বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
যাঁরা ইউটিউবে নিয়মিত গান শোনেন, তাঁদের কাছে ‘কোক স্টুডিও’ খুবই পরিচিত একটি নাম। এই স্টুডিওতে ধারণ করা ভারত-পাকিস্তানের অসংখ্য গান বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এর মধ্যে পাকিস্তানের কোক স্টুডিওর ফিউশন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কোক স্টুডিওর জনপ্রিয়তার সুবাদে এর আদলে আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠান তৈরি হলেও জনপ্রিয়তায় কোক স্টুডিওকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
বাংলাদেশে কোক স্টুডিও
পাকিস্তান ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে কোক স্টুডিও। গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শিগগিরই বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে কোক স্টুডিও। বড় আয়োজনেই হবে এই জনপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তার আগে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী বলেন, কোক স্টুডিও সাধারণ যে দেশে তৈরি হয়, ওই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ফোক গানকে প্রাধান্য দেয়। এখানেও তা-ই হচ্ছে। তিন মাস ধরেই ঢাকার বনানী, তেজগাঁওসহ তিনটি স্টুডিওতে চলছে কোক স্টুডিও কার্যক্রম। চলতি সপ্তাহে শুটিং হয়েছে দীপ্ত টিভির স্টুডিওতে। মূলত ফোক গান দিয়েই সাজানো হবে প্রথম সিজন। অর্ণব, মিজান, পান্থ কানাই, মমতাজ, বাপ্পা মজুমদার, কণাসহ অনেকেই অংশ নিচ্ছেন অনুষ্ঠানে।
শুরুর গল্প
২০০৭ সালে প্রথম এমটিভি ব্রাজিলে প্রচার শুরু হয় ব্রাজিলীয় সংগীত অনুষ্ঠান স্টুডিও কোকা-কোলা। সেই অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে আফ্রিকার লোকজ শিল্পীদের সঙ্গে তারকা গায়কেরা এখন নিয়মিত মিউজিক ফিউশন করছেন। ন্যাস্টি সি, রানটাউন, একেএ, প্যাটোরেঙ্কিংয়ের মতো ব্যান্ড ছাড়াও সেখিনার মতো নতুন শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এর আদলেই পরের বছর ২০০৮ সালে পাকিস্তানে শুরু হয় কোক স্টুডিও। অনুষ্ঠান দুটির মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে ব্রাজিলের স্টুডিও কোকা-কোলা তৈরি হতো কনসার্টের মতো করে। আর পাকিস্তানের কোক স্টুডিও পুরোপুরিই ইনডোর, স্টুডিও ভিত্তিক অনুষ্ঠান। পাকিস্তানের কোক স্টুডিও অনুষ্ঠানটি পৃষ্ঠপোষকতা করে কোকা-কোলা এবং পাকিস্তানের ব্যান্ড ভাইটাল সাইনসের প্রতিষ্ঠাতা রুহেইল হায়াত ও তাঁর স্ত্রী আম্বার হায়াত। অনুষ্ঠানের ১৪তম সিজন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা পেলে আন্তর্জাতিক ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে ভারতের এমটিভির সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুরু হয় কোক স্টুডিও ভারতীয় অনুষ্ঠান। ২০১১ সালে শুরু হওয়া ভারতীয় কোক স্টুডিও চলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।মমতাজ
কী আছে?
ফিউশন হচ্ছে এমন একধরনের মিউজিক, যেখানে একাধিক ধরনের মিউজিক একসঙ্গে যুক্ত করা হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোক গানের ফিউশন হয়েছে কোক স্টুডিওতে। আবিদা পারভীন, রাহাত ফতেহ আলী খান, আতিফ আসলাম, ফারহান সাঈদ, হাদিকা কিয়ানির মতো শিল্পীদের মুখে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানগুলো। জনপ্রিয় শিল্পীর পাশাপাশি নতুনরা তৈরি করেছেন নতুন সুরে গান। সুফি, ক্ল্যাসিক্যাল, রাগা, ফোক ধাঁচের ওস্তাদ শিল্পীরা পাকিস্তানের কোক স্টুডিওতে গান করেন। তাঁদের সঙ্গে ফিউশন করেন বিভিন্ন ব্যান্ড ও শিল্পীরা। কোক স্টুডিওর কল্যাণে পাকিস্তানের ‘চালো মাদিনে চলে’, ‘আফরি’র মতো বেশ কিছু গান বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাকিস্তানি গায়ক আলমগীর হক বাংলা-উর্দু মিশিয়ে গেয়েছিলেন ‘আমায় ভাসাইলি রে’ গানটি। যদিও তাঁর জন্ম বাংলাদেশেই। তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার, পিএএফ শাহীন কলেজ ছাড়াও জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
ভারতের কোক স্টুডিওতে অংশ নিয়েছেন এ আর রহমান, রাম সম্পদ, সেলিম-সোলায়মান, জুবিন, কেকে, শান, সুনিধি, শংকর মহাদেবান, পাপনসহ অনেকেই। বাংলাদেশের বাউলশিল্পী শফি মণ্ডলও গেয়েছেন ভারতীয় টেলিভিশন এমটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কোক স্টুডিও’তে। গাওয়া হয়েছে ‘মিলন হবে কত দিনে’র মতো বাংলা গান।
যাঁরা ইউটিউবে নিয়মিত গান শোনেন, তাঁদের কাছে ‘কোক স্টুডিও’ খুবই পরিচিত একটি নাম। এই স্টুডিওতে ধারণ করা ভারত-পাকিস্তানের অসংখ্য গান বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এর মধ্যে পাকিস্তানের কোক স্টুডিওর ফিউশন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কোক স্টুডিওর জনপ্রিয়তার সুবাদে এর আদলে আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠান তৈরি হলেও জনপ্রিয়তায় কোক স্টুডিওকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
বাংলাদেশে কোক স্টুডিও
পাকিস্তান ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে কোক স্টুডিও। গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শিগগিরই বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে কোক স্টুডিও। বড় আয়োজনেই হবে এই জনপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তার আগে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী বলেন, কোক স্টুডিও সাধারণ যে দেশে তৈরি হয়, ওই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ফোক গানকে প্রাধান্য দেয়। এখানেও তা-ই হচ্ছে। তিন মাস ধরেই ঢাকার বনানী, তেজগাঁওসহ তিনটি স্টুডিওতে চলছে কোক স্টুডিও কার্যক্রম। চলতি সপ্তাহে শুটিং হয়েছে দীপ্ত টিভির স্টুডিওতে। মূলত ফোক গান দিয়েই সাজানো হবে প্রথম সিজন। অর্ণব, মিজান, পান্থ কানাই, মমতাজ, বাপ্পা মজুমদার, কণাসহ অনেকেই অংশ নিচ্ছেন অনুষ্ঠানে।
শুরুর গল্প
২০০৭ সালে প্রথম এমটিভি ব্রাজিলে প্রচার শুরু হয় ব্রাজিলীয় সংগীত অনুষ্ঠান স্টুডিও কোকা-কোলা। সেই অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে আফ্রিকার লোকজ শিল্পীদের সঙ্গে তারকা গায়কেরা এখন নিয়মিত মিউজিক ফিউশন করছেন। ন্যাস্টি সি, রানটাউন, একেএ, প্যাটোরেঙ্কিংয়ের মতো ব্যান্ড ছাড়াও সেখিনার মতো নতুন শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এর আদলেই পরের বছর ২০০৮ সালে পাকিস্তানে শুরু হয় কোক স্টুডিও। অনুষ্ঠান দুটির মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে ব্রাজিলের স্টুডিও কোকা-কোলা তৈরি হতো কনসার্টের মতো করে। আর পাকিস্তানের কোক স্টুডিও পুরোপুরিই ইনডোর, স্টুডিও ভিত্তিক অনুষ্ঠান। পাকিস্তানের কোক স্টুডিও অনুষ্ঠানটি পৃষ্ঠপোষকতা করে কোকা-কোলা এবং পাকিস্তানের ব্যান্ড ভাইটাল সাইনসের প্রতিষ্ঠাতা রুহেইল হায়াত ও তাঁর স্ত্রী আম্বার হায়াত। অনুষ্ঠানের ১৪তম সিজন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা পেলে আন্তর্জাতিক ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে ভারতের এমটিভির সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুরু হয় কোক স্টুডিও ভারতীয় অনুষ্ঠান। ২০১১ সালে শুরু হওয়া ভারতীয় কোক স্টুডিও চলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।মমতাজ
কী আছে?
ফিউশন হচ্ছে এমন একধরনের মিউজিক, যেখানে একাধিক ধরনের মিউজিক একসঙ্গে যুক্ত করা হয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোক গানের ফিউশন হয়েছে কোক স্টুডিওতে। আবিদা পারভীন, রাহাত ফতেহ আলী খান, আতিফ আসলাম, ফারহান সাঈদ, হাদিকা কিয়ানির মতো শিল্পীদের মুখে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানগুলো। জনপ্রিয় শিল্পীর পাশাপাশি নতুনরা তৈরি করেছেন নতুন সুরে গান। সুফি, ক্ল্যাসিক্যাল, রাগা, ফোক ধাঁচের ওস্তাদ শিল্পীরা পাকিস্তানের কোক স্টুডিওতে গান করেন। তাঁদের সঙ্গে ফিউশন করেন বিভিন্ন ব্যান্ড ও শিল্পীরা। কোক স্টুডিওর কল্যাণে পাকিস্তানের ‘চালো মাদিনে চলে’, ‘আফরি’র মতো বেশ কিছু গান বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাকিস্তানি গায়ক আলমগীর হক বাংলা-উর্দু মিশিয়ে গেয়েছিলেন ‘আমায় ভাসাইলি রে’ গানটি। যদিও তাঁর জন্ম বাংলাদেশেই। তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার, পিএএফ শাহীন কলেজ ছাড়াও জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
ভারতের কোক স্টুডিওতে অংশ নিয়েছেন এ আর রহমান, রাম সম্পদ, সেলিম-সোলায়মান, জুবিন, কেকে, শান, সুনিধি, শংকর মহাদেবান, পাপনসহ অনেকেই। বাংলাদেশের বাউলশিল্পী শফি মণ্ডলও গেয়েছেন ভারতীয় টেলিভিশন এমটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কোক স্টুডিও’তে। গাওয়া হয়েছে ‘মিলন হবে কত দিনে’র মতো বাংলা গান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে