বোরহান জাবেদ, চট্টগ্রাম থেকে
প্রথম টেস্ট শুরু হতে তখনো ঘণ্টাখানেকের অপেক্ষা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনে একটা জটলা। সে জটলার মধ্যমণি গায়ান সেনানায়েকে। কেউ তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলছেন তো কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও বেশ পরিচিত এ শ্রীলঙ্কান সমর্থক।
প্রায় দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কা দল যেখানে, সেখানেই গায়ানের সপ্রতিভ উপস্থিতি। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেটা করে থাকেন ‘টাইগার’ শোয়েব। তবে এবার গায়ানের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। চরম আর্থিক সংকটে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সামগ্রিকভাবে দ্বীপদেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিও গায়ানের দেশকে সমর্থনের পথে বাধা হতে পারেনি।
এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন গায়ান। প্রথমবার বাংলাদেশে আসা ২০০৬ সালে। সেটিও ছিল চট্টগ্রাম টেস্ট সামনে রেখে। গতকাল মুখে একটা বিষণ্ন হাসি দিয়ে তথ্যটা নিজেই জানালেন গায়ান। তাঁর বিষণ্ন হাসির অর্থ বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। নিজেদের ইতিহাসের কঠিন সময় পার করছে শ্রীলঙ্কা। দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে চাইলে বাংলাদেশে নাও আসতে পারতেন। ক্রিকেট-অন্তঃপ্রাণ গায়ান বলছিলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সমর্থক। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে সমর্থন দিতে যেকোনো জায়গায় যেতে রাজি।’ অন্য অনেক শ্রীলঙ্কানের মতো গায়ানেরও আশা নতুন প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দিশা খুঁজে পাবে শ্রীলঙ্কা। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বলছিলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাইরের দেশের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে। আমি আশা করি, দেশের জন্য তিনি একটা কিছু করবেন।’
তবু কঠিন সময়ে যেখানে সবাই পরিবারের কাছাকাছি থাকতে চান, সেখানে গায়ান ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন। প্রশ্নটা তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই যেন বুক চিরে হাহাকার বেরিয়ে এল তাঁর, ‘আমার এক ভাই। করোনার সময় মা মারা গেছেন। এখন আমি একা, স্বাধীন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেতে পারি।’
পিছুটান না থাকায় গায়ান যেন ক্রিকেটকে আরও চুটিয়ে ভালোবাসার সুযোগ পেয়েছেন। গায়ানকে শুধু স্বদেশি ক্রিকেটাররাই নন, বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ই চেনেন। অনেকের সঙ্গে নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে সখ্য একটু বেশি। সখ্যর কথাই যদি বলা হয়, গায়ানের সেটি আসলে বেশি ক্রিকেটের সঙ্গেই।
প্রথম টেস্ট শুরু হতে তখনো ঘণ্টাখানেকের অপেক্ষা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনে একটা জটলা। সে জটলার মধ্যমণি গায়ান সেনানায়েকে। কেউ তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলছেন তো কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও বেশ পরিচিত এ শ্রীলঙ্কান সমর্থক।
প্রায় দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কা দল যেখানে, সেখানেই গায়ানের সপ্রতিভ উপস্থিতি। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেটা করে থাকেন ‘টাইগার’ শোয়েব। তবে এবার গায়ানের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। চরম আর্থিক সংকটে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সামগ্রিকভাবে দ্বীপদেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিও গায়ানের দেশকে সমর্থনের পথে বাধা হতে পারেনি।
এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন গায়ান। প্রথমবার বাংলাদেশে আসা ২০০৬ সালে। সেটিও ছিল চট্টগ্রাম টেস্ট সামনে রেখে। গতকাল মুখে একটা বিষণ্ন হাসি দিয়ে তথ্যটা নিজেই জানালেন গায়ান। তাঁর বিষণ্ন হাসির অর্থ বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। নিজেদের ইতিহাসের কঠিন সময় পার করছে শ্রীলঙ্কা। দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে চাইলে বাংলাদেশে নাও আসতে পারতেন। ক্রিকেট-অন্তঃপ্রাণ গায়ান বলছিলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সমর্থক। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে সমর্থন দিতে যেকোনো জায়গায় যেতে রাজি।’ অন্য অনেক শ্রীলঙ্কানের মতো গায়ানেরও আশা নতুন প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দিশা খুঁজে পাবে শ্রীলঙ্কা। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বলছিলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাইরের দেশের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে। আমি আশা করি, দেশের জন্য তিনি একটা কিছু করবেন।’
তবু কঠিন সময়ে যেখানে সবাই পরিবারের কাছাকাছি থাকতে চান, সেখানে গায়ান ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন। প্রশ্নটা তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই যেন বুক চিরে হাহাকার বেরিয়ে এল তাঁর, ‘আমার এক ভাই। করোনার সময় মা মারা গেছেন। এখন আমি একা, স্বাধীন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেতে পারি।’
পিছুটান না থাকায় গায়ান যেন ক্রিকেটকে আরও চুটিয়ে ভালোবাসার সুযোগ পেয়েছেন। গায়ানকে শুধু স্বদেশি ক্রিকেটাররাই নন, বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ই চেনেন। অনেকের সঙ্গে নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে সখ্য একটু বেশি। সখ্যর কথাই যদি বলা হয়, গায়ানের সেটি আসলে বেশি ক্রিকেটের সঙ্গেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ ঘণ্টা আগে