বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আগামী বছরের শুরুতেই দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) রাস্তায় নামছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরীতে স্থাপিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই গাড়ি তৈরি করবে। ইতিমধ্যে তারা ওই বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চলে ১০০ একরের বিশাল এলাকা নিয়ে গাড়ি তৈরির কারখানা নির্মাণ শুরু করেছে। সেখানে গাড়ির বডি বানানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির মূল যন্ত্র রিচার্জেবল লিথিয়াম ব্যাটারি, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন মোটর, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলারসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজনের আলাদা তিনটি প্ল্যান্ট হচ্ছে। গাড়ির রংও করা হবে এই কারখানায়। তবে গাড়ির জানালার কাচ, সিট (সোফা)সহ কিছু সামগ্রী আপাতত আমদানি করা হবে, যা পরবর্তী সময়ে দেশে স্থাপিত আলাদা কারখানা থেকে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানার ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হলে ছয় মাসের মধ্যে আমরা দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাতে শুরু করব। সেই হিসাবে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমরা গাড়ি রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করছি। আমরা এসইউভি, কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান—এই পাঁচ ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাব। ইতিমধ্যে তিনটি কারখানা বানানোর সব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে।’ কোন ব্র্যান্ডে গাড়িগুলো বাজারে ছাড়া হবে জানতে চাইলে এ মান্নান খান বলেন, ‘যেহেতু দেশে প্রথম ইভি তৈরি হচ্ছে সেহেতু নামও হবে দেশীয়। আমরা দুটি নাম প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দিয়েছি, সেখান থেকে একটি চূড়ান্ত করা হবে।’
জানা গেছে, এই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জাপান, ফ্রান্স, ইতালি ও চীনের সমন্বিত প্রযুক্তি। চীনভিত্তিক একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গাড়ির ডিজাইন অনুমোদন করেছে। দেশের কারখানার যন্ত্রপাতির বেশির ভাগই হবে স্বয়ংক্রিয় রোবটচালিত।
উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে কোনো ইঞ্জিন থাকে না, পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ছোট আকারের ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন মোটর। আর ছোট আকারের ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলার গাড়ি চাকা সচল এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি হিসেবে ইভিতে তেল কিংবা প্রাকৃতিক বা পেট্রোলিয়াম গ্যাস ব্যবহারের দরকার নেই। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে বৈদ্যুতিক চার্জ দিলেই চলে। এ কারণে গাড়ি-
মালিকের গ্যারেজে এবং নির্ধারিত কিছু পেট্রলপাম্পে স্থাপন করা হবে চার্জিং ইউনিট। রাস্তায় গাড়ি বের করার আগে টানা তিন-চার ঘণ্টা চার্জ
দিলে একটানা ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ চলবে ইভি। এরপর রাস্তার পাশের পাম্পে থাকা র্যাপিড চার্জিং ইউনিটে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট চার্জ দিয়ে আবারও ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ যাওয়া যাবে। এই ধরনের একটি চার্জিং ইউনিটে একসঙ্গে পাঁচটি গাড়ি চার্জ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
দেশে ইভি তৈরির সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকা থেকে সব দিকে দেশের সীমান্ত জেলার দূরত্ব সাড়ে ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। এ কারণে দেশের যেকোনো জেলায় যাওয়ার আগে বাসায় একবার চার্জ দিলেই হবে। আবার ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় সারা দিন ঘোরাঘুরিতেও ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি যাতায়াত হবে না। এই ভাবনা থেকেই দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বছরে ৩২ হাজার সিডান কার ও জিপ, ৪০ হাজার তিন চাকার যান এবং ৬০ হাজার মোটরসাইকেল-জাতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির সুবিধা রাখা হচ্ছে।
গাড়ির দামও নাগালে: বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেশের কারখানায় আপাতত পাঁচ ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হবে। ১৫০০ সিসির সিডান কারের সমমানের ঘণ্টায় ৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী কারের দাম হবে ১৫ লাখ এবং ২০০০ সিসির সমমানের ঘণ্টায় ৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী প্রতিটি এসইউভির দাম হবে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকা। ২৫-২৬ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে ১২ সিটের ঘণ্টায় ৭৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারে সক্ষম মাইক্রোবাস। এ ছাড়া ঘণ্টায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতে চলবে—এমন কাভার্ড ভ্যান ও সর্বোচ্চ ২ টন ধারণক্ষমতার মিনি ট্রাক পাওয়া যাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকায়। গ্রামগঞ্জের মধ্যবিত্তের জন্য ঘণ্টায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী প্রোভক্স বা সাক্সিড আকৃতির ছোট কারের ৫ সিটের (ক্রসওভার বা হ্যাচব্যাক) দাম রাখা হবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সুদমুক্ত কিস্তির ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ মুহূর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে কোনো বাধা নেই। নবায়নে প্রতিবছর ট্যাক্স নেওয়ার নীতিমালাও হয়েছে। গাড়িতে চার্জ দেওয়ার কিলোওয়াটপ্রতি দরও ঠিক করা হয়েছে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে। এ-সংক্রান্ত চারটি নীতিমালা ইভি অটোমোবাইল পলিসি, ইভি রেজিস্ট্রেশন পলিসি, ইভি টেক্সজেশন পলিসি এবং ইভি চার্জিং পলিসি আলাপ-আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা-বিশ্লেষণ শেষে এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ফলে এ মুহূর্তেও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির আনলে তা রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা নেই।
ইভি জ্বালানিসাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব: সালফারযুক্ত জ্বালানি তেলের ব্যবহার না থাকায় ইভি হবে পরিবেশবান্ধব। একই সঙ্গে পেট্রোলিয়াম কিংবা গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে গাড়ি চালানোর খরচও কমে আসবে। উদ্যোক্তারা হিসাব করে দেখিয়েছেন, প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতে এই গাড়ি যাবে এক কিলোমিটার পথ। সেই হিসাবে প্রতি ১০০ কিলোমিটার যাতায়াতে এই গাড়ির জন্য লাগবে শখানেক টাকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের গাড়িতে এই খরচ হতো প্রায় হাজার টাকা।
কারখানা পরিস্থিতি: মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরে সরেজমিন দেখা গেছে, ৪ নম্বর জোনের ১ থেকে ৪ নম্বর প্লটে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইভি তৈরির কারখানা তিনটির সিভিল ওয়ার্ক শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সাল থেকেই কারখানা তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। এখন ওপরে স্টিলের কাঠামো এবং শেড তৈরি করে যন্ত্রপাতি বসালেই কারখানা তিনটি উৎপাদনের উপযোগী হবে। জেনারেল ম্যানেজার হাসিবুল হাসান বলেন, মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির মূল অনুষঙ্গ লিথিয়াম ব্যাটারির প্যাক তৈরির কারখানা—বাংলাদেশ লিথিয়াম ব্যাটারি লিমিটেড। এর কারিগরি অংশীদার হংকংয়ের জিয়াংসু রুইহং লিথিয়াম কোম্পানি লিমিটেড। পাশাপাশি ইস্পাতের পাতকে গাড়ির আকার দেওয়া, মোটর, কন্ট্রোলার, চার্জার তৈরি ও স্থাপনের কারখানা মোটর টেকনোলজি লিমিটেডে কাজ চলবে চীনের উহান সায়ান পাওয়ার টেকনোলজি কোম্পানির কারিগরি সহায়তায়।
আগামী বছরের শুরুতেই দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) রাস্তায় নামছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরীতে স্থাপিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই গাড়ি তৈরি করবে। ইতিমধ্যে তারা ওই বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চলে ১০০ একরের বিশাল এলাকা নিয়ে গাড়ি তৈরির কারখানা নির্মাণ শুরু করেছে। সেখানে গাড়ির বডি বানানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির মূল যন্ত্র রিচার্জেবল লিথিয়াম ব্যাটারি, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন মোটর, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলারসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি তৈরি ও সংযোজনের আলাদা তিনটি প্ল্যান্ট হচ্ছে। গাড়ির রংও করা হবে এই কারখানায়। তবে গাড়ির জানালার কাচ, সিট (সোফা)সহ কিছু সামগ্রী আপাতত আমদানি করা হবে, যা পরবর্তী সময়ে দেশে স্থাপিত আলাদা কারখানা থেকে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানার ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হলে ছয় মাসের মধ্যে আমরা দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাতে শুরু করব। সেই হিসাবে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমরা গাড়ি রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করছি। আমরা এসইউভি, কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান—এই পাঁচ ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাব। ইতিমধ্যে তিনটি কারখানা বানানোর সব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে।’ কোন ব্র্যান্ডে গাড়িগুলো বাজারে ছাড়া হবে জানতে চাইলে এ মান্নান খান বলেন, ‘যেহেতু দেশে প্রথম ইভি তৈরি হচ্ছে সেহেতু নামও হবে দেশীয়। আমরা দুটি নাম প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দিয়েছি, সেখান থেকে একটি চূড়ান্ত করা হবে।’
জানা গেছে, এই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে জাপান, ফ্রান্স, ইতালি ও চীনের সমন্বিত প্রযুক্তি। চীনভিত্তিক একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গাড়ির ডিজাইন অনুমোদন করেছে। দেশের কারখানার যন্ত্রপাতির বেশির ভাগই হবে স্বয়ংক্রিয় রোবটচালিত।
উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে কোনো ইঞ্জিন থাকে না, পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ছোট আকারের ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন মোটর। আর ছোট আকারের ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলার গাড়ি চাকা সচল এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি হিসেবে ইভিতে তেল কিংবা প্রাকৃতিক বা পেট্রোলিয়াম গ্যাস ব্যবহারের দরকার নেই। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে বৈদ্যুতিক চার্জ দিলেই চলে। এ কারণে গাড়ি-
মালিকের গ্যারেজে এবং নির্ধারিত কিছু পেট্রলপাম্পে স্থাপন করা হবে চার্জিং ইউনিট। রাস্তায় গাড়ি বের করার আগে টানা তিন-চার ঘণ্টা চার্জ
দিলে একটানা ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ চলবে ইভি। এরপর রাস্তার পাশের পাম্পে থাকা র্যাপিড চার্জিং ইউনিটে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট চার্জ দিয়ে আবারও ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ যাওয়া যাবে। এই ধরনের একটি চার্জিং ইউনিটে একসঙ্গে পাঁচটি গাড়ি চার্জ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
দেশে ইভি তৈরির সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকা থেকে সব দিকে দেশের সীমান্ত জেলার দূরত্ব সাড়ে ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। এ কারণে দেশের যেকোনো জেলায় যাওয়ার আগে বাসায় একবার চার্জ দিলেই হবে। আবার ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় সারা দিন ঘোরাঘুরিতেও ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি যাতায়াত হবে না। এই ভাবনা থেকেই দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বছরে ৩২ হাজার সিডান কার ও জিপ, ৪০ হাজার তিন চাকার যান এবং ৬০ হাজার মোটরসাইকেল-জাতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির সুবিধা রাখা হচ্ছে।
গাড়ির দামও নাগালে: বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেশের কারখানায় আপাতত পাঁচ ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হবে। ১৫০০ সিসির সিডান কারের সমমানের ঘণ্টায় ৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী কারের দাম হবে ১৫ লাখ এবং ২০০০ সিসির সমমানের ঘণ্টায় ৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী প্রতিটি এসইউভির দাম হবে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকা। ২৫-২৬ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে ১২ সিটের ঘণ্টায় ৭৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারে সক্ষম মাইক্রোবাস। এ ছাড়া ঘণ্টায় ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতে চলবে—এমন কাভার্ড ভ্যান ও সর্বোচ্চ ২ টন ধারণক্ষমতার মিনি ট্রাক পাওয়া যাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকায়। গ্রামগঞ্জের মধ্যবিত্তের জন্য ঘণ্টায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপযোগী প্রোভক্স বা সাক্সিড আকৃতির ছোট কারের ৫ সিটের (ক্রসওভার বা হ্যাচব্যাক) দাম রাখা হবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সুদমুক্ত কিস্তির ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ মুহূর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে কোনো বাধা নেই। নবায়নে প্রতিবছর ট্যাক্স নেওয়ার নীতিমালাও হয়েছে। গাড়িতে চার্জ দেওয়ার কিলোওয়াটপ্রতি দরও ঠিক করা হয়েছে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে। এ-সংক্রান্ত চারটি নীতিমালা ইভি অটোমোবাইল পলিসি, ইভি রেজিস্ট্রেশন পলিসি, ইভি টেক্সজেশন পলিসি এবং ইভি চার্জিং পলিসি আলাপ-আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা-বিশ্লেষণ শেষে এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ফলে এ মুহূর্তেও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির আনলে তা রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা নেই।
ইভি জ্বালানিসাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব: সালফারযুক্ত জ্বালানি তেলের ব্যবহার না থাকায় ইভি হবে পরিবেশবান্ধব। একই সঙ্গে পেট্রোলিয়াম কিংবা গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে গাড়ি চালানোর খরচও কমে আসবে। উদ্যোক্তারা হিসাব করে দেখিয়েছেন, প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতে এই গাড়ি যাবে এক কিলোমিটার পথ। সেই হিসাবে প্রতি ১০০ কিলোমিটার যাতায়াতে এই গাড়ির জন্য লাগবে শখানেক টাকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের গাড়িতে এই খরচ হতো প্রায় হাজার টাকা।
কারখানা পরিস্থিতি: মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরে সরেজমিন দেখা গেছে, ৪ নম্বর জোনের ১ থেকে ৪ নম্বর প্লটে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইভি তৈরির কারখানা তিনটির সিভিল ওয়ার্ক শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সাল থেকেই কারখানা তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। এখন ওপরে স্টিলের কাঠামো এবং শেড তৈরি করে যন্ত্রপাতি বসালেই কারখানা তিনটি উৎপাদনের উপযোগী হবে। জেনারেল ম্যানেজার হাসিবুল হাসান বলেন, মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির মূল অনুষঙ্গ লিথিয়াম ব্যাটারির প্যাক তৈরির কারখানা—বাংলাদেশ লিথিয়াম ব্যাটারি লিমিটেড। এর কারিগরি অংশীদার হংকংয়ের জিয়াংসু রুইহং লিথিয়াম কোম্পানি লিমিটেড। পাশাপাশি ইস্পাতের পাতকে গাড়ির আকার দেওয়া, মোটর, কন্ট্রোলার, চার্জার তৈরি ও স্থাপনের কারখানা মোটর টেকনোলজি লিমিটেডে কাজ চলবে চীনের উহান সায়ান পাওয়ার টেকনোলজি কোম্পানির কারিগরি সহায়তায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে