ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্পনগরীতে প্লটের চাহিদা বেড়েছে। শিল্পনগরীতে এখন বিভিন্ন পণ্যের ৬৮টি কারখানা চালু আছে। তবে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময়েও সম্প্রসারণ না হওয়ায় শিল্পনগরীর কারখানাগুলোর পরিসর যেমন বাড়ছে না, তেমনি নতুন প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠছে না।
বিসিক শিল্পনগরীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্লটের চাহিদার পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। শিল্পনগরীতে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ নেই। নালা ব্যবস্থাপনা না থাকায় শিল্পনগরীর রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কারখানাগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি উত্তোলনের মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল হয়ে আছে। তবে পানি না পেয়েও প্রতিবছরই শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষকে পানির বিল দিতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি শিল্পনগরী সম্প্রসারণের পাশাপাশি সমস্যাগুলোর সমাধান করা হোক। অন্যদিকে বিসিক বলছে, প্লটের চাহিদার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানির জন্য কোনো বিল নেওয়া হয় না। ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শাখা কিংবা বুথ করার জন্য সহযোগিতা চাইলে, বিসিক সাহায্য করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অধীনে নন্দপুর এলাকায় ২১.৯৮ একর জায়গায় শিল্পনগরী গড়ে উঠে। এ নগরীতে তিন ক্যাটাগরিতে ১৩৮টি প্লট রয়েছে। সব কটি প্লটই লিজ দেওয়া আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এ ক্যাটাগরির প্লটের আয়তন ৪৫০০ বর্গফুট এবং বি ক্যাটাগরির প্লটের আয়তন ৩০০০ বর্গফুট এবং এস ক্যাটাগরির প্লট বিভিন্ন আয়তনের হয়। বর্তমানে শিল্পনগরীতে ১৭টি মেটাল কারখানা,৮টি ফ্লাওয়ার মিল,৩টি সাবান,৩টি সিলিকেট ও ৫টি বেকারী এবং ১টি তারকাঁটাসহ বিভিন্ন পণ্যের কারখানা আছে। কারখানাগুলোতে কাজ করছেন ৩ থেকে ৪ হাজার শ্রমিক।
সরেজমিনে সম্প্রতি বিসিকে গেলে দেখা যায়, পুর্নাঙ্গ নালা ব্যবস্থাপনা না থাকায় রাস্তায় জমে আছে পানি। বিসিকের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিক পানি বন্ধ করে দিয়েছে। বিসিক পানি না দিলেও পানির বিল নিচ্ছে। এদিকে পানি না পেয়ে প্রত্যেক কারখানা মালিক নিজ উদ্যোগে কারখানায় পানি উত্তোলনের মেশিন বসিয়েছেন। তা ছাড়া বিসিকে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ নেই। তাই ব্যবসায়ীদের জেলা শহরে গিয়ে লেনদেন করতে হয়। এ জন্য জেলা শহরেও প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে আলাদা অফিস রাখতে হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরী কাশেম মেটালের মালিক তাজুল ইসলাম আপন বলেন, ‘আমার ফ্লাওয়ার মিল থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার আটা-ময়দা বেচা কেনা হয়। বর্তমানে শিল্পনগরীতে আমার ৬টি প্লট রয়েছে। এগুলোতে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে। তবে মেটাল ব্যবসা আরও বড় করার জন্য আমার নতুন প্লট প্রয়োজন। কিন্তু কোনো প্লটই খালি নেই। এ ছাড়া পানি না পেলেও ঠিকই প্রতি বছর পানির বিল দিতে হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরী ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিসিক শিল্পনগরী ব্যবসায়িকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্লটের চাহিদা। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্লটের জন্য। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পনগরী সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছি। পানি না পেয়েও দীর্ঘদিন ধরে পানি বিল দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া শিল্পনগরীতে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ না থাকায় লেনদেনে সমস্যা হয়। শুধুমাত্র অর্থ লেনদেনের জন্য জেলা শহরে আলাদা অফিস করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসা খুব ভালো চলছে। সে জন্য প্লটের চাহিদা বেড়েছে। তবে কেন শিল্পনগরী সম্প্রসারণ করা হয়নি-সে বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতনরাই বলতে পারবেন। আমাদের সঙ্গেও প্লটের জন্য অনেক ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানির জন্য কোনো বিল নেওয়া হয় না। আর ব্যাংকের শাখা কিংবা বুথ করার জন্য ব্যাংকগুলোর আগ্রহ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্পনগরীতে প্লটের চাহিদা বেড়েছে। শিল্পনগরীতে এখন বিভিন্ন পণ্যের ৬৮টি কারখানা চালু আছে। তবে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময়েও সম্প্রসারণ না হওয়ায় শিল্পনগরীর কারখানাগুলোর পরিসর যেমন বাড়ছে না, তেমনি নতুন প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠছে না।
বিসিক শিল্পনগরীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্লটের চাহিদার পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। শিল্পনগরীতে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ নেই। নালা ব্যবস্থাপনা না থাকায় শিল্পনগরীর রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কারখানাগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি উত্তোলনের মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল হয়ে আছে। তবে পানি না পেয়েও প্রতিবছরই শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষকে পানির বিল দিতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি শিল্পনগরী সম্প্রসারণের পাশাপাশি সমস্যাগুলোর সমাধান করা হোক। অন্যদিকে বিসিক বলছে, প্লটের চাহিদার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানির জন্য কোনো বিল নেওয়া হয় না। ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শাখা কিংবা বুথ করার জন্য সহযোগিতা চাইলে, বিসিক সাহায্য করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অধীনে নন্দপুর এলাকায় ২১.৯৮ একর জায়গায় শিল্পনগরী গড়ে উঠে। এ নগরীতে তিন ক্যাটাগরিতে ১৩৮টি প্লট রয়েছে। সব কটি প্লটই লিজ দেওয়া আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এ ক্যাটাগরির প্লটের আয়তন ৪৫০০ বর্গফুট এবং বি ক্যাটাগরির প্লটের আয়তন ৩০০০ বর্গফুট এবং এস ক্যাটাগরির প্লট বিভিন্ন আয়তনের হয়। বর্তমানে শিল্পনগরীতে ১৭টি মেটাল কারখানা,৮টি ফ্লাওয়ার মিল,৩টি সাবান,৩টি সিলিকেট ও ৫টি বেকারী এবং ১টি তারকাঁটাসহ বিভিন্ন পণ্যের কারখানা আছে। কারখানাগুলোতে কাজ করছেন ৩ থেকে ৪ হাজার শ্রমিক।
সরেজমিনে সম্প্রতি বিসিকে গেলে দেখা যায়, পুর্নাঙ্গ নালা ব্যবস্থাপনা না থাকায় রাস্তায় জমে আছে পানি। বিসিকের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিক পানি বন্ধ করে দিয়েছে। বিসিক পানি না দিলেও পানির বিল নিচ্ছে। এদিকে পানি না পেয়ে প্রত্যেক কারখানা মালিক নিজ উদ্যোগে কারখানায় পানি উত্তোলনের মেশিন বসিয়েছেন। তা ছাড়া বিসিকে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ নেই। তাই ব্যবসায়ীদের জেলা শহরে গিয়ে লেনদেন করতে হয়। এ জন্য জেলা শহরেও প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে আলাদা অফিস রাখতে হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরী কাশেম মেটালের মালিক তাজুল ইসলাম আপন বলেন, ‘আমার ফ্লাওয়ার মিল থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার আটা-ময়দা বেচা কেনা হয়। বর্তমানে শিল্পনগরীতে আমার ৬টি প্লট রয়েছে। এগুলোতে ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে। তবে মেটাল ব্যবসা আরও বড় করার জন্য আমার নতুন প্লট প্রয়োজন। কিন্তু কোনো প্লটই খালি নেই। এ ছাড়া পানি না পেলেও ঠিকই প্রতি বছর পানির বিল দিতে হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরী ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিসিক শিল্পনগরী ব্যবসায়িকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্লটের চাহিদা। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্লটের জন্য। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পনগরী সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছি। পানি না পেয়েও দীর্ঘদিন ধরে পানি বিল দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া শিল্পনগরীতে কোনো ব্যাংকের শাখা বা বুথ না থাকায় লেনদেনে সমস্যা হয়। শুধুমাত্র অর্থ লেনদেনের জন্য জেলা শহরে আলাদা অফিস করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসা খুব ভালো চলছে। সে জন্য প্লটের চাহিদা বেড়েছে। তবে কেন শিল্পনগরী সম্প্রসারণ করা হয়নি-সে বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতনরাই বলতে পারবেন। আমাদের সঙ্গেও প্লটের জন্য অনেক ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানির জন্য কোনো বিল নেওয়া হয় না। আর ব্যাংকের শাখা কিংবা বুথ করার জন্য ব্যাংকগুলোর আগ্রহ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে