জাহিদুর রহমান সোহাগ, দাকোপ (খুলনা)
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর কৃষিজমিতে পশুর নদের বালু ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কৃষকেরা বলছেন, এটি করলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন তাঁরা। কারণ, বালু ফেলার পর এই জমিতে আর কোনো ফসল ফলবে না। তাঁদের একটাই কথা, জীবন দেব, কিন্তু তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ভরাট করতে দেব না।
কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০২০ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইনারবার প্রকল্পের আওতায় পশুর নদ খননের সিদ্ধান্ত নেয়। ড্রেজিং করা বালুমাটি ফেলার জন্য এক হাজার একর জমি হুকুমদখলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭০০ একর জমি সরকারিভাবে হুকুমদখলের মাধ্যমে বালুমাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ একর জমিতে বালু ফেলাও সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর উর্বর কৃষিজমিতে বালু ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ওই জমি বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনটি পোল্ডারে বিভক্ত করে। ওই কৃষিজমির আশপাশে রয়েছে বানিশান্তা, আমতলা, ভোজনখালী, ঢাংমারী ও খেজুরিয়া গ্রাম। এখানে ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের বসবাস এবং অধিকাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা জেলা প্রশাসন বানিশান্তা এলাকার ২৫০ জন কৃষিজমির মালিককে হুকুমদখলের নোটিশ দেওয়া শুরু হলে জমির মালিকেরা আপত্তি জানান। তাঁরা তাঁদের জমিতে বালুমাটি না ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। তখন প্রশাসন অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গণশুনানির আয়োজন করলেও সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মতামত উপেক্ষা করে মোংলা বন্দরের অনুকূলে বানিশান্তা ইউনিয়নের ওই কৃষিজমি হুকুমদখলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে হুকুমদখল বাতিল এবং কৃষিজমিতে পশুর নদের খননের মাটি বালু ফেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন এলাকার কৃষকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ১১টি পরিবেশবাদী সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করছে।
বানিশান্তা এলাকার ষাটোর্ধ্ব অশোক রায় বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ছলনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের তিন ফসলি কৃষিজমিকে অকৃষি, অনুর্বর, ডোবানালা, এসব জমিতে একটি মাত্র ফসল হয়—এসব কথা বলে সরকারকে ভুল তথ্য দিয়েছে এবং তা জনমত যাচাই ছাড়াই হুকুমদখল করে বালুমাটি ফেলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে প্রস্তাবিত বানিশান্তা এলাকায় ৩০০ একর উর্বর তিন ফসলি কৃষিজমি। এই জমিতে আষাঢ় থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত আমন ধান, পৌষ থেকে বৈশাখ পর্যন্ত প্রধান অর্থকরী ফসল তরমুজসহ অন্যান্য রবিশস্য চাষ করা হয়। এ ছাড়া বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত কিছু জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হয়। এখন এই জমিতে বালুমাটি ফেলা হলে আমরা এলাকার হাজারো প্রান্তিক কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই অভিমত ব্যক্ত করেন মনোজিত দেব, বিজন বিহারি মণ্ডল, পাপিয়া মিস্ত্রি, বৈশাখী রায়, বিভাষ মণ্ডল, গৌতম রায়, সমীর রায়, ধ্রুব বৈদ্য, খোকন শেখ, জামাল গাজী, সুশান্ত হালদারসহ আরও অনেকে।
বানিশান্তা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি সত্যজিৎ গায়েন বলেন, ‘পশুর নদ খনন বন্ধ হোক আমরা সেটি চাই না। আমরা চাই তিন ফসলের কৃষিজমি নষ্ট না করে বিকল্প জায়গায় বালু ফেলা।’
বানিশান্তা ইউপির চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় জানান, গত মাসে মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে সরকার বালু ফেলানো স্থগিত করেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কৃষকের মধ্য স্বস্তি ফিরে আসে। সম্প্রতি আবার বালু ফেলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে কৃষকেরা আবার হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান বলেন, ‘কৃষিজমি মাটি বালু দিয়ে ভরাট করলে জমিতে কোনো ফসল হবে না। এতে এলাকার কৃষকদের অনেক ক্ষতি হবে। আমার কাছে মতামত চেয়েছিল ওখানকার জমিতে কী কী ফসল হয়। আমি মত দিয়েছি ওই জমিতে ধান, তরমুজসহ নানা রকমের সবজি চাষ হয়।
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর কৃষিজমিতে পশুর নদের বালু ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কৃষকেরা বলছেন, এটি করলে নিঃস্ব হয়ে যাবেন তাঁরা। কারণ, বালু ফেলার পর এই জমিতে আর কোনো ফসল ফলবে না। তাঁদের একটাই কথা, জীবন দেব, কিন্তু তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ভরাট করতে দেব না।
কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০২০ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইনারবার প্রকল্পের আওতায় পশুর নদ খননের সিদ্ধান্ত নেয়। ড্রেজিং করা বালুমাটি ফেলার জন্য এক হাজার একর জমি হুকুমদখলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭০০ একর জমি সরকারিভাবে হুকুমদখলের মাধ্যমে বালুমাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ একর জমিতে বালু ফেলাও সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর উর্বর কৃষিজমিতে বালু ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ওই জমি বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনটি পোল্ডারে বিভক্ত করে। ওই কৃষিজমির আশপাশে রয়েছে বানিশান্তা, আমতলা, ভোজনখালী, ঢাংমারী ও খেজুরিয়া গ্রাম। এখানে ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের বসবাস এবং অধিকাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা জেলা প্রশাসন বানিশান্তা এলাকার ২৫০ জন কৃষিজমির মালিককে হুকুমদখলের নোটিশ দেওয়া শুরু হলে জমির মালিকেরা আপত্তি জানান। তাঁরা তাঁদের জমিতে বালুমাটি না ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। তখন প্রশাসন অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গণশুনানির আয়োজন করলেও সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মতামত উপেক্ষা করে মোংলা বন্দরের অনুকূলে বানিশান্তা ইউনিয়নের ওই কৃষিজমি হুকুমদখলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকে হুকুমদখল বাতিল এবং কৃষিজমিতে পশুর নদের খননের মাটি বালু ফেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন এলাকার কৃষকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ১১টি পরিবেশবাদী সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করছে।
বানিশান্তা এলাকার ষাটোর্ধ্ব অশোক রায় বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ছলনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের তিন ফসলি কৃষিজমিকে অকৃষি, অনুর্বর, ডোবানালা, এসব জমিতে একটি মাত্র ফসল হয়—এসব কথা বলে সরকারকে ভুল তথ্য দিয়েছে এবং তা জনমত যাচাই ছাড়াই হুকুমদখল করে বালুমাটি ফেলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে প্রস্তাবিত বানিশান্তা এলাকায় ৩০০ একর উর্বর তিন ফসলি কৃষিজমি। এই জমিতে আষাঢ় থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত আমন ধান, পৌষ থেকে বৈশাখ পর্যন্ত প্রধান অর্থকরী ফসল তরমুজসহ অন্যান্য রবিশস্য চাষ করা হয়। এ ছাড়া বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত কিছু জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হয়। এখন এই জমিতে বালুমাটি ফেলা হলে আমরা এলাকার হাজারো প্রান্তিক কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই অভিমত ব্যক্ত করেন মনোজিত দেব, বিজন বিহারি মণ্ডল, পাপিয়া মিস্ত্রি, বৈশাখী রায়, বিভাষ মণ্ডল, গৌতম রায়, সমীর রায়, ধ্রুব বৈদ্য, খোকন শেখ, জামাল গাজী, সুশান্ত হালদারসহ আরও অনেকে।
বানিশান্তা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি সত্যজিৎ গায়েন বলেন, ‘পশুর নদ খনন বন্ধ হোক আমরা সেটি চাই না। আমরা চাই তিন ফসলের কৃষিজমি নষ্ট না করে বিকল্প জায়গায় বালু ফেলা।’
বানিশান্তা ইউপির চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় জানান, গত মাসে মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে সরকার বালু ফেলানো স্থগিত করেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কৃষকের মধ্য স্বস্তি ফিরে আসে। সম্প্রতি আবার বালু ফেলানোর তোড়জোড় শুরু করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে কৃষকেরা আবার হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান বলেন, ‘কৃষিজমি মাটি বালু দিয়ে ভরাট করলে জমিতে কোনো ফসল হবে না। এতে এলাকার কৃষকদের অনেক ক্ষতি হবে। আমার কাছে মতামত চেয়েছিল ওখানকার জমিতে কী কী ফসল হয়। আমি মত দিয়েছি ওই জমিতে ধান, তরমুজসহ নানা রকমের সবজি চাষ হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে