নাজমুল হক নাঈম
সম্প্রতি আপনার নতুন গান মন বোঝে না প্রকাশ পেয়েছে। গানটি নিয়ে কিছু বলুন।
আমার ইউটিউব চ্যানেলে গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় নিয়মিত নতুন গান আসছে। এই গানটি তারই অংশ। গত বছর শেষ করা হলেও নতুন বছরে যেহেতু মুক্তি পেয়েছে, তাই এটাকে নতুন বছরের গান বলা হচ্ছে। তবে গানের মুডটি অন্য গান থেকে আলাদা। দেবশ্রী অন্তরার কণ্ঠ আমার কাছে বেশ আলাদা মনে হয়েছে। বলিউডে ইদানীং জনপ্রিয়তা পাওয়া শিল্পা রাওয়ের ভয়েসের ধরন যেমন একটু ডিফরেন্ট, দেবশ্রীর কণ্ঠটা ঠিক তেমন।
নতুনদের নিয়ে আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়। এর পেছনে কোনো কারণ আছে কি?
নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আবার গানগুলো যে শুধু নতুনদের সুযোগ দেওয়ার জন্য করছি, ব্যাপারটি সে রকমও নয়। প্রতিটি মানুষের কণ্ঠে নিজস্বতা থাকে। একজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে সব সময় এই জিনিসগুলো খোঁজার চেষ্টা করি। ভিন্ন ধরনের কণ্ঠ আমাকে ভিন্ন ধরনের গান বানাতে সাহায্য করে। একটা কণ্ঠ নিয়ে যদি নিয়মিত কাজ করি তাহলে ঘুরেফিরে এক ধরনের গান তৈরি হবে। এ কারণেই নতুন কণ্ঠ খুঁজি। তাই নতুনদের সঙ্গে আমার কাজের সংখ্যা বেশি।
একসময় আপনাকে ফোক ঘরানার গানে বেশি পাওয়া যেত। সাম্প্রতিক সময়ে আর এই ধরনের গান কেন করছেন না?
একেবারেই যে ফোক গান করছি না, ব্যাপারটি তেমন নয়। দুই মাস আগে ‘জোনাক জ্বলে’ শিরোনামের একটি গান করেছি। এতে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যান্সি। ইউটিউবে গানটির টিজার ছাড়ার পর থেকে শ্রোতাদের থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছি।কবে আসবে সে গান?
প্রথমে চিন্তা করেছিলাম অডিও আকারে প্রকাশ করার। তাই সে সময়ে টিজার ছাড়া হয়েছিল। পরে পরিকল্পনা করা হয়, শুধু অডিও নয়, ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হবে। এ কারণেই একটু দেরি হচ্ছে।
সিনেমার গানেও আপনাকে কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?
এখন সিনেমা তো আর খুব বেশি হয় না। যখন একটি ভালো কাজের জন্য আমাকে প্রেফার করা হয়, তখন আমার পক্ষ থেকে ইতিবাচক রেসপন্স থাকে। সর্বশেষ ‘গলুই’ সিনেমার দুটি গান করেছিলাম। এরপর আসলে সে রকম কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে দুই-একটি গানের কথা চলছে। সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভালো সিনেমায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা সব সময় আমার আছে। এখন দারুণ কিছু সিনেমা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে সফল হচ্ছে। সিনেমার গানগুলোও মানুষ গ্রহণ করেছে। সেই জায়গা থেকে সিনেমার গান নিয়ে নতুন করে উৎসাহ পাচ্ছি।
এখন শিল্পীরা নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকেই গান প্রকাশ করছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
এটা কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক দিক। সময় ও টেকনোলজির কারণে এখন একজন শিল্পী নিজেই পারে নতুন গান তৈরি করে প্রকাশ করতে। এটা অনেক বড় অ্যাডভানটেজ। কিন্তু এখনো আমাদের গানগুলো ভিডিওর ওপর নির্ভরশীল। ভারতে যেমন বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অডিও গান শুনছে। আমাদের এখানে এমনটা নয়। অ্যাপে শুধু গান শোনার কালচারটা এখনো তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে গান এখনো ভিডিওকেন্দ্রিক। মানুষ এখনো গানের সঙ্গে ভিডিও দেখতে চায়। তবে একটি ভালো মিউজিক ভিডিও তৈরি করা চ্যালেঞ্জের বিষয়।সবখানে এখন অনেক কনটেন্ট। কিন্তু ভালো কনটেন্টের সংখ্যা কি বাড়ছে?
টেকনোলজি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এখন যে কেউ চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারে। সবার কাছ থেকে শুধু ভালোটাই বেরিয়ে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করা লজিক্যাল না। কারণ সবার হাতেই একই জিনিসের অ্যাকসেস আছে। ব্যাপারটাকে এভাবে চিন্তা করতে হবে, যেটা মানুষের কাছে ভালো লাগবে, তারাই সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আপনার নিজেরও ইউটিউব চ্যানেল আছে। গানের রয়্যালটির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় কি না?
প্রথম দিকে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সেটা এখন নেই। আর সামাজিকমাধ্যম থেকে রয়্যালটির বিষয়টি নির্ভর করে ভিউয়ের ওপর। যত বেশি ভিউ তত বেশি উপার্জন। আগেই বলেছি, এখনো আমাদের এখানে ভিডিওর ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তাই ভিডিওর ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বাজেটের একটি বিষয় থাকে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে। তবে এখন যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বিষয়টি জানেন।
সম্প্রতি আপনার নতুন গান মন বোঝে না প্রকাশ পেয়েছে। গানটি নিয়ে কিছু বলুন।
আমার ইউটিউব চ্যানেলে গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় নিয়মিত নতুন গান আসছে। এই গানটি তারই অংশ। গত বছর শেষ করা হলেও নতুন বছরে যেহেতু মুক্তি পেয়েছে, তাই এটাকে নতুন বছরের গান বলা হচ্ছে। তবে গানের মুডটি অন্য গান থেকে আলাদা। দেবশ্রী অন্তরার কণ্ঠ আমার কাছে বেশ আলাদা মনে হয়েছে। বলিউডে ইদানীং জনপ্রিয়তা পাওয়া শিল্পা রাওয়ের ভয়েসের ধরন যেমন একটু ডিফরেন্ট, দেবশ্রীর কণ্ঠটা ঠিক তেমন।
নতুনদের নিয়ে আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়। এর পেছনে কোনো কারণ আছে কি?
নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আবার গানগুলো যে শুধু নতুনদের সুযোগ দেওয়ার জন্য করছি, ব্যাপারটি সে রকমও নয়। প্রতিটি মানুষের কণ্ঠে নিজস্বতা থাকে। একজন সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে সব সময় এই জিনিসগুলো খোঁজার চেষ্টা করি। ভিন্ন ধরনের কণ্ঠ আমাকে ভিন্ন ধরনের গান বানাতে সাহায্য করে। একটা কণ্ঠ নিয়ে যদি নিয়মিত কাজ করি তাহলে ঘুরেফিরে এক ধরনের গান তৈরি হবে। এ কারণেই নতুন কণ্ঠ খুঁজি। তাই নতুনদের সঙ্গে আমার কাজের সংখ্যা বেশি।
একসময় আপনাকে ফোক ঘরানার গানে বেশি পাওয়া যেত। সাম্প্রতিক সময়ে আর এই ধরনের গান কেন করছেন না?
একেবারেই যে ফোক গান করছি না, ব্যাপারটি তেমন নয়। দুই মাস আগে ‘জোনাক জ্বলে’ শিরোনামের একটি গান করেছি। এতে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যান্সি। ইউটিউবে গানটির টিজার ছাড়ার পর থেকে শ্রোতাদের থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছি।কবে আসবে সে গান?
প্রথমে চিন্তা করেছিলাম অডিও আকারে প্রকাশ করার। তাই সে সময়ে টিজার ছাড়া হয়েছিল। পরে পরিকল্পনা করা হয়, শুধু অডিও নয়, ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হবে। এ কারণেই একটু দেরি হচ্ছে।
সিনেমার গানেও আপনাকে কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?
এখন সিনেমা তো আর খুব বেশি হয় না। যখন একটি ভালো কাজের জন্য আমাকে প্রেফার করা হয়, তখন আমার পক্ষ থেকে ইতিবাচক রেসপন্স থাকে। সর্বশেষ ‘গলুই’ সিনেমার দুটি গান করেছিলাম। এরপর আসলে সে রকম কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে দুই-একটি গানের কথা চলছে। সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভালো সিনেমায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা সব সময় আমার আছে। এখন দারুণ কিছু সিনেমা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে সফল হচ্ছে। সিনেমার গানগুলোও মানুষ গ্রহণ করেছে। সেই জায়গা থেকে সিনেমার গান নিয়ে নতুন করে উৎসাহ পাচ্ছি।
এখন শিল্পীরা নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকেই গান প্রকাশ করছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
এটা কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক দিক। সময় ও টেকনোলজির কারণে এখন একজন শিল্পী নিজেই পারে নতুন গান তৈরি করে প্রকাশ করতে। এটা অনেক বড় অ্যাডভানটেজ। কিন্তু এখনো আমাদের গানগুলো ভিডিওর ওপর নির্ভরশীল। ভারতে যেমন বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অডিও গান শুনছে। আমাদের এখানে এমনটা নয়। অ্যাপে শুধু গান শোনার কালচারটা এখনো তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে গান এখনো ভিডিওকেন্দ্রিক। মানুষ এখনো গানের সঙ্গে ভিডিও দেখতে চায়। তবে একটি ভালো মিউজিক ভিডিও তৈরি করা চ্যালেঞ্জের বিষয়।সবখানে এখন অনেক কনটেন্ট। কিন্তু ভালো কনটেন্টের সংখ্যা কি বাড়ছে?
টেকনোলজি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এখন যে কেউ চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারে। সবার কাছ থেকে শুধু ভালোটাই বেরিয়ে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করা লজিক্যাল না। কারণ সবার হাতেই একই জিনিসের অ্যাকসেস আছে। ব্যাপারটাকে এভাবে চিন্তা করতে হবে, যেটা মানুষের কাছে ভালো লাগবে, তারাই সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আপনার নিজেরও ইউটিউব চ্যানেল আছে। গানের রয়্যালটির ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় কি না?
প্রথম দিকে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সেটা এখন নেই। আর সামাজিকমাধ্যম থেকে রয়্যালটির বিষয়টি নির্ভর করে ভিউয়ের ওপর। যত বেশি ভিউ তত বেশি উপার্জন। আগেই বলেছি, এখনো আমাদের এখানে ভিডিওর ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তাই ভিডিওর ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বাজেটের একটি বিষয় থাকে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে। তবে এখন যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বিষয়টি জানেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে