অলকানন্দা রায়, ঢাকা
মাথাভরা কুচকুচে কালো চুল, মাঝ বরাবর সিঁথি আর কপালে টিপের সাজ—এই হলো চিরন্তন বাঙালি নারীর শাশ্বত রূপ। এ রূপে ভোলেনি এমন কবি-সাহিত্যিক বোধ হয় একজনও নেই এ বঙ্গে। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,
‘…পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি
খয়েরি টিপ
জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ…’
এসব কবিতা, গল্প কিংবা উপন্যাসের চরিত্রদের টিপের সাজই বলে দেয়, আমাদের দেশে টিপের জনপ্রিয়তার গল্প। সে টিপ কখনো কালো, চাঁপা ফুল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে, কখনো সে টিপ খয়েরি আবার কখনো শাড়ির আঁচল, পাড়, জমিনের সঙ্গে মিলিয়ে লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা, আকাশি! রংবেরঙের এসব টিপের বাহার যেন খোলে কপালের মাঝখানে। সে জন্যই মনে হয়, নারীদের রূপের কথা বললে কাজল কালো চোখ আর কপালে টিপের কথাই মনে আসবে সবার আগে।
এককালে চুল বাঁধা, শাড়ি-গয়না পরার পরের সজ্জা ছিল ভ্রুর মাঝখানের ছোট্ট অংশজুড়ে চন্দন কিংবা কুমকুমের আলপনা। নানা রঙের কুমকুমের নকশায় ভরে উঠত বাড়ির বউ-ঝিয়ের ললাট। সাজের বাক্সে কুমকুমের আদর ছিল তাই বেশি। আর বিয়ের কনের কপালজুড়ে কুমকুম চন্দনের আলপনার সাজে নিত্যনতুন নকশা যোগ না হলে যেন কনের মনই ভরত না। কোন বাড়ির কোন কনের কপাল থেকে গাল পর্যন্ত আলপনার নকশা কতটা নিখুঁত হলো, কতটা সুন্দর হলো—এ নিয়েও প্রতিযোগিতার শেষ ছিল না।
এখনকার বিয়েতে সবাই একাধিক আয়োজন করে ছেলের বাড়ি ও মেয়ের বাড়ি মিলিয়ে। তাই একটা আয়োজন থেকে আরেকটা ভিন্ন করতে নতুন, পুরোনো সব থিম ফিরে এসেছে। চন্দন, ফেব্রিক ও পোস্টার কালার দিয়ে কপাল এবং হাতে আঁকা এই আলপনা আশি-নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় ছিল সব ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। এখন সেই আলপনার ঢঙে হাতে আঁকা টিপ আবার ফিরতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন উৎসবে এগুলো এখন হরহামেশা দেখা যাচ্ছে।
–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
এরপর এল নরম মখমল কাপড়ের টিপ। মাথায় এক ঢাল ঢেউখেলানো চুল, টেনে বাঁধা খোঁপা, পরনে শাড়ি আর দুই ভ্রুর মাঝখানে একটি জ্বলজ্বলে রঙিন টিপ পরতে শুরু করলেন নারীরা। কুমকুম, চন্দনের নকশা করা টিপ কিংবা মখমল কাপড়ের টিপ—সবই আজও বহমান। শাড়ির সঙ্গে টিপ হয়ে ওঠে অনন্য জুড়ি। তাই বলে সালোয়ার-কামিজ বা পাশ্চাত্য পোশাকে টিপ যে বেমানান, তা একদমই নয়; বরং এসব পোশাকেও টিপ নান্দনিক হয়ে ওঠে আপন মহিমায়।
যুগের সঙ্গে যেমন সাজসজ্জার ধরন পাল্টে যায়, তেমনি পুরোনো ধরন ফিরে ফিরেও আসে। এ সময়ে তাই উৎসব-পার্বণে এমনকি কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও নারীরা কপালের ছোট্ট ক্যানভাসে এঁকে নিচ্ছেন কুমকুম বা চন্দনের আলপনা। এ সাজেই তাঁরা স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছেন পুরো অনুষ্ঠানে। এমনকি বিয়ের কনের আবদারেও যোগ হচ্ছে সেই পুরোনো দিনের কপালজুড়ে আলপনার সাজ।
একটা সময় যেমন পত্রচ্ছেদ্য, পত্রভঙ্গ, পত্রলেখা নামের নানা টিপ বাঙালি নারীর কপালে শোভা পেত, তেমনি গাছের ছোট পাতা কেটে নকশা করে, কখনো ফুলের পাপড়ি দিয়েও টিপ পরা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় আজকাল একরঙা টিপের গায়ে জায়গা করে নিয়েছে নানান নকশার আঁকিবুঁকি। রং-তুলির নকশাসহ রুপা-তামার মতো ধাতুর ছোট জুয়েলারির নকশাও দেখা যায় টিপে। শুধু কি তা-ই! ছোট্ট টিপে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে কখনো বক, মাছরাঙা, হাতি, প্যাঁচা, সাপ আবার কখনো কাঠ বা মেটালের শিউলি, কদম, কাঠগোলাপ, পানা ফুলের দলও।
মাথাভরা কুচকুচে কালো চুল, মাঝ বরাবর সিঁথি আর কপালে টিপের সাজ—এই হলো চিরন্তন বাঙালি নারীর শাশ্বত রূপ। এ রূপে ভোলেনি এমন কবি-সাহিত্যিক বোধ হয় একজনও নেই এ বঙ্গে। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,
‘…পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি
খয়েরি টিপ
জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ…’
এসব কবিতা, গল্প কিংবা উপন্যাসের চরিত্রদের টিপের সাজই বলে দেয়, আমাদের দেশে টিপের জনপ্রিয়তার গল্প। সে টিপ কখনো কালো, চাঁপা ফুল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে, কখনো সে টিপ খয়েরি আবার কখনো শাড়ির আঁচল, পাড়, জমিনের সঙ্গে মিলিয়ে লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা, আকাশি! রংবেরঙের এসব টিপের বাহার যেন খোলে কপালের মাঝখানে। সে জন্যই মনে হয়, নারীদের রূপের কথা বললে কাজল কালো চোখ আর কপালে টিপের কথাই মনে আসবে সবার আগে।
এককালে চুল বাঁধা, শাড়ি-গয়না পরার পরের সজ্জা ছিল ভ্রুর মাঝখানের ছোট্ট অংশজুড়ে চন্দন কিংবা কুমকুমের আলপনা। নানা রঙের কুমকুমের নকশায় ভরে উঠত বাড়ির বউ-ঝিয়ের ললাট। সাজের বাক্সে কুমকুমের আদর ছিল তাই বেশি। আর বিয়ের কনের কপালজুড়ে কুমকুম চন্দনের আলপনার সাজে নিত্যনতুন নকশা যোগ না হলে যেন কনের মনই ভরত না। কোন বাড়ির কোন কনের কপাল থেকে গাল পর্যন্ত আলপনার নকশা কতটা নিখুঁত হলো, কতটা সুন্দর হলো—এ নিয়েও প্রতিযোগিতার শেষ ছিল না।
এখনকার বিয়েতে সবাই একাধিক আয়োজন করে ছেলের বাড়ি ও মেয়ের বাড়ি মিলিয়ে। তাই একটা আয়োজন থেকে আরেকটা ভিন্ন করতে নতুন, পুরোনো সব থিম ফিরে এসেছে। চন্দন, ফেব্রিক ও পোস্টার কালার দিয়ে কপাল এবং হাতে আঁকা এই আলপনা আশি-নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় ছিল সব ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। এখন সেই আলপনার ঢঙে হাতে আঁকা টিপ আবার ফিরতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন উৎসবে এগুলো এখন হরহামেশা দেখা যাচ্ছে।
–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার
এরপর এল নরম মখমল কাপড়ের টিপ। মাথায় এক ঢাল ঢেউখেলানো চুল, টেনে বাঁধা খোঁপা, পরনে শাড়ি আর দুই ভ্রুর মাঝখানে একটি জ্বলজ্বলে রঙিন টিপ পরতে শুরু করলেন নারীরা। কুমকুম, চন্দনের নকশা করা টিপ কিংবা মখমল কাপড়ের টিপ—সবই আজও বহমান। শাড়ির সঙ্গে টিপ হয়ে ওঠে অনন্য জুড়ি। তাই বলে সালোয়ার-কামিজ বা পাশ্চাত্য পোশাকে টিপ যে বেমানান, তা একদমই নয়; বরং এসব পোশাকেও টিপ নান্দনিক হয়ে ওঠে আপন মহিমায়।
যুগের সঙ্গে যেমন সাজসজ্জার ধরন পাল্টে যায়, তেমনি পুরোনো ধরন ফিরে ফিরেও আসে। এ সময়ে তাই উৎসব-পার্বণে এমনকি কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও নারীরা কপালের ছোট্ট ক্যানভাসে এঁকে নিচ্ছেন কুমকুম বা চন্দনের আলপনা। এ সাজেই তাঁরা স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছেন পুরো অনুষ্ঠানে। এমনকি বিয়ের কনের আবদারেও যোগ হচ্ছে সেই পুরোনো দিনের কপালজুড়ে আলপনার সাজ।
একটা সময় যেমন পত্রচ্ছেদ্য, পত্রভঙ্গ, পত্রলেখা নামের নানা টিপ বাঙালি নারীর কপালে শোভা পেত, তেমনি গাছের ছোট পাতা কেটে নকশা করে, কখনো ফুলের পাপড়ি দিয়েও টিপ পরা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় আজকাল একরঙা টিপের গায়ে জায়গা করে নিয়েছে নানান নকশার আঁকিবুঁকি। রং-তুলির নকশাসহ রুপা-তামার মতো ধাতুর ছোট জুয়েলারির নকশাও দেখা যায় টিপে। শুধু কি তা-ই! ছোট্ট টিপে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে কখনো বক, মাছরাঙা, হাতি, প্যাঁচা, সাপ আবার কখনো কাঠ বা মেটালের শিউলি, কদম, কাঠগোলাপ, পানা ফুলের দলও।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে