তপন কুমার ঘোষ
ব্যাংক কোম্পানিগুলোর নাম আংশিক পরিবর্তন করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ-সংক্রান্ত বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৪ জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। ওই সার্কুলারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ১১ ক (ক) ধারার বিধান অনুসারে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সীমিতদায় পাবলিক ব্যাংক কোম্পানির নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ‘পিএলসি’ লিখতে হবে। খুব সহজ করে বললে, যেসব ব্যাংকের নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি আছে, ওই সব ব্যাংক ‘লিমিটেড’ শব্দটি বাদ দিয়ে নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা সংক্ষেপে ‘পিএলসি’ লিখবে। কোম্পানি আইনের উপরিউক্ত বিধান পরিপালন করতে ব্যাংক কোম্পানির নাম ও মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন বা সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য বিআরপিডি সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানিগুলোকে প্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে তফসিলি ব্যাংক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ৬টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক। কোম্পানি আইনের এই নতুন বিধান পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রসঙ্গত, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ইতিমধ্যে নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নাম ‘আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’ হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘পিএলসি’ যোগ করার বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণেই ব্যাংক কোম্পানির নাম পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০ জারির মাধ্যমে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও কয়েকটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। ‘সীমিতদায় কোম্পানি শনাক্তকরণ’ সংক্রান্ত একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে (ধারা ১১ ক)। ওই ধারার বিধান মোতাবেক সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ইংরেজিতে ‘পিএলসি’ লিখতে হবে [ধারা ১১ ক (ক)]। ‘পিএলসি’ হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সংক্ষিপ্ত রূপ। অন্যদিকে, ১১ ক (খ) ধারায় বলা হয়েছে, সীমিতদায় প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘সীমিতদায়’ বা ইংরেজিতে ‘এলটিডি’ লিখতে হবে। আর এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ বা ইংরেজিতে ‘ওয়ান পারসন কোম্পানি’ বা সংক্ষেপে, ‘ওপিসি’ লেখার বিধান কোম্পানি আইনে সংযোজন করা হয়েছে [ধারা ১১ ক (গ)]। এক ব্যক্তি কোম্পানি গঠন, নিবন্ধন ও পরিচালনাসংক্রান্ত একটি নতুন খণ্ড (দশম-ক) কোম্পানি আইনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘সীমিতদায়’ কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ারধারীদের দায় তাঁদের নিজ নিজ ধারণকৃত শেয়ার-মূলধন পর্যন্ত সীমিত। এর অর্থ হচ্ছে, কোম্পানির দায়দেনা পরিশোধ বা আর্থিক ক্ষতির জন্য শেয়ারধারী মালিকেরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন না। কোম্পানির সম্পদ থেকে কোম্পানির দায় পরিশোধ হবে। লিমিটেড কোম্পানির অবসায়ন হলে শেয়ারধারীরা বড়জোর কোম্পানিতে তাঁদের বিনিয়োগকৃত শেয়ার-মূলধন খোয়াতে পারেন।
আগেই বলা হয়েছে, কোম্পানি আইনে সন্নিবেশিত নতুন বিধান [ধারা ১১ ক (ক)] পরিপালনের জন্য ব্যাংক কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। সংঘস্মারককে কোম্পানির সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কোম্পানির নাম, নিবন্ধিত কার্যালয়ের ঠিকানা, উদ্দেশ্য, শেয়ার-মূলধন ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো সংঘস্মারকে উল্লেখ থাকে। আর আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন বা সংঘবিধিতে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। সংঘস্মারক ও সংঘবিধি একই সঙ্গে নিবন্ধন করতে হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ১১৬ ও ১১৭ অনুযায়ী ব্যাংক কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি গ্রহণ আবশ্যক। এ দুটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পৃথকভাবে আবেদন করার প্রয়োজন হবে না মর্মে বিআরপিডি সার্কুলারে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোম্পানি আইনের বিধান অনুসারে, কোনো কোম্পানি বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে পারে। তবে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের (আরজেএসসি) অনুমোদন প্রয়োজন হয় [ধারা ১১ (৬)]। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যাংকের বিশেষ সাধারণ সভায় ব্যাংক কোম্পানির নাম পরিবর্তন ও তদনুযায়ী সংঘস্মারকে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে; বিশেষ সিদ্ধান্তের অনুলিপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্রসহ আরজেএসসি বরাবর আবেদন করতে হবে। কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ধারা ১১ (৭) মোতাবেক আরজেএসসি নিবন্ধন বইয়ে কোম্পানির নতুন নাম লিপিবদ্ধ করবেন এবং পরিবর্তিত নামে সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন বা নিবন্ধনপত্র ইস্যু করবেন। সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন প্রদানের পর কোম্পানির নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে।
নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর অবগতি ও পরিবর্তিত নামের গেজেট প্রকাশের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে আবেদন করার জন্য বিআরপিডি সার্কুলারে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর ব্যাংক কোম্পানির পরিবর্তিত নাম কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে প্রেরণ করবে।
তপন কুমার ঘোষ, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড
ব্যাংক কোম্পানিগুলোর নাম আংশিক পরিবর্তন করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ-সংক্রান্ত বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৪ জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। ওই সার্কুলারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ১১ ক (ক) ধারার বিধান অনুসারে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সীমিতদায় পাবলিক ব্যাংক কোম্পানির নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ‘পিএলসি’ লিখতে হবে। খুব সহজ করে বললে, যেসব ব্যাংকের নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি আছে, ওই সব ব্যাংক ‘লিমিটেড’ শব্দটি বাদ দিয়ে নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা সংক্ষেপে ‘পিএলসি’ লিখবে। কোম্পানি আইনের উপরিউক্ত বিধান পরিপালন করতে ব্যাংক কোম্পানির নাম ও মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন বা সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য বিআরপিডি সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানিগুলোকে প্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে তফসিলি ব্যাংক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ৬টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক। কোম্পানি আইনের এই নতুন বিধান পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রসঙ্গত, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ইতিমধ্যে নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নাম ‘আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’ হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘পিএলসি’ যোগ করার বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।
আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণেই ব্যাংক কোম্পানির নাম পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০ জারির মাধ্যমে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও কয়েকটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। ‘সীমিতদায় কোম্পানি শনাক্তকরণ’ সংক্রান্ত একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে (ধারা ১১ ক)। ওই ধারার বিধান মোতাবেক সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ইংরেজিতে ‘পিএলসি’ লিখতে হবে [ধারা ১১ ক (ক)]। ‘পিএলসি’ হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সংক্ষিপ্ত রূপ। অন্যদিকে, ১১ ক (খ) ধারায় বলা হয়েছে, সীমিতদায় প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘সীমিতদায়’ বা ইংরেজিতে ‘এলটিডি’ লিখতে হবে। আর এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের শেষে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ বা ইংরেজিতে ‘ওয়ান পারসন কোম্পানি’ বা সংক্ষেপে, ‘ওপিসি’ লেখার বিধান কোম্পানি আইনে সংযোজন করা হয়েছে [ধারা ১১ ক (গ)]। এক ব্যক্তি কোম্পানি গঠন, নিবন্ধন ও পরিচালনাসংক্রান্ত একটি নতুন খণ্ড (দশম-ক) কোম্পানি আইনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘সীমিতদায়’ কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ারধারীদের দায় তাঁদের নিজ নিজ ধারণকৃত শেয়ার-মূলধন পর্যন্ত সীমিত। এর অর্থ হচ্ছে, কোম্পানির দায়দেনা পরিশোধ বা আর্থিক ক্ষতির জন্য শেয়ারধারী মালিকেরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন না। কোম্পানির সম্পদ থেকে কোম্পানির দায় পরিশোধ হবে। লিমিটেড কোম্পানির অবসায়ন হলে শেয়ারধারীরা বড়জোর কোম্পানিতে তাঁদের বিনিয়োগকৃত শেয়ার-মূলধন খোয়াতে পারেন।
আগেই বলা হয়েছে, কোম্পানি আইনে সন্নিবেশিত নতুন বিধান [ধারা ১১ ক (ক)] পরিপালনের জন্য ব্যাংক কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। সংঘস্মারককে কোম্পানির সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কোম্পানির নাম, নিবন্ধিত কার্যালয়ের ঠিকানা, উদ্দেশ্য, শেয়ার-মূলধন ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো সংঘস্মারকে উল্লেখ থাকে। আর আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন বা সংঘবিধিতে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। সংঘস্মারক ও সংঘবিধি একই সঙ্গে নিবন্ধন করতে হয়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ১১৬ ও ১১৭ অনুযায়ী ব্যাংক কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি গ্রহণ আবশ্যক। এ দুটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পৃথকভাবে আবেদন করার প্রয়োজন হবে না মর্মে বিআরপিডি সার্কুলারে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোম্পানি আইনের বিধান অনুসারে, কোনো কোম্পানি বিশেষ সিদ্ধান্তক্রমে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে পারে। তবে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের (আরজেএসসি) অনুমোদন প্রয়োজন হয় [ধারা ১১ (৬)]। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যাংকের বিশেষ সাধারণ সভায় ব্যাংক কোম্পানির নাম পরিবর্তন ও তদনুযায়ী সংঘস্মারকে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে; বিশেষ সিদ্ধান্তের অনুলিপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্রসহ আরজেএসসি বরাবর আবেদন করতে হবে। কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ধারা ১১ (৭) মোতাবেক আরজেএসসি নিবন্ধন বইয়ে কোম্পানির নতুন নাম লিপিবদ্ধ করবেন এবং পরিবর্তিত নামে সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন বা নিবন্ধনপত্র ইস্যু করবেন। সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন প্রদানের পর কোম্পানির নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে।
নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর অবগতি ও পরিবর্তিত নামের গেজেট প্রকাশের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে আবেদন করার জন্য বিআরপিডি সার্কুলারে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর ব্যাংক কোম্পানির পরিবর্তিত নাম কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে প্রেরণ করবে।
তপন কুমার ঘোষ, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে