মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রীতিমতো বিপর্যস্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এবং পৌর মেয়র ও শাখার সদস্য মোখলেসুর রহমানের দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি। আসন্ন নির্বাচনে মোখলেসুরকে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়ে সমর্থকদের ফেস্টুন টাঙানোর পর থেকেই মূলত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
অপর দিকে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও নড়বড়ে। এ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের মতামত না নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে হারুনুর রশীদের প্রায় দুই দশকের আধিপত্যের অবসান ঘটে। সব মিলিয়ে জেলায় বিএনপি এখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে।
দুই দলের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে জানা গেছে। মূল দুই দলের বাইরে নির্বাচনের আগে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াতে ইসলামী। এ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে গত এপ্রিলে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যাকাণ্ডের পর। এ মামলায় কারাগারে আছেন পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর পক্ষের অনুসারীদের অভিযোগ, নিহত জেম এমপি আব্দুল ওদুদের অনুসারী ছিলেন। এ জন্য এমপির ‘প্রেসক্রিপশনে’ মোখলেসুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও গত ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া সামিউল হক লিটনও। ওই নির্বাচনে এমপি ওদুদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় লিটনকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ভাষ্য, স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা কঠিন হতে পারে। যদি আব্দুল ওদুদ মনোনয়ন পান তাহলে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন গত উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন। ওদুদ, মোখলেসুর ও লিটন ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
তবে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বর্তমান এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা কোন্দল মিটিয়ে আবারও দলকে সুসংগঠিত করবেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, `দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। এখনো করছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’
এদিকে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের। তিনি এর আগে পাঁচবার এ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এমপি হন। পরে পদত্যাগ করেন। হারুনুর রশীদ ছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া মনোনয়ন চাইবেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নানাভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, `নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা বহাল না হলে বিএনপি নির্বাচনেই যাবে না। এ নিয়ে মন্তব্য করার কিছুই নেই। এ ছাড়া আমি একটা বড় দলের প্রতিনিধিত্ব করি। এ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচন করেছি। আলাদা করে প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন হবে না।’
গোলাম জাকারিয়া বলেন, `দলকে ভালোবেসে রাজনীতি করি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে ধানের শীষের বিজয় হবে। এখানে কোনো বিভেদ থাকবে না।’
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে, এ আসনটি একসময় বিএনপি-জামায়াতের দখলে ছিল। ১৯৯১ সালে জয়ী হন জামায়াতের লতিফুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দুবার এমপি হন বিএনপির হারুনুর রশিদ। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওদুদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপির দখলে যায় এ আসনটি। এমপি হন হারুনুর রশীদ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি পদত্যাগ করেন। বিএনপিহীন উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রীতিমতো বিপর্যস্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এবং পৌর মেয়র ও শাখার সদস্য মোখলেসুর রহমানের দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি। আসন্ন নির্বাচনে মোখলেসুরকে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়ে সমর্থকদের ফেস্টুন টাঙানোর পর থেকেই মূলত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
অপর দিকে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও নড়বড়ে। এ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের মতামত না নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে হারুনুর রশীদের প্রায় দুই দশকের আধিপত্যের অবসান ঘটে। সব মিলিয়ে জেলায় বিএনপি এখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে।
দুই দলের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে জানা গেছে। মূল দুই দলের বাইরে নির্বাচনের আগে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াতে ইসলামী। এ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে গত এপ্রিলে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যাকাণ্ডের পর। এ মামলায় কারাগারে আছেন পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর পক্ষের অনুসারীদের অভিযোগ, নিহত জেম এমপি আব্দুল ওদুদের অনুসারী ছিলেন। এ জন্য এমপির ‘প্রেসক্রিপশনে’ মোখলেসুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও গত ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া সামিউল হক লিটনও। ওই নির্বাচনে এমপি ওদুদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় লিটনকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ভাষ্য, স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা কঠিন হতে পারে। যদি আব্দুল ওদুদ মনোনয়ন পান তাহলে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন গত উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন। ওদুদ, মোখলেসুর ও লিটন ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
তবে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বর্তমান এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা কোন্দল মিটিয়ে আবারও দলকে সুসংগঠিত করবেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, `দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। এখনো করছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’
এদিকে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের। তিনি এর আগে পাঁচবার এ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এমপি হন। পরে পদত্যাগ করেন। হারুনুর রশীদ ছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া মনোনয়ন চাইবেন। তাঁরা প্রত্যেকেই নানাভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, `নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা বহাল না হলে বিএনপি নির্বাচনেই যাবে না। এ নিয়ে মন্তব্য করার কিছুই নেই। এ ছাড়া আমি একটা বড় দলের প্রতিনিধিত্ব করি। এ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচন করেছি। আলাদা করে প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন হবে না।’
গোলাম জাকারিয়া বলেন, `দলকে ভালোবেসে রাজনীতি করি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে ধানের শীষের বিজয় হবে। এখানে কোনো বিভেদ থাকবে না।’
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে, এ আসনটি একসময় বিএনপি-জামায়াতের দখলে ছিল। ১৯৯১ সালে জয়ী হন জামায়াতের লতিফুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দুবার এমপি হন বিএনপির হারুনুর রশিদ। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওদুদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপির দখলে যায় এ আসনটি। এমপি হন হারুনুর রশীদ। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি পদত্যাগ করেন। বিএনপিহীন উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে