ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী সদর উপজেলায় শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষকেরা আতঙ্কিত। ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হলে দীর্ঘ সময়েও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সংশ্লষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার লেমুয়া রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ সালে নির্মিত হয়। সেখানে একটি ভবনে চলছে সব কার্যক্রম। রয়েছে শ্রেণিসংকট। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনেক কষ্টে শিক্ষকেরা পাঠদান করছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগম জানান, স্কুলটির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
একই স্কুলের শিক্ষক নাজনিন আক্তার বলেন, ভবনটির দেয়ালের বাইরে ও ভেতরের ছাদে অনেকাংশে পলেস্তারা উঠে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তারপরও ওই ভবনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাবিহা বলে, ‘আমাদের স্কুলটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝেমধ্যে আস্তর পড়ে আমাদের বই-খাতা নষ্ট হয়। আমরা আতঙ্কে আছি। এ অবস্থায় অনেক সহপাঠী এখন স্কুলে না এসে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন বা মাদ্রাসায় ভর্তি হচ্ছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৫৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি স্কুল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের কলাম ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। ছাদের পলস্তারা ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। এর জন্য অনেক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান করানো হচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।
একই উপজেলার কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে শিশুদের পড়াতে হচ্ছে। এতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুষেন চন্দ্র শীল বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে এবং কোমলমতি শিশুদের শুরু থেকে শিক্ষাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে ভবনগুলো দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি। জরাজীর্ণ ভবন সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য জানা নেই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হলে সরেজমিনে দেখে শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফেনী সদর উপজেলায় শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষকেরা আতঙ্কিত। ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হলে দীর্ঘ সময়েও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সংশ্লষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার লেমুয়া রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ সালে নির্মিত হয়। সেখানে একটি ভবনে চলছে সব কার্যক্রম। রয়েছে শ্রেণিসংকট। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনেক কষ্টে শিক্ষকেরা পাঠদান করছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগম জানান, স্কুলটির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
একই স্কুলের শিক্ষক নাজনিন আক্তার বলেন, ভবনটির দেয়ালের বাইরে ও ভেতরের ছাদে অনেকাংশে পলেস্তারা উঠে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তারপরও ওই ভবনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাবিহা বলে, ‘আমাদের স্কুলটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝেমধ্যে আস্তর পড়ে আমাদের বই-খাতা নষ্ট হয়। আমরা আতঙ্কে আছি। এ অবস্থায় অনেক সহপাঠী এখন স্কুলে না এসে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন বা মাদ্রাসায় ভর্তি হচ্ছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৫৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি স্কুল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের কলাম ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। ছাদের পলস্তারা ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। এর জন্য অনেক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিকল্প ব্যবস্থায় পাঠদান করানো হচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।
একই উপজেলার কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে শিশুদের পড়াতে হচ্ছে। এতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুষেন চন্দ্র শীল বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে এবং কোমলমতি শিশুদের শুরু থেকে শিক্ষাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে ভবনগুলো দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি। জরাজীর্ণ ভবন সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য জানা নেই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হলে সরেজমিনে দেখে শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে