পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর ফল ঘোষণা শেষে গত বুধবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় নূরুজ্জামান হোসেন জুয়েল নামের এক এজেন্টের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। তিনি নশরতপুর ইউপিতে নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার সমর্থক ও সাঁওইল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের এজেন্ট ছিলেন।

এদিকে বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা করা হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যালট বাক্স লুট করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আটকের পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার গাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে পরাজিত ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা এ হামলা করে। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যালট বাক্স লুট করে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ এক আনসার সদস্য আহত হন।

গত বুধবার রাত ৯টায় উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের ৮ নম্বর স্থলবাড়ি কেন্দ্রে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান রাতেই থানায় একটি মামলা করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ১ নম্বর সোনামুখী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থলবাড়ি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে হাফিজুর রহমান মালামালসহ উপজেলার দিকে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। এ সময় স্থলবাড়ি চৌরাস্তা নামক স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করা হয় তাঁকে। এ সময় তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় পরাজিত ইউপি সদস্য মজনু মিয়া ও তাঁর লোকজন। সে সময় তাঁর গাড়িতে থাকা সবগুলো ব্যালট বাক্স লুট করে নেয় হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইউপি সদস্য প্রার্থী মজনু মিয়া ও তাঁর ছেলে রনিকে আটক করা হয়েছে।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চনন্দ সরকার জানান, আটকদের আজ (বৃহস্পতিবার) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আদমদীঘিতে এজেন্ট নূরুজ্জামান হোসেনের সাঁওইল পশ্চিমপাড়ার বাড়িতে বুধবার দিবাগত রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিযোগ, পরাজিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জল হোসেনের ৮-১০ সমর্থক তাঁর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শেষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আমরা উপজেলায় ফলাফল নিতে যাই। ফলাফল ঘোষণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাঁওইল বাজারে অবস্থান করা উজ্জল হোসেনের কর্মী-সমর্থক আমাদের মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। একপর্যায়ে আমাদের মারতে ধাওয়া করলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাই। এরপর তাঁরা বাড়িতে ঢুকে হামলা করেন। এ সময় দরজা, থাই জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করে।’

এ ব্যাপারে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী উজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) ওসি জালাল উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।