ফেনী প্রতিনিধি
মানসিক অশান্তি, পারিবারিক কলহ এবং বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কসহ নানা কারণে ফেনীতে গত ৬ মাসে ৪২ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং ২৬ জনই কিশোর-তরুণ বয়সী। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা করা এই ৪২ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ এবং ২০ জন নারী রয়েছেন।
জেলা পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক সংগঠনসহ সব পক্ষ থেকে সম্প্রতি ‘আত্মহত্যা রুখতে’ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে জেলার সর্বত্র এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে সামাজিক অবক্ষয় ও ধর্মীয় চর্চা থেকে দূরে সরে গিয়ে ফেসবুককে এর জন্য দায়ী করছেন।
এদিকে এসব আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জেনেছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক কলহ ও বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এসব ব্যক্তি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথে গেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান ও ক্ষোভের কারণও উঠে এসেছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া সিদ্দিকী বলেন, আত্মহত্যা একটি মানসিক রোগ। বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঘটে থাকে বিষণ্নতা, দারিদ্র্য, মাদক সেবন, বেকারত্ব ও সামাজিক নানা অস্থিরতা থেকে। ইদানীং বয়ঃসন্ধিকালেও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তিনি বলেন, কোনো বিষয় নিয়ে বেশি হতাশা থাকলে ভালো ভালো চলচ্চিত্র দেখে বা বই পড়ে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালের মর্গে নিয়মিত আত্মহত্যা করা ব্যক্তির মরদেহ আসছে। যাদের বেশির ভাগ শ্বাসরোধে আত্মহত্যা। হাসপাতালে গড়ে ১০ দিনে একটি আত্মহত্যার মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হচ্ছে।
ফেনীর অসংখ্য মানুষ প্রবাসী জানিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, অনেক প্রবাসীর স্ত্রী বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান, যা একসময় পারিবারিক কলহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অশান্তি চরমে পৌঁছালে একসময় অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে সরাসরি পুলিশ কিংবা ৯৯৯-এ ফোন করে যে কেউ সহযোগিতা পেতে পারেন।
এদিকে গত ২৮ মে ফেনী জেলা পুলিশের উদ্যোগে ‘আত্মহত্যা একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী ব্যর্থতা’—এই প্রতিপাদ্যে শহরের একটি কনভেনশন হলে সভা হয়। সভায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেসা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা ও আইন সম্পর্কে জানান, দেশের আইনে ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। শুধু শিশুই নয়, দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিলে সেটি যদি আদালত থেকে প্রমাণিত হয় তাহলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ সময় পুলিশের উদ্দেশে এই বিচারক বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনাকে শুরুতে অপমৃত্যুর ঘটনা আকারে রেকর্ড না করে ৩০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করা প্রয়োজন। শুরুতে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হলে তদন্তের মানসিকতা কমে যায়। আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে যদি আইন বিভাগ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সমাজে ইতিবাচক সাড়া পড়বে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। এতে বিচারক, সংসদ সদস্য, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, ক্রিকেটারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
মানসিক অশান্তি, পারিবারিক কলহ এবং বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কসহ নানা কারণে ফেনীতে গত ৬ মাসে ৪২ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং ২৬ জনই কিশোর-তরুণ বয়সী। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা করা এই ৪২ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ এবং ২০ জন নারী রয়েছেন।
জেলা পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক সংগঠনসহ সব পক্ষ থেকে সম্প্রতি ‘আত্মহত্যা রুখতে’ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। ফলে জেলার সর্বত্র এ নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে সামাজিক অবক্ষয় ও ধর্মীয় চর্চা থেকে দূরে সরে গিয়ে ফেসবুককে এর জন্য দায়ী করছেন।
এদিকে এসব আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জেনেছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক কলহ ও বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এসব ব্যক্তি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথে গেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান ও ক্ষোভের কারণও উঠে এসেছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া সিদ্দিকী বলেন, আত্মহত্যা একটি মানসিক রোগ। বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঘটে থাকে বিষণ্নতা, দারিদ্র্য, মাদক সেবন, বেকারত্ব ও সামাজিক নানা অস্থিরতা থেকে। ইদানীং বয়ঃসন্ধিকালেও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তিনি বলেন, কোনো বিষয় নিয়ে বেশি হতাশা থাকলে ভালো ভালো চলচ্চিত্র দেখে বা বই পড়ে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালের মর্গে নিয়মিত আত্মহত্যা করা ব্যক্তির মরদেহ আসছে। যাদের বেশির ভাগ শ্বাসরোধে আত্মহত্যা। হাসপাতালে গড়ে ১০ দিনে একটি আত্মহত্যার মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হচ্ছে।
ফেনীর অসংখ্য মানুষ প্রবাসী জানিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, অনেক প্রবাসীর স্ত্রী বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান, যা একসময় পারিবারিক কলহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অশান্তি চরমে পৌঁছালে একসময় অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে সরাসরি পুলিশ কিংবা ৯৯৯-এ ফোন করে যে কেউ সহযোগিতা পেতে পারেন।
এদিকে গত ২৮ মে ফেনী জেলা পুলিশের উদ্যোগে ‘আত্মহত্যা একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী ব্যর্থতা’—এই প্রতিপাদ্যে শহরের একটি কনভেনশন হলে সভা হয়। সভায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেসা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা ও আইন সম্পর্কে জানান, দেশের আইনে ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। শুধু শিশুই নয়, দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিলে সেটি যদি আদালত থেকে প্রমাণিত হয় তাহলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ সময় পুলিশের উদ্দেশে এই বিচারক বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনাকে শুরুতে অপমৃত্যুর ঘটনা আকারে রেকর্ড না করে ৩০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করা প্রয়োজন। শুরুতে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হলে তদন্তের মানসিকতা কমে যায়। আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে যদি আইন বিভাগ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সমাজে ইতিবাচক সাড়া পড়বে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। এতে বিচারক, সংসদ সদস্য, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, ক্রিকেটারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে