চারঘাট প্রতিনিধি
চারঘাটের বিভিন্ন বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার। দোকানগুলোতে সামান্য যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তাতে বোরো ধান ও আমচাষিরা সারের সংকটে ভুগছেন। যদিও কৃষি অধিদপ্তর সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। কেউ কেউ রসিদ দিলেও তাতে সরকারনির্ধারিত দাম দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। ডিলারদের কাছে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
তবে এ বিষয়ে ডিলারদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সরকারনির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করছেন তাঁরা।
চারঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি—এই তিন মৌসুমে উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩১ হাজার ৫৯১ হেক্টর। এই জমি আবাদ করতে ৩ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন টিএসপি, ৬ হাজার ৪০৯ মেট্রিক টন এমওপি, ৭ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ১৪ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। সারের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণমতো বরাদ্দ রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানায়, বরাদ্দ করা সার বিসিআইসির ৭ জন এবং বিএডিসির ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে উপজেলার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার প্রতি বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) টিএসপি সারের খুচরা মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা (২২ টাকা প্রতি কেজি) ও পটাশ প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা (১৫ টাকা কেজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জানা যায়, রবি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান, গম, আলু, ভুট্টা, মসুর, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ হয়। এ ছাড়া উপজেলায় অসংখ্য আমবাগান রয়েছে। এসব ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে জমিতে কৃষকেরা টিএসপি ও পটাশ সার ব্যবহার করেন।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের এক ডিলারের দোকানে টিএসপি ও পটাশ কিনতে গেলে ডিলার তাঁকে টিএসপি সার নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার পর ডিলার তাঁকে দুই বস্তা সার দেন। প্রতি বস্তা টিএসপি ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং এমওপি ৯৫০ টাকা দাম নেয়। ডিলার কোনো রসিদ দেননি।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বোরো ধানে সেচ দেব, সার লাগবে। এ জন্য নন্দনগাছি বাজারের একজন খুচরা সার বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি বস্তা টিএসপি সার ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনলাম।’
এ বিষয়ে উপজেলার বিসিআইসি সারের ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘টিএসপি ও পটাশ সারের চাহিদা বেশি। অনেক সময় পটাশ আমাদের কাছেও থাকছে না। সার সরবরাহ থাকলে সরকারনির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে কি না জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খন্দকার ফিরোজ মাহমুদ বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। বেশি মূল্য নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী সরকারনির্ধারিত মূল্যে চেয়ে বেশি টাকা নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি।’
চারঘাটের বিভিন্ন বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার। দোকানগুলোতে সামান্য যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তাতে বোরো ধান ও আমচাষিরা সারের সংকটে ভুগছেন। যদিও কৃষি অধিদপ্তর সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। কেউ কেউ রসিদ দিলেও তাতে সরকারনির্ধারিত দাম দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। ডিলারদের কাছে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
তবে এ বিষয়ে ডিলারদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সরকারনির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করছেন তাঁরা।
চারঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি—এই তিন মৌসুমে উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩১ হাজার ৫৯১ হেক্টর। এই জমি আবাদ করতে ৩ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন টিএসপি, ৬ হাজার ৪০৯ মেট্রিক টন এমওপি, ৭ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ১৪ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। সারের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণমতো বরাদ্দ রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানায়, বরাদ্দ করা সার বিসিআইসির ৭ জন এবং বিএডিসির ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে উপজেলার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার প্রতি বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) টিএসপি সারের খুচরা মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা (২২ টাকা প্রতি কেজি) ও পটাশ প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা (১৫ টাকা কেজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জানা যায়, রবি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান, গম, আলু, ভুট্টা, মসুর, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ হয়। এ ছাড়া উপজেলায় অসংখ্য আমবাগান রয়েছে। এসব ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে জমিতে কৃষকেরা টিএসপি ও পটাশ সার ব্যবহার করেন।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদরের এক ডিলারের দোকানে টিএসপি ও পটাশ কিনতে গেলে ডিলার তাঁকে টিএসপি সার নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলার পর ডিলার তাঁকে দুই বস্তা সার দেন। প্রতি বস্তা টিএসপি ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং এমওপি ৯৫০ টাকা দাম নেয়। ডিলার কোনো রসিদ দেননি।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বোরো ধানে সেচ দেব, সার লাগবে। এ জন্য নন্দনগাছি বাজারের একজন খুচরা সার বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি বস্তা টিএসপি সার ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনলাম।’
এ বিষয়ে উপজেলার বিসিআইসি সারের ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘টিএসপি ও পটাশ সারের চাহিদা বেশি। অনেক সময় পটাশ আমাদের কাছেও থাকছে না। সার সরবরাহ থাকলে সরকারনির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে কি না জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খন্দকার ফিরোজ মাহমুদ বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। বেশি মূল্য নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী সরকারনির্ধারিত মূল্যে চেয়ে বেশি টাকা নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে