সম্পাদকীয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসে নাম ডাকা হয়। যার যার নাম অথবা রোল নম্বর শুনে ‘উপস্থিত’ বললেই খাতায় ‘টিক চিহ্ন’ পড়ে যায়। সেই উপস্থিতির চিহ্ন আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর বাড়াতে সাহায্য করে; অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী যে পরিশ্রমটুকু করে, সেটার মূল্যায়ন বা পুরস্কার সে পায়। আহা, এমন মূল্যায়ন কিংবা উপহার যদি ইউনিয়ন পরিষদের সেবার জন্য বরাদ্দ থাকত, তাহলে কতই না ভালো হতো! তাহলে হয়তো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সচিব নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতেন, পরিষদে তাঁদের উপস্থিতিও বজায় রাখতেন।
কথাগুলো বলার কারণ—কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ১১ নম্বর চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ চার মাস ধরে পরিষদে অনুপস্থিত থাকছেন। সেখানকার ইউপি সচিব আবু সোহেল মুহাম্মদ রানাও নাকি নিয়মিত দপ্তরের দরজা মাড়ান না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। এমন অভিযোগ নিয়ে সোমবারের শেষ পাতায় খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
জন্মনিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্র বা অন্যান্য সেবার জন্য চর সাদিপুরের বাসিন্দারা তো ইউনিয়ন পরিষদেই যাবেন। কিন্তু সেখানে গেলে যদি ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন আর সেবাদানকারীদের না পান, তাহলে তাঁদের ক্ষুব্ধ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। জানা যায়, চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদে না এসে নিজ এলাকা ঘোষপুর বাজারের একটি দোকানে বসে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেখানে কাজ করেন একজন উদ্যোক্তাও। শুধু জরুরি সভা করতেই পরিষদে যান চেয়ারম্যান মহোদয়। কিন্তু কয়জন জানেন চেয়ারম্যানকে কোথায় পাওয়া যাবে সরকারি কাজ সারতে? কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া কেউ অন্য জায়গায় যাবেন কেন একটা জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা প্রত্যয়নপত্র তুলতে?
ইউনিয়ন পরিষদের কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন কি না—এসব বিবেচনা করা জরুরি নয় কি? যদিও চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ ‘নিয়মিত সেবা দিচ্ছি’ বলে পরিষদে তাঁর উপস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, তাতে তো তাঁর উপস্থিতির খাতায় ‘টিক চিহ্ন’ পড়ে যাবে না, নম্বরও বাড়বে না। আবার অনুপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সচিবও।
তাহলে কী করা যায়? অভিযোগ কানে গুঁজেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল হক। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার। তাঁর এই আশ্বাসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়। তবে ব্যবস্থা যত দ্রুত নেওয়া যায়, ততই ওই ইউনিয়নের মানুষের জন্য মঙ্গল। নইলে পরিষদের দুয়ারে এসে লোকজনের ভর্ৎসনা করে যাওয়াটা কর্তৃপক্ষের জন্য লজ্জাজনক বটে।
এই জনগণের সেবা করার জন্যই তো জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। অথচ জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যা ইচ্ছা তা-ই করে বেড়ান—নিজেদের কর্তা আর জনগণকে দাস ভাবলে জনগণের শ্রদ্ধা পাওয়া যায় না। তখন নিশ্চিতভাবে জনগণের ধিক্কার পাওয়া যায় সুলভে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসে নাম ডাকা হয়। যার যার নাম অথবা রোল নম্বর শুনে ‘উপস্থিত’ বললেই খাতায় ‘টিক চিহ্ন’ পড়ে যায়। সেই উপস্থিতির চিহ্ন আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর বাড়াতে সাহায্য করে; অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী যে পরিশ্রমটুকু করে, সেটার মূল্যায়ন বা পুরস্কার সে পায়। আহা, এমন মূল্যায়ন কিংবা উপহার যদি ইউনিয়ন পরিষদের সেবার জন্য বরাদ্দ থাকত, তাহলে কতই না ভালো হতো! তাহলে হয়তো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সচিব নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতেন, পরিষদে তাঁদের উপস্থিতিও বজায় রাখতেন।
কথাগুলো বলার কারণ—কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ১১ নম্বর চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ চার মাস ধরে পরিষদে অনুপস্থিত থাকছেন। সেখানকার ইউপি সচিব আবু সোহেল মুহাম্মদ রানাও নাকি নিয়মিত দপ্তরের দরজা মাড়ান না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। এমন অভিযোগ নিয়ে সোমবারের শেষ পাতায় খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
জন্মনিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্র বা অন্যান্য সেবার জন্য চর সাদিপুরের বাসিন্দারা তো ইউনিয়ন পরিষদেই যাবেন। কিন্তু সেখানে গেলে যদি ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন আর সেবাদানকারীদের না পান, তাহলে তাঁদের ক্ষুব্ধ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। জানা যায়, চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদে না এসে নিজ এলাকা ঘোষপুর বাজারের একটি দোকানে বসে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেখানে কাজ করেন একজন উদ্যোক্তাও। শুধু জরুরি সভা করতেই পরিষদে যান চেয়ারম্যান মহোদয়। কিন্তু কয়জন জানেন চেয়ারম্যানকে কোথায় পাওয়া যাবে সরকারি কাজ সারতে? কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া কেউ অন্য জায়গায় যাবেন কেন একটা জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা প্রত্যয়নপত্র তুলতে?
ইউনিয়ন পরিষদের কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন কি না—এসব বিবেচনা করা জরুরি নয় কি? যদিও চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ ‘নিয়মিত সেবা দিচ্ছি’ বলে পরিষদে তাঁর উপস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, তাতে তো তাঁর উপস্থিতির খাতায় ‘টিক চিহ্ন’ পড়ে যাবে না, নম্বরও বাড়বে না। আবার অনুপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সচিবও।
তাহলে কী করা যায়? অভিযোগ কানে গুঁজেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল হক। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার। তাঁর এই আশ্বাসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়। তবে ব্যবস্থা যত দ্রুত নেওয়া যায়, ততই ওই ইউনিয়নের মানুষের জন্য মঙ্গল। নইলে পরিষদের দুয়ারে এসে লোকজনের ভর্ৎসনা করে যাওয়াটা কর্তৃপক্ষের জন্য লজ্জাজনক বটে।
এই জনগণের সেবা করার জন্যই তো জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। অথচ জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যা ইচ্ছা তা-ই করে বেড়ান—নিজেদের কর্তা আর জনগণকে দাস ভাবলে জনগণের শ্রদ্ধা পাওয়া যায় না। তখন নিশ্চিতভাবে জনগণের ধিক্কার পাওয়া যায় সুলভে!
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে