পীরগাছা প্রতিনিধি
ঘর আলোকিত করে যখন নতুন অতিথি আসে, তখন মা-বাবা ও স্বজনদের আনন্দের শেষ থাকে না। কিন্তু সেই সন্তান যদি স্বাভাবিক না হয়, দেখা দেয় দুশ্চিন্তা। পীরগাছায় বুক জোড়া লাগানো দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে এমনই পরিস্থিতিতে পড়েছে এক দরিদ্র দম্পতি।
উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বিহারি গ্রামের খলিল মিয়া ও হালিমা বেগম দম্পতির ঘরে শিশু দুটির জন্ম হয়েছে। রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১২ ডিসেম্বর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়।
ভ্যানচালক খলিল দুই সন্তান ও স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসক শিশু দুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছে। বর্তমানে শিশু দুটি ও তাদের মা হালিমা কাউনিয়ার সাধু কুটিরঘাট এলাকায় নানার বাড়িতে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, জন্মের পর শিশু দুটির অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন নিবিড় পরিচর্যার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকেরা।
খলিল বলেন, ‘বিয়ের তিন বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের আগমনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বাচ্চাদের জন্ম নেওয়ার পর সেই হাসি মলিন হয়ে গেছে। স্ত্রীর সিজারসহ বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা অন্যের কাছে ধার করেছি। এখন কী করব জানি না। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। চিকিৎসা তো দূরের কথা, গাড়ি ভাড়াই নেই।’
নবজাতক দুটির মা হালিমা বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলছে। আমার সিজারের অংশে পেটের ভেতরে ইনফেকশন হয়েছে। হাঁটতে পারছি না। ভ্যান চালিয়ে বাচ্চা দুটির দুধসহ ওষুধ কিনে খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছে না আমার স্বামী। দিনমজুর বাবার বাসায় উঠেছি। এই বাচ্চা দুটিকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। আমি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বাবলু কুমার সাহা জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘কনজয়েন্ট টুইন’ হিসেবে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশু দুটিকে সার্জারি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করতে বলা হয়। খরচ বেশি হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলে সেখানে সুচিকিৎসা হবে। সেখানে যাবতীয় যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
ঘর আলোকিত করে যখন নতুন অতিথি আসে, তখন মা-বাবা ও স্বজনদের আনন্দের শেষ থাকে না। কিন্তু সেই সন্তান যদি স্বাভাবিক না হয়, দেখা দেয় দুশ্চিন্তা। পীরগাছায় বুক জোড়া লাগানো দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে এমনই পরিস্থিতিতে পড়েছে এক দরিদ্র দম্পতি।
উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বিহারি গ্রামের খলিল মিয়া ও হালিমা বেগম দম্পতির ঘরে শিশু দুটির জন্ম হয়েছে। রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১২ ডিসেম্বর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়।
ভ্যানচালক খলিল দুই সন্তান ও স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসক শিশু দুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছে। বর্তমানে শিশু দুটি ও তাদের মা হালিমা কাউনিয়ার সাধু কুটিরঘাট এলাকায় নানার বাড়িতে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, জন্মের পর শিশু দুটির অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন নিবিড় পরিচর্যার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকেরা।
খলিল বলেন, ‘বিয়ের তিন বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের আগমনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বাচ্চাদের জন্ম নেওয়ার পর সেই হাসি মলিন হয়ে গেছে। স্ত্রীর সিজারসহ বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা অন্যের কাছে ধার করেছি। এখন কী করব জানি না। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। চিকিৎসা তো দূরের কথা, গাড়ি ভাড়াই নেই।’
নবজাতক দুটির মা হালিমা বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলছে। আমার সিজারের অংশে পেটের ভেতরে ইনফেকশন হয়েছে। হাঁটতে পারছি না। ভ্যান চালিয়ে বাচ্চা দুটির দুধসহ ওষুধ কিনে খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছে না আমার স্বামী। দিনমজুর বাবার বাসায় উঠেছি। এই বাচ্চা দুটিকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। আমি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বাবলু কুমার সাহা জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘কনজয়েন্ট টুইন’ হিসেবে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশু দুটিকে সার্জারি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করতে বলা হয়। খরচ বেশি হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলে সেখানে সুচিকিৎসা হবে। সেখানে যাবতীয় যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে