আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকে প্রতিষ্ঠানটির আইটি সহযোগী ও পেমেন্ট গেটওয়েকে অব্যাহতি দিয়েছে পুলিশ। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্স। অভিযোগপত্র থেকে প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ও কর্মকর্তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। তাঁর অভিযোগ, ই-অরেঞ্জের টাকা লুটপাটে এই দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল। কারণ গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ই-অরেঞ্জকে টাকা দেওয়ার শর্ত থাকলেও এসএসএল কমার্স সেই শর্ত মানেনি। এই সুযোগে পণ্য না দিয়েই টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ। এরপর লাপাত্তা হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠান দুটি দায় এড়াতে পারে না।
ই-অরেঞ্জ থেকে প্রতারিত হয়ে ২০২০ সালের ১০ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন গালিব হাসান নামের এক ব্যক্তি। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য নিতে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে তারা প্রতারণা করেছে। ই-অরেঞ্জ তিনি এবং তাঁর পরিচিত আরও কয়েকজনের কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে সারা দেশের গ্রাহকের কাছ থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গালিব হাসানের করা মামলাটি প্রথমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে। পরে তদন্তভার যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। পিবিআই তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। আসামিরা হলেন পুলিশের বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, তাঁর বোন সোনিয়া মেহজাবিন ওরফে জুঁই, মাশুকুর রহমান, আমান উল্লাহ চৌধুরী, বিথী আক্তার ও কাওছার আহমেদ। তবে মামলার এজাহারে থাকা এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও এসএসএল কমার্স এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের নাম থাকলেও তাঁদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি আগে তদন্ত করেছে সিআইডি। তারা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করেছিল। বিথী নামের এক নারীর নাম বাদ পড়েছিল। কিন্তু আমাদের তদন্তে সেটি ওঠে এসেছে।’
দুই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এই অপরাধে ই-অরেঞ্জকে আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্সের মালিক ও কর্মকর্তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সফটওয়্যার শপ লিমিটেড কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে (অনলাইন বিক্রেতা) পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে ২৫ জানুয়ারি থেকে পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমোদনপ্রাপ্ত। তাদের কাজ হলো, আইন ও নিয়মকানুন মোতাবেক ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে পণ্য/সেবা ক্রয়ের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করা।
ক্রেতার অর্থ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়াই তাদের কাজ। অন্যদিকে পণ্য বা সেবার বিষয়ে চুক্তি, পণ্যের গুণগত মান, পণ্যের ডেলিভারি-সংক্রান্ত বিষয় ও জটিলতা, পেমেন্ট ফেরত/রিফান্ড বা অন্যান্য বিষয়গুলো শুধু সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তবে মামলার বাদী গালিব হাসান বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে ই-অরেঞ্জকে আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস এবং এসএসএল কমার্সকে দায়ী করে আসছি। কারণ তাদের হাত ধরেই টাকা পেয়েছে ই-অরেঞ্জ।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকে প্রতিষ্ঠানটির আইটি সহযোগী ও পেমেন্ট গেটওয়েকে অব্যাহতি দিয়েছে পুলিশ। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্স। অভিযোগপত্র থেকে প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ও কর্মকর্তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। তাঁর অভিযোগ, ই-অরেঞ্জের টাকা লুটপাটে এই দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল। কারণ গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ই-অরেঞ্জকে টাকা দেওয়ার শর্ত থাকলেও এসএসএল কমার্স সেই শর্ত মানেনি। এই সুযোগে পণ্য না দিয়েই টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ। এরপর লাপাত্তা হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠান দুটি দায় এড়াতে পারে না।
ই-অরেঞ্জ থেকে প্রতারিত হয়ে ২০২০ সালের ১০ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন গালিব হাসান নামের এক ব্যক্তি। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য নিতে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে তারা প্রতারণা করেছে। ই-অরেঞ্জ তিনি এবং তাঁর পরিচিত আরও কয়েকজনের কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে সারা দেশের গ্রাহকের কাছ থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গালিব হাসানের করা মামলাটি প্রথমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে। পরে তদন্তভার যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। পিবিআই তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। আসামিরা হলেন পুলিশের বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, তাঁর বোন সোনিয়া মেহজাবিন ওরফে জুঁই, মাশুকুর রহমান, আমান উল্লাহ চৌধুরী, বিথী আক্তার ও কাওছার আহমেদ। তবে মামলার এজাহারে থাকা এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও এসএসএল কমার্স এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের নাম থাকলেও তাঁদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি আগে তদন্ত করেছে সিআইডি। তারা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করেছিল। বিথী নামের এক নারীর নাম বাদ পড়েছিল। কিন্তু আমাদের তদন্তে সেটি ওঠে এসেছে।’
দুই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এই অপরাধে ই-অরেঞ্জকে আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস ও পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএল কমার্সের মালিক ও কর্মকর্তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সফটওয়্যার শপ লিমিটেড কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে (অনলাইন বিক্রেতা) পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে ২৫ জানুয়ারি থেকে পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমোদনপ্রাপ্ত। তাদের কাজ হলো, আইন ও নিয়মকানুন মোতাবেক ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে পণ্য/সেবা ক্রয়ের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করা।
ক্রেতার অর্থ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়াই তাদের কাজ। অন্যদিকে পণ্য বা সেবার বিষয়ে চুক্তি, পণ্যের গুণগত মান, পণ্যের ডেলিভারি-সংক্রান্ত বিষয় ও জটিলতা, পেমেন্ট ফেরত/রিফান্ড বা অন্যান্য বিষয়গুলো শুধু সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তবে মামলার বাদী গালিব হাসান বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে ই-অরেঞ্জকে আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এসএসএল সফটওয়্যার শপ ওয়্যারলেস এবং এসএসএল কমার্সকে দায়ী করে আসছি। কারণ তাদের হাত ধরেই টাকা পেয়েছে ই-অরেঞ্জ।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে