সম্পাদকীয়
অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাওয়া দুর্নীতির খবরগুলো ইদানীং বেশ চোখে পড়ছে। রাষ্ট্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি—সহজেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় যখন দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিচলিত না হয়ে পারা যায়? কারণ শিক্ষাব্যবস্থা হলো একটি জাতির মাথা তুলে দাঁড়ানোর জায়গা।
যেকোনো শিক্ষার্থী পরিবারের পরেই শিক্ষকের কাছ থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধের শিক্ষা পেয়ে থাকে। একজন আদর্শ শিক্ষকই এ ধরনের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই সব দিক দিয়ে একটি ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য আদর্শ শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই।
আদর্শ শিক্ষক ছাড়া আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবেও গড়ে ওঠে না কেউ। এ জন্য সর্বাগ্রে এমন শিক্ষক আমাদের কাম্য। কিন্তু জাল সনদ নিয়ে যখন কেউ শিক্ষক হন, তখন সেই আদর্শচ্যুত শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য শিখতে পারে?
রোববার আজকের পত্রিকায় জাল সনদে শিক্ষক হওয়া নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে ১৫৪ জন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪৮ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। এই ১৪৮ জন শিক্ষক চাকরি পাওয়ার পর থেকে এমপিওভুক্তির সব সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
এর আগেও ডিআইএর তদন্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শত শত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সব সংবাদ পড়ে মনে হয়েছে, জাল সনদে শিক্ষক হওয়া যেন একটি সংক্রামক ব্যাধি, ছড়িয়ে পড়ছে দিগ্বিদিক! এভাবে শিক্ষক হওয়ার ঘটনাগুলো মূলত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটেছে। আমরা জানি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে। আর এ কমিটির প্রধানেরা সাধারণত সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকেন।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন এই ক্ষমতাবানেরা মূল ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা নিজেদের শিক্ষানুরাগী হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন পদ-পদবি দখল করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের মতের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারেন না।
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপকর্ম করে থাকেন। যখন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন ম্যানেজিং কমিটির লোকেরা মেধাবীদের বঞ্চিত করে মেধাহীনদের নিয়োগ দেন। এ জন্য তাঁরা অবৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন।
শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার আগে শিক্ষাগত সব সনদ যথাযথভাবে যাচাই করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। কিন্তু এখানকার কিছু অসাধু কর্মকর্তা জাল সনদ জানার পরও অবৈধ সুবিধা নিয়ে এমপিওভুক্ত করে থাকেন।
জাল সনদে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রতিরোধ করার জন্য মাউশির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদারকি খুব জরুরি। তাহলে এ ধরনের অপকর্ম রোধ করা যাবে।
অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাওয়া দুর্নীতির খবরগুলো ইদানীং বেশ চোখে পড়ছে। রাষ্ট্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি—সহজেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় যখন দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিচলিত না হয়ে পারা যায়? কারণ শিক্ষাব্যবস্থা হলো একটি জাতির মাথা তুলে দাঁড়ানোর জায়গা।
যেকোনো শিক্ষার্থী পরিবারের পরেই শিক্ষকের কাছ থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধের শিক্ষা পেয়ে থাকে। একজন আদর্শ শিক্ষকই এ ধরনের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই সব দিক দিয়ে একটি ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য আদর্শ শিক্ষকের কোনো বিকল্প নেই।
আদর্শ শিক্ষক ছাড়া আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবেও গড়ে ওঠে না কেউ। এ জন্য সর্বাগ্রে এমন শিক্ষক আমাদের কাম্য। কিন্তু জাল সনদ নিয়ে যখন কেউ শিক্ষক হন, তখন সেই আদর্শচ্যুত শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য শিখতে পারে?
রোববার আজকের পত্রিকায় জাল সনদে শিক্ষক হওয়া নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে ১৫৪ জন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪৮ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। এই ১৪৮ জন শিক্ষক চাকরি পাওয়ার পর থেকে এমপিওভুক্তির সব সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
এর আগেও ডিআইএর তদন্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শত শত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সব সংবাদ পড়ে মনে হয়েছে, জাল সনদে শিক্ষক হওয়া যেন একটি সংক্রামক ব্যাধি, ছড়িয়ে পড়ছে দিগ্বিদিক! এভাবে শিক্ষক হওয়ার ঘটনাগুলো মূলত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটেছে। আমরা জানি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে। আর এ কমিটির প্রধানেরা সাধারণত সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকেন।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন এই ক্ষমতাবানেরা মূল ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা নিজেদের শিক্ষানুরাগী হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন পদ-পদবি দখল করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেরা তাঁদের মতের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারেন না।
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপকর্ম করে থাকেন। যখন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন ম্যানেজিং কমিটির লোকেরা মেধাবীদের বঞ্চিত করে মেধাহীনদের নিয়োগ দেন। এ জন্য তাঁরা অবৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন।
শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার আগে শিক্ষাগত সব সনদ যথাযথভাবে যাচাই করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। কিন্তু এখানকার কিছু অসাধু কর্মকর্তা জাল সনদ জানার পরও অবৈধ সুবিধা নিয়ে এমপিওভুক্ত করে থাকেন।
জাল সনদে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রতিরোধ করার জন্য মাউশির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদারকি খুব জরুরি। তাহলে এ ধরনের অপকর্ম রোধ করা যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে