দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েক মাস ধরে নগরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিলেন। তবে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি ছিল ঢিমেতালে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর এ নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরপিতা হওয়ার দৌড়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলটির কয়েকটি পক্ষ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তিনি যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষে একজোট হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। অপর দিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো দোটানায়।
তফসিল অনুযায়ী, কুসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১৫ জুন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কারণ, এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে গেলে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আর নির্বাচনে না গেলে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমি পৌরসভার একবার ও সিটির দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমার সুখে-দুঃখে অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তাঁদের মতামতের পর সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নের জন্য একক প্রার্থী নির্বাচিত করলেও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘অনেকে বিভিন্নভাবে কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রার্থীর তালিকা পাঠাচ্ছেন। আমরা নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। কুমিল্লার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেন আমাদের নেত্রী যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে মেয়র পদে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে আরফানুল হকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব রেজ্যুলেশন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত, কারও একক সিদ্ধান্ত নয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ।
অন্যদিকে বিএনপির সমর্থিতদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটির মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। অপর পক্ষ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন সমর্থিতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য কাউছার জামান বাপ্পি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
সর্বশেষ কুমিল্লা সিটিতে ভোট গ্রহণ হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। ২০১৭ সালের নির্বাচনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এই সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েক মাস ধরে নগরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিলেন। তবে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি ছিল ঢিমেতালে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর এ নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরপিতা হওয়ার দৌড়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলটির কয়েকটি পক্ষ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তিনি যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁর পক্ষে একজোট হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। অপর দিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো দোটানায়।
তফসিল অনুযায়ী, কুসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১৫ জুন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কারণ, এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে গেলে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আর নির্বাচনে না গেলে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমি পৌরসভার একবার ও সিটির দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আমার সুখে-দুঃখে অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তাঁদের মতামতের পর সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নের জন্য একক প্রার্থী নির্বাচিত করলেও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘অনেকে বিভিন্নভাবে কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রার্থীর তালিকা পাঠাচ্ছেন। আমরা নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। কুমিল্লার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেন আমাদের নেত্রী যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে মেয়র পদে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে আরফানুল হকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব রেজ্যুলেশন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত, কারও একক সিদ্ধান্ত নয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ।
অন্যদিকে বিএনপির সমর্থিতদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটির মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। অপর পক্ষ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন সমর্থিতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য কাউছার জামান বাপ্পি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
সর্বশেষ কুমিল্লা সিটিতে ভোট গ্রহণ হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। ২০১৭ সালের নির্বাচনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এই সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে