সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
পদ্মা নদীকে নাল দেখিয়ে দালাল চক্র ৪৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রক্ষা হয় পদ্মা সেতুর নদী শাসন প্রকল্পের এই টাকা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প থেকে নদী শাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি শিবচরের ছয়টি মৌজায় ২২৬ দশমিক ২৭ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ নম্বর মাদবরচর মৌজায় ২৬ দশমিক ১৪ একর নাল, ৯৭ নম্বর দক্ষিণ চরজানাজাত মৌজায় ৪২ দশমিক ৪৮ একর নাল, ৯৫ নম্বর বড় কেশবপুর মৌজায় ২০ দশমিক ৫০ একর নাল, ৯৬ নম্বর কাঁঠালবাড়ি মৌজায় ১০৮ দশমিক ৭৪ একর নাল, ৯৪ নম্বর বাঘিয়া মৌজায় ২৫ দশমিক ৫০ একর নাল ও ১০০ নম্বর ভাষালদি মৌজায় ২ দশমিক ৯১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের মার্চে সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে জমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে খাস জমি ও নদী শ্রেণির বিষয়টি উঠে আসে। যৌথ তদন্তকালে নাল ও নদী শ্রেণি চিহ্নিত করে বাস্তব শ্রেণিভিত্তিক ফিল্ড বই প্রস্তুত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এর আগেই কিছু জমি অধিগ্রহণ হওয়ায় শূন্য দশমিক ১৪ একর জমি বাদ দিয়ে ২২৬ দশমিক ১৩ একর জমি অধিগ্রহণের ও ৪ (১) ধারায় নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই টাকা জেলা প্রশাসকের অনুকূলে জমা করা হলে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অন্যান্য এলএ কেসে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৭৭৩ টাকা সমন্বয় করে ৫৪৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা অবশিষ্ট থাকে।
এদিকে নতুন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, প্রকল্প এলাকা বাস্তবে নদী শ্রেণি হলেও, খননের ফলে নাল জমি নদী শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। পরে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও সন্দেহ দেখা দিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত জমির নাল ও নদী শ্রেণি স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে চিহ্নিত করে মৌজাভিত্তিক নকশা ও স্ক্র্যাচ ম্যাপ প্রত্যাশী সংস্থার কাছে চায়। কয়েক মাস পর প্রত্যাশী সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে জিওরেফারেনসিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে অধিগ্রহণের এলাইনমেন্ট যুক্ত দাগগুলোর শ্রেণি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত ছয়টি মৌজার মধ্যে শুধুমাত্র কাঁঠালবাড়ি মৌজায় ৩০ দশমিক ৮০ একর নাল ও শূন্য দশমিক ২৫ একর জমি ডোবাসহ মোট ৩১ দশমিক শূন্য ৫ একর নাল জমির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অপর পাঁচটি মৌজার ১৯৫ দশমিক শূন্য ৮ একর নদী শ্রেণি হিসেবে পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটি আবার যৌথ তদন্ত ও ফিল্ড বুক সম্পন্ন করে চূড়ান্ত দাগসূচি প্রস্তুত করে। পরে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হয়। কোনো আপত্তি না থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯৩ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩ টাকা চূড়ান্ত করা হয়। এতে করে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের ৪৬০ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ টাকা সাশ্রয় হয়।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘একটি অবৈধ প্রতারক চক্র তৎকালীন এলএ শাখার কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় নদী শ্রেণিকে নাল দেখিয়ে কয়েক শত কোটি টাকার বিল করেছিল। তদন্ত কমিটি করে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারি। এরপর মাদারীপুর ৩ আসনের সাংসদ ও হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর সার্বিক পরামর্শে সরকারের প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা রক্ষা করতে পেরেছি।’
পদ্মা নদীকে নাল দেখিয়ে দালাল চক্র ৪৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রক্ষা হয় পদ্মা সেতুর নদী শাসন প্রকল্পের এই টাকা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প থেকে নদী শাসন প্রকল্পের সুবিধার্থে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি শিবচরের ছয়টি মৌজায় ২২৬ দশমিক ২৭ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ নম্বর মাদবরচর মৌজায় ২৬ দশমিক ১৪ একর নাল, ৯৭ নম্বর দক্ষিণ চরজানাজাত মৌজায় ৪২ দশমিক ৪৮ একর নাল, ৯৫ নম্বর বড় কেশবপুর মৌজায় ২০ দশমিক ৫০ একর নাল, ৯৬ নম্বর কাঁঠালবাড়ি মৌজায় ১০৮ দশমিক ৭৪ একর নাল, ৯৪ নম্বর বাঘিয়া মৌজায় ২৫ দশমিক ৫০ একর নাল ও ১০০ নম্বর ভাষালদি মৌজায় ২ দশমিক ৯১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের মার্চে সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে জমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে খাস জমি ও নদী শ্রেণির বিষয়টি উঠে আসে। যৌথ তদন্তকালে নাল ও নদী শ্রেণি চিহ্নিত করে বাস্তব শ্রেণিভিত্তিক ফিল্ড বই প্রস্তুত করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এর আগেই কিছু জমি অধিগ্রহণ হওয়ায় শূন্য দশমিক ১৪ একর জমি বাদ দিয়ে ২২৬ দশমিক ১৩ একর জমি অধিগ্রহণের ও ৪ (১) ধারায় নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই টাকা জেলা প্রশাসকের অনুকূলে জমা করা হলে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অন্যান্য এলএ কেসে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৭৭৩ টাকা সমন্বয় করে ৫৪৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা অবশিষ্ট থাকে।
এদিকে নতুন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, প্রকল্প এলাকা বাস্তবে নদী শ্রেণি হলেও, খননের ফলে নাল জমি নদী শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। পরে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও সন্দেহ দেখা দিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত জমির নাল ও নদী শ্রেণি স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে চিহ্নিত করে মৌজাভিত্তিক নকশা ও স্ক্র্যাচ ম্যাপ প্রত্যাশী সংস্থার কাছে চায়। কয়েক মাস পর প্রত্যাশী সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে জিওরেফারেনসিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে অধিগ্রহণের এলাইনমেন্ট যুক্ত দাগগুলোর শ্রেণি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত ছয়টি মৌজার মধ্যে শুধুমাত্র কাঁঠালবাড়ি মৌজায় ৩০ দশমিক ৮০ একর নাল ও শূন্য দশমিক ২৫ একর জমি ডোবাসহ মোট ৩১ দশমিক শূন্য ৫ একর নাল জমির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অপর পাঁচটি মৌজার ১৯৫ দশমিক শূন্য ৮ একর নদী শ্রেণি হিসেবে পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটি আবার যৌথ তদন্ত ও ফিল্ড বুক সম্পন্ন করে চূড়ান্ত দাগসূচি প্রস্তুত করে। পরে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হয়। কোনো আপত্তি না থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯৩ কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩ টাকা চূড়ান্ত করা হয়। এতে করে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারের ৪৬০ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ টাকা সাশ্রয় হয়।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘একটি অবৈধ প্রতারক চক্র তৎকালীন এলএ শাখার কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় নদী শ্রেণিকে নাল দেখিয়ে কয়েক শত কোটি টাকার বিল করেছিল। তদন্ত কমিটি করে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারি। এরপর মাদারীপুর ৩ আসনের সাংসদ ও হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর সার্বিক পরামর্শে সরকারের প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা রক্ষা করতে পেরেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে