সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশযাত্রা ঠেকানোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি গতকাল সোমবার ইমিগ্রেশন পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকসিমের নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি সপরিবার দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধানকাজ শেষ করার জন্য তাঁর বিদেশযাত্রা ঠেকানো প্রয়োজন।
নির্দেশনা পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের নির্দেশনা প্রথমে পুলিশের বিশেষ শাখায় যায়। তারপর সেখান থেকে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে বিদেশযাত্রার বিষয়টি রহিত করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইমিগ্রেশনে এলে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্ধারিত পাসপোর্ট এন্ট্রি বন্ধ করে দেয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর একাধারে সাতবার তাঁকে একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বিদেশে বাড়ি থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও নানামুখী চাপের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছিল না কমিশন। অবশেষে তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। শিগগির তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তাকসিম এ খানের নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তাকসিমের সবগুলো নিয়োগপত্র, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, চাকরির সময়কাল, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির কাগজ, মেয়াদ বৃদ্ধিসংক্রান্ত নীতিমালা ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে তদন্ত প্রতিবেদন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, তাঁর সময়ে ডিএমডি পদে নিয়োগসংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র এবং পদোন্নতিসংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্রের ফটোকপি ২৮ আগস্টের মধ্যে চাহিত যাবতীয় নথি দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।’
তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। যদি পাঠিয়ে থাকে, হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে পাব। তবে আজ পর্যন্ত কোনো চিঠি আমাদের কাছে আসেনি।’
ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট। সরকার পতনের পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরপ্রধানের পদ থেকে একে একে পদত্যাগের ঘটনার মধ্যে ১৫ আগস্ট তাকসিমের চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ওই বছরই ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। নিয়োগের পর থেকেই বিতর্কিত হন নানা কর্মকাণ্ডে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়াসায় নিয়োগ-বাণিজ্য, গুলশান-বারিধারা লেক দূষণ রোধ প্রকল্পে অনিয়ম, ওয়াসার পদ্মা জলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, গন্ধবপুর পানি শোধনাগার ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। একই সময়ে তাঁর অফিসে অভিযান চালায় সংস্থাটি।
ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিদেশযাত্রা ঠেকানোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি গতকাল সোমবার ইমিগ্রেশন পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকসিমের নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি সপরিবার দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধানকাজ শেষ করার জন্য তাঁর বিদেশযাত্রা ঠেকানো প্রয়োজন।
নির্দেশনা পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের নির্দেশনা প্রথমে পুলিশের বিশেষ শাখায় যায়। তারপর সেখান থেকে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে বিদেশযাত্রার বিষয়টি রহিত করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইমিগ্রেশনে এলে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্ধারিত পাসপোর্ট এন্ট্রি বন্ধ করে দেয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর একাধারে সাতবার তাঁকে একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বিদেশে বাড়ি থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও নানামুখী চাপের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছিল না কমিশন। অবশেষে তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। শিগগির তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তাকসিম এ খানের নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তাকসিমের সবগুলো নিয়োগপত্র, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, চাকরির সময়কাল, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির কাগজ, মেয়াদ বৃদ্ধিসংক্রান্ত নীতিমালা ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে তদন্ত প্রতিবেদন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, তাঁর সময়ে ডিএমডি পদে নিয়োগসংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র এবং পদোন্নতিসংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্রের ফটোকপি ২৮ আগস্টের মধ্যে চাহিত যাবতীয় নথি দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।’
তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। যদি পাঠিয়ে থাকে, হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে পাব। তবে আজ পর্যন্ত কোনো চিঠি আমাদের কাছে আসেনি।’
ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট। সরকার পতনের পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরপ্রধানের পদ থেকে একে একে পদত্যাগের ঘটনার মধ্যে ১৫ আগস্ট তাকসিমের চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ওই বছরই ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। নিয়োগের পর থেকেই বিতর্কিত হন নানা কর্মকাণ্ডে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়াসায় নিয়োগ-বাণিজ্য, গুলশান-বারিধারা লেক দূষণ রোধ প্রকল্পে অনিয়ম, ওয়াসার পদ্মা জলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, গন্ধবপুর পানি শোধনাগার ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। একই সময়ে তাঁর অফিসে অভিযান চালায় সংস্থাটি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে