পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনায় এবার সমতল ভূমিতে হচ্ছে জনপ্রিয় পানীয় কফির চাষ। চলনবিলের চাটমোহরে পরীক্ষামূলক কফির চাষ করে সফলতা পাওয়া শুরু হয়েছে। এতে কৃষিবিদেরা মনে করছেন, চলনবিলের উর্বর পলিতে কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
একসময় দেশের পার্বত্য তিনটি জেলায় কফির আবাদ হলেও এখন পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও রংপুর এবং টাঙ্গাইলে কফির চাষ শুরু হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কফি চাষে পিছিয়ে থাকায় দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কিছু মানুষ কফি চাষ শুরু করেছেন। সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজুবাদাম, কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে পাবনার চাটমোহরে প্রদর্শনী স্থাপন করে উপজেলা কৃষি অফিস বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ও চাটমোহরে কফি চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রায় ১১৮ দশমিক ৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫৫ দশমিক ৭৫ টন কফি উৎপাদিত হয়। কৃষকেরা সনাতন পদ্ধতিতে কফি চাষ করায় ফলন ও লাভ কম পান। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ৫১৭ টন গ্রিন কফি আমদানি করা হয়। অর্থকরী ফসল কফির আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ঠিকাদার শুকুর আলী ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে কফি চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে সৈয়দপুরের খ্রিষ্টান মিশনারিতে গির্জা নির্মাণের কাজ করছিলাম। সেখানকার ইতালিয়ান মাদার ইতালি থেকে দুটি কফির চারা এনে আমাকে দেন। আমি সেটি বাড়িতে রোপণ করি। তিন বছর পর থেকে ফল পেতে শুরু করি।’
শুকুর আলী আরও বলেন, কফির দানা থেকে এবং গাছের ডালে কলম দিয়ে চারা তৈরি করছেন তিনি। ২০১৮ সালে ২০টি, ২০১৯ সালে ৬০টি এবং ২০২০ সালে ১৫০টি চারা উৎপাদন করতে পেরেছেন। রোপণের তিন বছর পর থেকেই কফিগাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। কিছু চারা ঢাকায় নিয়ে প্রতিটি এক হাজার টাকা বিক্রি করেছেন তিনি। এলাকায় প্রতিটি চারা পাঁচ শ টাকায় বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় ২০ জন তাঁর কাছ থেকে কফির চারা কিনে রোপণ করেছেন।
কফিচাষি শুকুর আলী আরও বলেন, কফিগাছে থোকায় থোকায় সবুজ ছোট ছোট ফল ধরে। ফলগুলো পাকলে পাকা বরইয়ের রং ধারণ করে। সনাতন পদ্ধতিতে তিনি কফি ফল সংগ্রহ করে ওপরের পাতলা আবরণ ফেলে দিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখেন। এরপর সেগুলো আগুনের তাপে ভেজে পিষে তৈরি করেন কফির গুঁড়া।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মাটি কফি চাষের উপযোগী। ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা অম্ল মাটিতে কফি ভালো জন্মে। এটি উঁচু মাটিতে ভালো হয়। হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে কফি ভালো হয়। খুব বেশি পরিচর্যার দরকার হয় না। রৌদ্রময় স্থানে চাষ করলে সার ও সেচের দরকার হয়। কফির ফল সংগ্রহ থেকে পান করা পর্যন্ত অনেক ধাপ পেরোতে হয়।
পাবনায় এবার সমতল ভূমিতে হচ্ছে জনপ্রিয় পানীয় কফির চাষ। চলনবিলের চাটমোহরে পরীক্ষামূলক কফির চাষ করে সফলতা পাওয়া শুরু হয়েছে। এতে কৃষিবিদেরা মনে করছেন, চলনবিলের উর্বর পলিতে কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
একসময় দেশের পার্বত্য তিনটি জেলায় কফির আবাদ হলেও এখন পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও রংপুর এবং টাঙ্গাইলে কফির চাষ শুরু হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কফি চাষে পিছিয়ে থাকায় দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কিছু মানুষ কফি চাষ শুরু করেছেন। সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজুবাদাম, কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে পাবনার চাটমোহরে প্রদর্শনী স্থাপন করে উপজেলা কৃষি অফিস বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ও চাটমোহরে কফি চাষ শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রায় ১১৮ দশমিক ৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫৫ দশমিক ৭৫ টন কফি উৎপাদিত হয়। কৃষকেরা সনাতন পদ্ধতিতে কফি চাষ করায় ফলন ও লাভ কম পান। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ৫১৭ টন গ্রিন কফি আমদানি করা হয়। অর্থকরী ফসল কফির আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ঠিকাদার শুকুর আলী ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁর বাড়িতে কফি চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে সৈয়দপুরের খ্রিষ্টান মিশনারিতে গির্জা নির্মাণের কাজ করছিলাম। সেখানকার ইতালিয়ান মাদার ইতালি থেকে দুটি কফির চারা এনে আমাকে দেন। আমি সেটি বাড়িতে রোপণ করি। তিন বছর পর থেকে ফল পেতে শুরু করি।’
শুকুর আলী আরও বলেন, কফির দানা থেকে এবং গাছের ডালে কলম দিয়ে চারা তৈরি করছেন তিনি। ২০১৮ সালে ২০টি, ২০১৯ সালে ৬০টি এবং ২০২০ সালে ১৫০টি চারা উৎপাদন করতে পেরেছেন। রোপণের তিন বছর পর থেকেই কফিগাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। কিছু চারা ঢাকায় নিয়ে প্রতিটি এক হাজার টাকা বিক্রি করেছেন তিনি। এলাকায় প্রতিটি চারা পাঁচ শ টাকায় বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় ২০ জন তাঁর কাছ থেকে কফির চারা কিনে রোপণ করেছেন।
কফিচাষি শুকুর আলী আরও বলেন, কফিগাছে থোকায় থোকায় সবুজ ছোট ছোট ফল ধরে। ফলগুলো পাকলে পাকা বরইয়ের রং ধারণ করে। সনাতন পদ্ধতিতে তিনি কফি ফল সংগ্রহ করে ওপরের পাতলা আবরণ ফেলে দিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখেন। এরপর সেগুলো আগুনের তাপে ভেজে পিষে তৈরি করেন কফির গুঁড়া।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মাটি কফি চাষের উপযোগী। ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা অম্ল মাটিতে কফি ভালো জন্মে। এটি উঁচু মাটিতে ভালো হয়। হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে কফি ভালো হয়। খুব বেশি পরিচর্যার দরকার হয় না। রৌদ্রময় স্থানে চাষ করলে সার ও সেচের দরকার হয়। কফির ফল সংগ্রহ থেকে পান করা পর্যন্ত অনেক ধাপ পেরোতে হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে