মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
দেশের ময়মনসিংহ ও শেরপুরের সীমান্তবর্তী জনপদ গারো পাহাড়। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস এখানে। পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা এই জনপদে প্রায় সময় হানা দিচ্ছে খাদ্যের সংকটে পড়া বন্য হাতির দল। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসল, ঘরবাড়ি। এদের আক্রমণে বাড়ছে প্রাণহানিও। আত্মরক্ষায় কৃষকদের পেতে রাখা ফাঁদে বিভিন্ন সময় মারা পড়ছে হাতি। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় হাতি-মানুষের লড়াই।
এ লড়াই যেন দেখার নেই কেউ, এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মানুষ ও হাতিকে রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব, সেই বন বিভাগের স্থায়ী কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেই।
বন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ২০-২৫টি বন্য হাতির দল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পিক পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে এ পাহাড়ে চলে আসে। পরে দলটি ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। সেই থেকে হাতির সংখ্যা বেড়ে গারো পাহাড়ের সীমান্তে বর্তমানে এই সংখ্যা শতাধিক। হাতির দলটি ধান ও গ্রীষ্মকালীন ফলের সময় খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে লোকালয়ে।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্ত এলাকার ৬০ কিলোমিটারের পুরো এলাকা চষে বেড়ায় এরা। তখন আতঙ্কে গ্রামবাসীর নির্ঘুম রাত কাটে। ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। তবে ২০১৪ সাল থেকে ৯ বছরে এদের আক্রমণে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদসহ নানা কারণে মরেছে ২৯টি হাতি।
ভুক্তভোগীরা জানান, কৃষি মৌসুমে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে মানুষ মশাল জ্বালিয়ে, হইহুল্লোড় করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রায় আড়াই দশক ধরে এ যুদ্ধ যেন বেড়েই চলছে। আগে ফসলের মৌসুমে হাতির দল হানা দিত, কিন্তু সম্প্রতি সারা বছরই সীমান্তে বিচরণ করায় ভারত সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকাকে দায়ী করা হচ্ছে।
উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি এলাকার কৃষক ইব্রাহিম বলেন, ‘আগে ফসলের মৌসুমে আত্তি (হাতি) আইতো। এহন (এখন) তো মনে চাইলেই আইয়া (এসে) পড়ে। এতে আতঙ্কে সবার নির্ঘুম রাত কাটে।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর বিট (হালুয়াঘাট ও নালিতাবাড়ী ‘এ’ বিটের অংশ) কর্মকর্তা মাজাহারুল হক বলেন, ‘বন বিভাগ হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
দেশের ময়মনসিংহ ও শেরপুরের সীমান্তবর্তী জনপদ গারো পাহাড়। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস এখানে। পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা এই জনপদে প্রায় সময় হানা দিচ্ছে খাদ্যের সংকটে পড়া বন্য হাতির দল। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসল, ঘরবাড়ি। এদের আক্রমণে বাড়ছে প্রাণহানিও। আত্মরক্ষায় কৃষকদের পেতে রাখা ফাঁদে বিভিন্ন সময় মারা পড়ছে হাতি। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় হাতি-মানুষের লড়াই।
এ লড়াই যেন দেখার নেই কেউ, এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মানুষ ও হাতিকে রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব, সেই বন বিভাগের স্থায়ী কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেই।
বন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ২০-২৫টি বন্য হাতির দল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পিক পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে এ পাহাড়ে চলে আসে। পরে দলটি ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। সেই থেকে হাতির সংখ্যা বেড়ে গারো পাহাড়ের সীমান্তে বর্তমানে এই সংখ্যা শতাধিক। হাতির দলটি ধান ও গ্রীষ্মকালীন ফলের সময় খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে লোকালয়ে।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্ত এলাকার ৬০ কিলোমিটারের পুরো এলাকা চষে বেড়ায় এরা। তখন আতঙ্কে গ্রামবাসীর নির্ঘুম রাত কাটে। ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। তবে ২০১৪ সাল থেকে ৯ বছরে এদের আক্রমণে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদসহ নানা কারণে মরেছে ২৯টি হাতি।
ভুক্তভোগীরা জানান, কৃষি মৌসুমে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে মানুষ মশাল জ্বালিয়ে, হইহুল্লোড় করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রায় আড়াই দশক ধরে এ যুদ্ধ যেন বেড়েই চলছে। আগে ফসলের মৌসুমে হাতির দল হানা দিত, কিন্তু সম্প্রতি সারা বছরই সীমান্তে বিচরণ করায় ভারত সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকাকে দায়ী করা হচ্ছে।
উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি এলাকার কৃষক ইব্রাহিম বলেন, ‘আগে ফসলের মৌসুমে আত্তি (হাতি) আইতো। এহন (এখন) তো মনে চাইলেই আইয়া (এসে) পড়ে। এতে আতঙ্কে সবার নির্ঘুম রাত কাটে।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর বিট (হালুয়াঘাট ও নালিতাবাড়ী ‘এ’ বিটের অংশ) কর্মকর্তা মাজাহারুল হক বলেন, ‘বন বিভাগ হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে