রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারুল বেগমের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য রেডিয়েশন (বিকিরণ) সেবা নেওয়া জরুরি। কিন্তু জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মাসের পর মাস ঘুরেও তিনি সেবা পাচ্ছেন না। গত ১২ জুলাই এবং পরে ১১ অক্টোবর দুই দফা গিয়ে তাঁকে সেবা ছাড়াই ফিরে যেতে হয়। তাঁর ব্যবস্থাপত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখে দেয়, ‘দুঃখিত, রেডিওলজির কার্ড খালি নেই।’ কবে কার্ড খালি পাওয়া যাবে কিংবা আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা-ও কেউ জানেন না।
দুই বছর ধরে ওই হাসপাতালের টিকিটে ‘যন্ত্রের স্বল্পতায় সেবা দেওয়া সম্ভব নয়’ লেখাসংবলিত সিল মেরে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কারণ, এই দুই বছর হাসপাতালের ছয়টি বিকিরণ যন্ত্রের পাঁচটিই বিকল ছিল। হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ২৫ মাসে একটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর (এল-৩) থেমে থেমে সেবা দিয়ে আসছে। আরেকটি লিনিয়ার (এল-ও) মেরামতের পর তিন সপ্তাহ ধরে চলতে শুরু করেছে। বর্তমানে এই দুটি বিকিরণ যন্ত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ১৫০ রোগীকে প্রতিদিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে চারটি যন্ত্র বিকল থাকায় এখনো দৈনিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ রোগী। আগে প্রতিদিন ছয়টি যন্ত্রে ৬০০-৭০০ রোগী সেবা পেত। দীর্ঘদিন মাত্র ৮০ থেকে ১০০ জন রোগীকে দৈনিক সেবা দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৫০ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সেই হিসাবে গত দুই বছরে লক্ষাধিক রোগী বিকিরণ সেবা বঞ্চিত হয়েছে।
রোগীদের বঞ্চনা ও যন্ত্রণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকিরণ যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীরা অসহনীয় যন্ত্রণায় পড়েছেন।
এদিকে সিটি সিমুলেটর নষ্ট থাকায় বর্তমানে রোগীদের বিকিরণ দেওয়া হচ্ছে অনেকটা অনুমানের ভিত্তিতে। অন্যদিকে দুটি বিকিরণ যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেগুলো কবে পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত নয়।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এরই মধ্যে দুটি যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটির পিএসআই (প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) চলছে। আশা করছি, সেটি এ বছরেই চলে আসবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
জানা যায়, হাসপাতালের ছয়টি যন্ত্রের মধ্যে দুটি কোবাল্ট এবং বাকি চারটি লিনিয়ার এক্সিলেটর। চলতি বছরের শুরুর দিকে সব যন্ত্রই বিকল ছিল। ফলে গত ৬ মাস কোনো নতুন রোগীকে রেডিয়েশন সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই সময়ে সব রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রেডিয়েশন নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নিজামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি দেশের বাইরে আছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক চিকিৎসক জানান, ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসার একপর্যায়ে বিকিরণ সেবা লাগে। রেডিয়েশন যন্ত্রের অপর্যাপ্ততায় রোগীদের চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যেতে হচ্ছে।
জানা যায়, জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে কোবাল্ট-৬০ যন্ত্রে একবার বিকিরণ পেতে রোগীর ব্যয় হয় মাত্র ১০০ টাকা। লিনিয়ার যন্ত্রে থেরাপি পেতে লাগে ২০০ টাকা। এ ছাড়া রেডিয়েশন থেরাপির প্ল্যানিং ফি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। একজন রোগীকে রেডিওথেরাপির একটি কোর্স সম্পন্ন করতে ছয়বার থেরাপি নিতে ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে একই সেবা (কোবাল্ট যন্ত্রে) পেতে লাগে কমপক্ষে ৮৭ হাজার টাকা। একই থেরাপি লিনিয়ার যন্ত্রে নিতে লাগে ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী বলেন, বেশির ভাগ ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগীকে সুস্থ করতে কেমোথেরাপির পাশাপাশি রেডিওথেরাপি দিতে হয়। যেমন স্তন ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি আবশ্যক। অনেক ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা শুধু কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়েই সম্পন্ন করা সম্ভব। অনেক রোগীর পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারুল বেগমের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য রেডিয়েশন (বিকিরণ) সেবা নেওয়া জরুরি। কিন্তু জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মাসের পর মাস ঘুরেও তিনি সেবা পাচ্ছেন না। গত ১২ জুলাই এবং পরে ১১ অক্টোবর দুই দফা গিয়ে তাঁকে সেবা ছাড়াই ফিরে যেতে হয়। তাঁর ব্যবস্থাপত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখে দেয়, ‘দুঃখিত, রেডিওলজির কার্ড খালি নেই।’ কবে কার্ড খালি পাওয়া যাবে কিংবা আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা-ও কেউ জানেন না।
দুই বছর ধরে ওই হাসপাতালের টিকিটে ‘যন্ত্রের স্বল্পতায় সেবা দেওয়া সম্ভব নয়’ লেখাসংবলিত সিল মেরে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কারণ, এই দুই বছর হাসপাতালের ছয়টি বিকিরণ যন্ত্রের পাঁচটিই বিকল ছিল। হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ২৫ মাসে একটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর (এল-৩) থেমে থেমে সেবা দিয়ে আসছে। আরেকটি লিনিয়ার (এল-ও) মেরামতের পর তিন সপ্তাহ ধরে চলতে শুরু করেছে। বর্তমানে এই দুটি বিকিরণ যন্ত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ১৫০ রোগীকে প্রতিদিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে চারটি যন্ত্র বিকল থাকায় এখনো দৈনিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ রোগী। আগে প্রতিদিন ছয়টি যন্ত্রে ৬০০-৭০০ রোগী সেবা পেত। দীর্ঘদিন মাত্র ৮০ থেকে ১০০ জন রোগীকে দৈনিক সেবা দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৫০ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সেই হিসাবে গত দুই বছরে লক্ষাধিক রোগী বিকিরণ সেবা বঞ্চিত হয়েছে।
রোগীদের বঞ্চনা ও যন্ত্রণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকিরণ যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীরা অসহনীয় যন্ত্রণায় পড়েছেন।
এদিকে সিটি সিমুলেটর নষ্ট থাকায় বর্তমানে রোগীদের বিকিরণ দেওয়া হচ্ছে অনেকটা অনুমানের ভিত্তিতে। অন্যদিকে দুটি বিকিরণ যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেগুলো কবে পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত নয়।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এরই মধ্যে দুটি যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটির পিএসআই (প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) চলছে। আশা করছি, সেটি এ বছরেই চলে আসবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
জানা যায়, হাসপাতালের ছয়টি যন্ত্রের মধ্যে দুটি কোবাল্ট এবং বাকি চারটি লিনিয়ার এক্সিলেটর। চলতি বছরের শুরুর দিকে সব যন্ত্রই বিকল ছিল। ফলে গত ৬ মাস কোনো নতুন রোগীকে রেডিয়েশন সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই সময়ে সব রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রেডিয়েশন নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নিজামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি দেশের বাইরে আছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক চিকিৎসক জানান, ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসার একপর্যায়ে বিকিরণ সেবা লাগে। রেডিয়েশন যন্ত্রের অপর্যাপ্ততায় রোগীদের চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যেতে হচ্ছে।
জানা যায়, জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালে কোবাল্ট-৬০ যন্ত্রে একবার বিকিরণ পেতে রোগীর ব্যয় হয় মাত্র ১০০ টাকা। লিনিয়ার যন্ত্রে থেরাপি পেতে লাগে ২০০ টাকা। এ ছাড়া রেডিয়েশন থেরাপির প্ল্যানিং ফি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। একজন রোগীকে রেডিওথেরাপির একটি কোর্স সম্পন্ন করতে ছয়বার থেরাপি নিতে ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে একই সেবা (কোবাল্ট যন্ত্রে) পেতে লাগে কমপক্ষে ৮৭ হাজার টাকা। একই থেরাপি লিনিয়ার যন্ত্রে নিতে লাগে ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী বলেন, বেশির ভাগ ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগীকে সুস্থ করতে কেমোথেরাপির পাশাপাশি রেডিওথেরাপি দিতে হয়। যেমন স্তন ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি আবশ্যক। অনেক ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা শুধু কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়েই সম্পন্ন করা সম্ভব। অনেক রোগীর পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে