কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে ধানখেত। ঘরে ধান তোলা নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গুমাই নদসহ ছোট-বড় খাল ও নদীতে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে মাঠ। উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের রানীগাঁও বাজার-হিরাকান্দা প্রধান সড়কের ফসল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে গেছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে পারছেন না তাঁরা। পরিবারের লোকজন নিয়ে নিজেরাই যতটুকু পারছেন কাটার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, কৃষকেরা এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন। খেতে থাকা ধানগাছের একটি অংশ ডুবে গেছে। শ্রমিক-সংকট থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের খেতের ধান ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমিক না পেয়ে পরিবারের লোকজন পানি থেকে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। পানির নিচে প্রায় তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে মুঠিগুলো ছোট ছোট নৌকার ওপর জমা করছেন কৃষকেরা। অনেক কষ্ট করে ধান কেটেও লাভ হচ্ছে না কৃষকদের। রোদ না থাকায় সেই ফসলও নষ্ট হচ্ছে। পানির নিচ থেকে কাটা-ভেজা ধান কিনতে চান না স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এনজিও নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা।
জাইকার অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত বাঁধের গুমাই নদের আমবাড়ি পাঠানপাড়া নামক স্থান গত রোববার রাত ১২টার দিকে ভেঙে গেছে। বাঁধটি অনেক আগে নির্মিত হয়েছিল। জাইকার অর্থায়নে প্রতিবছর বাঁধটি মেরামত করলেও বরাদ্দ না থাকায় এ বছর বাঁধ সংস্কারে কোনো কাজ হয়নি। এতে বাঁধ ভেঙে মানধাউড়া, চিটুয়া ও বেখুরীকান্দা শুনই বিলের ধানগাছ পানিতে ডুবে গেছে। বিলের মধ্যে পানি ডুবো ডুবো থাকায় ধান শুকানো নিয়ে বিপাকে কিষান-কিষানিরা।
বাঁধ ভাঙার বিষয়ে জানতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলায় কর্মরত সাবেক প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, সাত-আট বছর আগে ফসল রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সঠিক নির্মাণব্যয় এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
পোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুদিন ধরে বাঁধের এক পাশে গুমাই নদের পানি বাড়তে থাকে। বাজেট না থাকায় এ বছর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি। গত রোববার রাতে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাই। এতে বিলের ১০ ভাগ ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ২১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। এবার সর্বত্রই বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণের কারণে পানি বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটে ধানও কাটতে পারছেন না। ক্ষতির পাশাপাশি ধানকাটা ও মাড়াই করা শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশি এবং মণপ্রতি ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক। এ বছর সরকারি কৃষি অনুদান না পেলে পরিবার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে উঠবে জনজীবন।
ধান কাটতে আসা ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওমর সানি বলেন, ‘আব্বা ফোন করে জানিয়েছেন, খেতের ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তিনি পড়াশোনা রেখে ছুটে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডুবে যাওয়া ফসলি ধান কাটায় অংশ নিতে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কৃষকেরা এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। খেতে থাকা ধানের শিষের নিচের অংশ পর্যন্ত ডুবে রয়েছে। শ্রমিক-সংকট এবং রোদ না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে ধানখেত। ঘরে ধান তোলা নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গুমাই নদসহ ছোট-বড় খাল ও নদীতে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে মাঠ। উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের রানীগাঁও বাজার-হিরাকান্দা প্রধান সড়কের ফসল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে গেছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে পারছেন না তাঁরা। পরিবারের লোকজন নিয়ে নিজেরাই যতটুকু পারছেন কাটার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, কৃষকেরা এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন। খেতে থাকা ধানগাছের একটি অংশ ডুবে গেছে। শ্রমিক-সংকট থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের খেতের ধান ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমিক না পেয়ে পরিবারের লোকজন পানি থেকে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। পানির নিচে প্রায় তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে মুঠিগুলো ছোট ছোট নৌকার ওপর জমা করছেন কৃষকেরা। অনেক কষ্ট করে ধান কেটেও লাভ হচ্ছে না কৃষকদের। রোদ না থাকায় সেই ফসলও নষ্ট হচ্ছে। পানির নিচ থেকে কাটা-ভেজা ধান কিনতে চান না স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এনজিও নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা।
জাইকার অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত বাঁধের গুমাই নদের আমবাড়ি পাঠানপাড়া নামক স্থান গত রোববার রাত ১২টার দিকে ভেঙে গেছে। বাঁধটি অনেক আগে নির্মিত হয়েছিল। জাইকার অর্থায়নে প্রতিবছর বাঁধটি মেরামত করলেও বরাদ্দ না থাকায় এ বছর বাঁধ সংস্কারে কোনো কাজ হয়নি। এতে বাঁধ ভেঙে মানধাউড়া, চিটুয়া ও বেখুরীকান্দা শুনই বিলের ধানগাছ পানিতে ডুবে গেছে। বিলের মধ্যে পানি ডুবো ডুবো থাকায় ধান শুকানো নিয়ে বিপাকে কিষান-কিষানিরা।
বাঁধ ভাঙার বিষয়ে জানতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলায় কর্মরত সাবেক প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, সাত-আট বছর আগে ফসল রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সঠিক নির্মাণব্যয় এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
পোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুদিন ধরে বাঁধের এক পাশে গুমাই নদের পানি বাড়তে থাকে। বাজেট না থাকায় এ বছর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি। গত রোববার রাতে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাই। এতে বিলের ১০ ভাগ ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ২১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। এবার সর্বত্রই বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণের কারণে পানি বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটে ধানও কাটতে পারছেন না। ক্ষতির পাশাপাশি ধানকাটা ও মাড়াই করা শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশি এবং মণপ্রতি ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক। এ বছর সরকারি কৃষি অনুদান না পেলে পরিবার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে উঠবে জনজীবন।
ধান কাটতে আসা ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওমর সানি বলেন, ‘আব্বা ফোন করে জানিয়েছেন, খেতের ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তিনি পড়াশোনা রেখে ছুটে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডুবে যাওয়া ফসলি ধান কাটায় অংশ নিতে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কৃষকেরা এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। খেতে থাকা ধানের শিষের নিচের অংশ পর্যন্ত ডুবে রয়েছে। শ্রমিক-সংকট এবং রোদ না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে