আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রায় দেড় বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলছে। থামার লক্ষণ নেই। এ সংঘাত খুব জটিল ও বহুমাত্রিক দাবা খেলার মতো। এটা নিরসনে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বড় বড় দেশগুলা যুক্ত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে চীনও। তবে সম্ভাব্য শান্তিপ্রতিষ্ঠাকারী বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের আবির্ভাব বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আগে চীনের কূটনৈতিক অবস্থান ছিল অনেকটা পরোক্ষ, পরে তারা সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীনের এই যে কূটনৈতিক পরিবর্তন, তা চীন-রাশিয়ার ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্ব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন স্থবিরতাকে একটা ‘যুদ্ধ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে চীনের আপাত অনিচ্ছা সম্পর্কে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ প্রশ্নও উঠছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চীনের আদৌ সেই কূটনৈতিক দক্ষতা আছে কি না এবং দক্ষতা থাকলেও আসল উদ্দেশ্য আদৌ পূরণ করতে পারবে কি না দেশটি।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধের ভূত এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলোর দিকে কিয়েভের অতি কূটনৈতিক নির্ভরতা তাদের প্রতি মস্কোর অনাস্থা আরও বাড়িয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে চীনের ১২ দফা শান্তি প্রস্তাবে রাশিয়ার সমর্থন এবং মস্কোতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সফরের ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রাথমিক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া বেইজিংয়ের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
ব্যাপক সংশয়-সন্দেহ সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভ সফরে সি চিন পিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই আমন্ত্রণ আলোচনা প্রক্রিয়ায় চীনের সম্ভাব্য ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
বৈশ্বিক রাজনীতিতে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা, এই জটিল ইস্যু সমাধানে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে চীনকে। যেমন চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরব-ইরান সংঘাত মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সাফল্য এ ক্ষেত্রে মনে রাখার মতো।
কাজেই বিশ্বাস করার বিভিন্ন কারণ আছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী বা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে চীন প্রস্তুত এবং গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক।
চীনের কূটনৈতিক প্লেবুকের প্রধান কৌশলই হলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটা ভাগাভাগির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা। এই কূটনৈতিক কৌশল চীনকে জোটের ঐতিহ্যগত বাস্তববাদী ধারণা থেকে আলাদা করেছে।
চীনের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো, সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে দেশগুলোর আগ্রহ আরও বাড়ানো। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক ফাটল, তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা এবং সামগ্রিক পূর্ব এশীয় পাওয়ার ডিনামিক্স বেইজিংকে তার পশ্চিম চৌহদ্দিতে স্থিতিশীলতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য উৎসাহিত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে চীনের ভূমিকা দেশটিকে পূর্ব ফ্রন্টে এবং দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আরও নিবিড়ভাবে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেবে।
সত্যি বলতে কি, চীনের কূটনৈতিক অ্যাপ্রোচ বহুমুখী। এর প্রাথমিক কৌশল হলো, রাশিয়াকে সংলাপে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা। তবে সমালোচকেরা অভিযোগ করেন, চীন রাশিয়াকে যথেষ্ট চাপ দেয়নি। এর ফলে সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং ইউক্রেনের ভোগান্তি বেড়েছে।
নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, চীনের বৃহত্তর কূটনৈতিক দর্শন হলো বিভিন্ন জাতির মধ্যকার ক্ষমতা কাঠামোর ভারসাম্যহীনতা দূর করা, যা দেশটির দেওয়া ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।
যদিও চীনের মধ্যস্থতার বাস্তব প্রভাব এবং কার্যকারিতা শেষ পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হবে সংঘাতের একটি দ্রুত এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান আনার সক্ষমতার ভিত্তিতে। এটি এমন এক মানদণ্ড, যা আন্তর্জাতিক সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
প্রায় দেড় বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলছে। থামার লক্ষণ নেই। এ সংঘাত খুব জটিল ও বহুমাত্রিক দাবা খেলার মতো। এটা নিরসনে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বড় বড় দেশগুলা যুক্ত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে চীনও। তবে সম্ভাব্য শান্তিপ্রতিষ্ঠাকারী বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের আবির্ভাব বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আগে চীনের কূটনৈতিক অবস্থান ছিল অনেকটা পরোক্ষ, পরে তারা সক্রিয় ও প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীনের এই যে কূটনৈতিক পরিবর্তন, তা চীন-রাশিয়ার ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্ব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন স্থবিরতাকে একটা ‘যুদ্ধ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে চীনের আপাত অনিচ্ছা সম্পর্কে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ প্রশ্নও উঠছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চীনের আদৌ সেই কূটনৈতিক দক্ষতা আছে কি না এবং দক্ষতা থাকলেও আসল উদ্দেশ্য আদৌ পূরণ করতে পারবে কি না দেশটি।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধের ভূত এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলোর দিকে কিয়েভের অতি কূটনৈতিক নির্ভরতা তাদের প্রতি মস্কোর অনাস্থা আরও বাড়িয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে চীনের ১২ দফা শান্তি প্রস্তাবে রাশিয়ার সমর্থন এবং মস্কোতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সফরের ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রাথমিক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া বেইজিংয়ের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
ব্যাপক সংশয়-সন্দেহ সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভ সফরে সি চিন পিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই আমন্ত্রণ আলোচনা প্রক্রিয়ায় চীনের সম্ভাব্য ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
বৈশ্বিক রাজনীতিতে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা, এই জটিল ইস্যু সমাধানে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে চীনকে। যেমন চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরব-ইরান সংঘাত মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সাফল্য এ ক্ষেত্রে মনে রাখার মতো।
কাজেই বিশ্বাস করার বিভিন্ন কারণ আছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী বা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে চীন প্রস্তুত এবং গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক।
চীনের কূটনৈতিক প্লেবুকের প্রধান কৌশলই হলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটা ভাগাভাগির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা। এই কূটনৈতিক কৌশল চীনকে জোটের ঐতিহ্যগত বাস্তববাদী ধারণা থেকে আলাদা করেছে।
চীনের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো, সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে দেশগুলোর আগ্রহ আরও বাড়ানো। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক ফাটল, তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা এবং সামগ্রিক পূর্ব এশীয় পাওয়ার ডিনামিক্স বেইজিংকে তার পশ্চিম চৌহদ্দিতে স্থিতিশীলতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য উৎসাহিত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে চীনের ভূমিকা দেশটিকে পূর্ব ফ্রন্টে এবং দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আরও নিবিড়ভাবে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেবে।
সত্যি বলতে কি, চীনের কূটনৈতিক অ্যাপ্রোচ বহুমুখী। এর প্রাথমিক কৌশল হলো, রাশিয়াকে সংলাপে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা। তবে সমালোচকেরা অভিযোগ করেন, চীন রাশিয়াকে যথেষ্ট চাপ দেয়নি। এর ফলে সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং ইউক্রেনের ভোগান্তি বেড়েছে।
নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, চীনের বৃহত্তর কূটনৈতিক দর্শন হলো বিভিন্ন জাতির মধ্যকার ক্ষমতা কাঠামোর ভারসাম্যহীনতা দূর করা, যা দেশটির দেওয়া ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে।
যদিও চীনের মধ্যস্থতার বাস্তব প্রভাব এবং কার্যকারিতা শেষ পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হবে সংঘাতের একটি দ্রুত এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান আনার সক্ষমতার ভিত্তিতে। এটি এমন এক মানদণ্ড, যা আন্তর্জাতিক সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে