দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া বাজারে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে গেছে। এসব ময়লা অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। ফলে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০টি গ্রামের অন্তত ২১ হাজার মানুষের বসবাস বাবুছড়া ইউনিয়নে। দীঘিনালা উপজেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এই বাজারের অবস্থান। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এসব মানুষ আসে এই বাজারে। এত লোকের সমাগম হলেও বাজারের যথোপযুক্ত উন্নতি হয়নি।
একসময় বেশ জমজমাট ছিল এই বাজার। কালের বিবর্তনে হারিয়েছে এ বাজারের দৃশ্যপট। নেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। আছে খাবার পানির সংকট। বাজারে নেই শৌচাগার। বাবুছড়া বাজারটিতে দুই শতাধিক দোকান-পাট রয়েছে।
বাবুছড়া বাজারের চারপাশে এখন নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধ আর মলমূত্রের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। বাজারের মাঝখানে কোথাও আছে নিত্যপণ্যের দোকান, আবার ফাঁকা জায়গায় দেখা যায় মানুষ আর জীবজন্তুর মল-মূত্র। বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে নালা আছে তা-ও না থাকার মতো। ময়লার স্তূপে এখন নালাটি মাটির নিচে চাপা পড়তে বসছে। চারদিকে স্যাঁতসেঁতে আর ময়লার স্তূপের পাশেই বসছে বাজার। সপ্তাহে প্রতি রোববার হাট বসে এই বাবুছড়া বাজারে। অস্থায়ী কাঁচামাল আর নিত্যপণ্যের দোকানের আসর থাকে হাটের দিনে বাজারের চারপাশে।
১৫ বছর পর্যন্ত এই বাজারের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন মুনশি মিয়া। কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালের আগেই দায়িত্ব থেকে অবসর নেন তিনি। তাঁর সময়ে বাজারের সেট নির্মাণ, মাইনী নদী থেকে বাজার ওঠার জন্য তৈরি করেছিলেন সিঁড়ি। বাজারের সৌন্দর্য বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অনেকটাই অবহেলিত এই বাজার।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম বাবার সঙ্গে হাত ধরে বাবুছড়া বাজারে আসতাম। এই বাজারের অনেক নাম-ডাক ছিল। এখন আর সেই বাজার নেই।’
বাবুছড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলের এই বাজারটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন দরকার ছিল। হাটের দিন হাজারো লোকের সমাগম ঘটে এ বাজারে। অথচ বাজারে নেই পানির ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার। ফাঁকা জায়গায় মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করে। আর এসবের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
বাবুছড়া বাজার কমিটির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাজার প্রকল্পের আওতায় পানি সরবরাহর জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া হয়। তবে প্রকল্পের মাস না যেতেই পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৮ সালে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজার প্রকল্পের পানি সরবরাহের একটি প্রকল্প দেওয়া হয়।
পানি সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রকল্পের সময় অনুযায়ী কোনো সরঞ্জাম নষ্ট হলে কোম্পানির পক্ষ থেকে মেরামত করে দেওয়ার কথা আছে। তবে বাজার কমিটির মেরামত করে নিতে চাচ্ছে না। নতুনভাবে প্রকল্পের নষ্ট হওয়া সরঞ্জাম চাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া বাজারে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে গেছে। এসব ময়লা অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। ফলে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০টি গ্রামের অন্তত ২১ হাজার মানুষের বসবাস বাবুছড়া ইউনিয়নে। দীঘিনালা উপজেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে এই বাজারের অবস্থান। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এসব মানুষ আসে এই বাজারে। এত লোকের সমাগম হলেও বাজারের যথোপযুক্ত উন্নতি হয়নি।
একসময় বেশ জমজমাট ছিল এই বাজার। কালের বিবর্তনে হারিয়েছে এ বাজারের দৃশ্যপট। নেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। আছে খাবার পানির সংকট। বাজারে নেই শৌচাগার। বাবুছড়া বাজারটিতে দুই শতাধিক দোকান-পাট রয়েছে।
বাবুছড়া বাজারের চারপাশে এখন নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধ আর মলমূত্রের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। বাজারের মাঝখানে কোথাও আছে নিত্যপণ্যের দোকান, আবার ফাঁকা জায়গায় দেখা যায় মানুষ আর জীবজন্তুর মল-মূত্র। বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে নালা আছে তা-ও না থাকার মতো। ময়লার স্তূপে এখন নালাটি মাটির নিচে চাপা পড়তে বসছে। চারদিকে স্যাঁতসেঁতে আর ময়লার স্তূপের পাশেই বসছে বাজার। সপ্তাহে প্রতি রোববার হাট বসে এই বাবুছড়া বাজারে। অস্থায়ী কাঁচামাল আর নিত্যপণ্যের দোকানের আসর থাকে হাটের দিনে বাজারের চারপাশে।
১৫ বছর পর্যন্ত এই বাজারের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন মুনশি মিয়া। কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালের আগেই দায়িত্ব থেকে অবসর নেন তিনি। তাঁর সময়ে বাজারের সেট নির্মাণ, মাইনী নদী থেকে বাজার ওঠার জন্য তৈরি করেছিলেন সিঁড়ি। বাজারের সৌন্দর্য বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অনেকটাই অবহেলিত এই বাজার।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম বাবার সঙ্গে হাত ধরে বাবুছড়া বাজারে আসতাম। এই বাজারের অনেক নাম-ডাক ছিল। এখন আর সেই বাজার নেই।’
বাবুছড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলের এই বাজারটি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন দরকার ছিল। হাটের দিন হাজারো লোকের সমাগম ঘটে এ বাজারে। অথচ বাজারে নেই পানির ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার। ফাঁকা জায়গায় মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করে। আর এসবের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
বাবুছড়া বাজার কমিটির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাজার প্রকল্পের আওতায় পানি সরবরাহর জন্য একটি প্রকল্প দেওয়া হয়। তবে প্রকল্পের মাস না যেতেই পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ২০১৮ সালে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজার প্রকল্পের পানি সরবরাহের একটি প্রকল্প দেওয়া হয়।
পানি সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রকল্পের সময় অনুযায়ী কোনো সরঞ্জাম নষ্ট হলে কোম্পানির পক্ষ থেকে মেরামত করে দেওয়ার কথা আছে। তবে বাজার কমিটির মেরামত করে নিতে চাচ্ছে না। নতুনভাবে প্রকল্পের নষ্ট হওয়া সরঞ্জাম চাচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে