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাস করে আসছে ১২টি শকুন।
এ দেশে যখন শকুন মেরে ফেলার সংস্কৃতি বহুল চর্চিত, তখন আজগর মোল্লা ভালোবেসে ৩০ বছর ধরে শকুনদের থাকতে দিয়েছেন নিজের চৌহদ্দিতে! এ বড় আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে। আজগর মোল্লার কাছে আমরা সেই ঘটনা জানতে চাই।
প্রসন্ন মুখে আজগর মোল্লা জানান, তিনি প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ভালোবেসে নিজের বাগানটিকে জঙ্গল বানিয়ে রেখেছেন। শকুনের কর্কশ ডাকে সকালে ঘুম ভাঙে তাঁর। কোনো সময় যদি তারা নীরব বসে থাকে, আজগর মোল্লা চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে দল বেঁধে শকুনেরা খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে যায়। ফিরে আসে বিকেল ৪টার মধ্যে। প্রথম দিকে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন থাকতেন তাদের ফিরে আসা নিয়ে। এখন আর সে চিন্তা করেন না। এভাবেই চলছে ৩০ বছর বা তার কিছু বেশি সময় ধরে।
প্রায় তিন দশক সময় শকুন দেখতে দেখতে আজগর মোল্লা মোটামুটি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, ১২টি শকুনের মধ্যে স্ত্রী শকুনের সংখ্যা কম।এরা বছরে একবার একটি বা দুটি সাদা অথবা ধূসর রঙের ডিম দেয়। বাগানের অপেক্ষাকৃত উঁচু নারকেলগাছের ডগায় বাসা বানিয়ে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বংশবিস্তার করে চলেছে।তবে সমস্যা হলো শকুনের বাচ্চাগুলো ডানায় ভর করে ওড়ার আগে মাটিতে পড়ে গেলে সেগুলোকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না। উঁচু গাছ থেকে পড়ে সেগুলো মারা যায়।
আমরা ঘুরেফিরে দেখে, ছবি তুলে ফিরতি পথ ধরি। আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে ১২টি বাংলা শকুন এখনো বেঁচে আছে পাবনার এই ছোট্ট এলাকায় এক মানবিক মানুষের ভালোবাসায়। রাজশাহী বিভাগে বেড়া ছাড়া আর কোথাও এই বাংলা শকুনের বসবাস নেই।
এ তথ্যটি আমাদের জানান বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা বন্য প্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির। বেড়ার ১২টি শকুনের কথা জেনে শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার, গাজীপুরের পাখিবিদ আল্লামা শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চাকলা মোল্লাপাড়া ঘুরে এসেছে। তিনি সামাজিক বন বিভাগ পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপি বিকাশ চন্দ্রকে তত্ত্বাবধায়ক ও সাংবাদিক আরিফ খানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের শকুন রক্ষা কমিটি ঘোষণা করেছেন। এই কমিটি শকুনদের প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
পাবনা-নাটোর মিলে যে বিশাল চলনবিল, তারই একটি অংশ চাকলা বিল। এই বিলের একটি অংশের নাম চাকলা মোড়। এ নামে কেউ না-ও চিনতে পারেন জায়গাটিকে। পুরো ঠিকানা পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের চাকলা বাসস্ট্যান্ড। কয়েকটি গ্রামের মিলনক্ষেত্র এই বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে চাকলা মোল্লাপাড়া গ্রাম। এর পাশে পাঁচুড়িয়া, খাকছাড়া ও দমদমা নামে আরও তিনটি গ্রাম আছে। আর বাসস্ট্যান্ডের একেবারে পাশে আছে পুন্ডরিয়া। এ গ্রামগুলো চাকলা বিলের পাড়ে।
চাকলা মোল্লাপাড়ায় অধ্যাপক আবদুল মালেক ও আজগর মোল্লার বাড়ি। এই বাড়ি দুটির পাশে জঙ্গলঘেরা জায়গা আছে বেশ খানিকটা। এর মধ্যে জঙ্গলের মালিক আজগর মোল্লা। তাঁর ভালোবাসা আর প্রশ্রয়ে তাঁর জঙ্গলের উঁচু গাছে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাস করে আসছে ১২টি শকুন।
এ দেশে যখন শকুন মেরে ফেলার সংস্কৃতি বহুল চর্চিত, তখন আজগর মোল্লা ভালোবেসে ৩০ বছর ধরে শকুনদের থাকতে দিয়েছেন নিজের চৌহদ্দিতে! এ বড় আশ্চর্যজনক ঘটনাই বটে। আজগর মোল্লার কাছে আমরা সেই ঘটনা জানতে চাই।
প্রসন্ন মুখে আজগর মোল্লা জানান, তিনি প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ভালোবেসে নিজের বাগানটিকে জঙ্গল বানিয়ে রেখেছেন। শকুনের কর্কশ ডাকে সকালে ঘুম ভাঙে তাঁর। কোনো সময় যদি তারা নীরব বসে থাকে, আজগর মোল্লা চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে দল বেঁধে শকুনেরা খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে যায়। ফিরে আসে বিকেল ৪টার মধ্যে। প্রথম দিকে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন থাকতেন তাদের ফিরে আসা নিয়ে। এখন আর সে চিন্তা করেন না। এভাবেই চলছে ৩০ বছর বা তার কিছু বেশি সময় ধরে।
প্রায় তিন দশক সময় শকুন দেখতে দেখতে আজগর মোল্লা মোটামুটি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, ১২টি শকুনের মধ্যে স্ত্রী শকুনের সংখ্যা কম।এরা বছরে একবার একটি বা দুটি সাদা অথবা ধূসর রঙের ডিম দেয়। বাগানের অপেক্ষাকৃত উঁচু নারকেলগাছের ডগায় বাসা বানিয়ে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বংশবিস্তার করে চলেছে।তবে সমস্যা হলো শকুনের বাচ্চাগুলো ডানায় ভর করে ওড়ার আগে মাটিতে পড়ে গেলে সেগুলোকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না। উঁচু গাছ থেকে পড়ে সেগুলো মারা যায়।
আমরা ঘুরেফিরে দেখে, ছবি তুলে ফিরতি পথ ধরি। আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে ১২টি বাংলা শকুন এখনো বেঁচে আছে পাবনার এই ছোট্ট এলাকায় এক মানবিক মানুষের ভালোবাসায়। রাজশাহী বিভাগে বেড়া ছাড়া আর কোথাও এই বাংলা শকুনের বসবাস নেই।
এ তথ্যটি আমাদের জানান বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা বন্য প্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির। বেড়ার ১২টি শকুনের কথা জেনে শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার, গাজীপুরের পাখিবিদ আল্লামা শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চাকলা মোল্লাপাড়া ঘুরে এসেছে। তিনি সামাজিক বন বিভাগ পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপি বিকাশ চন্দ্রকে তত্ত্বাবধায়ক ও সাংবাদিক আরিফ খানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের শকুন রক্ষা কমিটি ঘোষণা করেছেন। এই কমিটি শকুনদের প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে