রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
আব্দুস সালাম (৬২) সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে মাথা ফেটে আহত হন। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় রেলওয়ে হাসপাতালে। এ রকম দুর্ঘটনায় আহত তিনি একা নন। তাঁর মতো আরও অনেকেই প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে কিংবা উঠতে গিয়ে আহত হন। স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হলেও এটি এখন যাত্রী ভোগান্তির কারণ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিয়মনীতি না মেনে আধুনিকায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি। সরু ও উঁচু প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যাত্রী পারাপার সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়ি। প্ল্যাটফর্মটি যেন একটি মরণফাঁদ। বিশেষ করে রাতে অন্ধকারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূল প্ল্যাটফর্মে উঠতে ও নামতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে আধুনিকায়নের কাজ করাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক করতে প্ল্যাটফর্মের নকশা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ের পূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি যাত্রীবান্ধব নয়। সঠিক পরিকল্পনায় এটি নির্মাণ হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, ওই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে স্টেশনের পূর্ব দিকে কিছু সিঁড়ি স্থাপনের। এ ছাড়া যাত্রী পারাপার সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়ি স্থাপন করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, ভৌগোলিক কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চিলাহাটি রেলপথের ছয়টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এ উপজেলা ছাড়াও রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার যাত্রীরা এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। ২০২১ সালে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্ল্যাটফর্মগুলো উঁচুকরণ, সীমানাবেষ্টনী নির্মাণ, বিজলি বাতি স্থাপন, প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ, লুপ লাইন ও মেইন লাইনের মধ্যে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি। লাইনের মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় মাত্র সাড়ে চার ফুট চওড়া ও সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার ওই প্ল্যাটফর্মটি নির্মাণ করা হয়, এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২২৫ ফুট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনটির দুটি প্ল্যাটফর্ম। একটি মূল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত অন্যটি মূল স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন। অত্যন্ত উঁচু ও সরু প্ল্যাটফর্ম দিয়ে চলাচলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন থেকে যাত্রীরা ওঠানামা করছে। পাশাপাশি দুজন চলাচলের জায়গাটুকু নেই। ট্রেন এলে আতঙ্কিত হয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা। ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা কীভাবে মূল টার্মিনালের দিকে যাবে, তা নিয়েও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের বিড়ম্বনা অনেক বেশি। তাঁদের দীর্ঘ পথ হেঁটে মূল প্ল্যাটফর্মে উঠতে হচ্ছে। অনেকেই আবার ঝুঁকি নিয়েই প্রায় চার ফুট নিচে অন্যের হাত ধরে নামছেন-উঠছেন।
দুলাল হোসেন নামের এক শিক্ষক দম্পতি দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। স্বামী-স্ত্রী ছোট দুই ছেলেমেয়ে ও দুটি লাগেজ নিয়ে ট্রেন থেকে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মে সহজে নামলেও মূল প্ল্যাটফর্মে যেতে পারছিলেন না।
দুলাল হোসেন বলেন, এত ভিড়ে উভয় পাশে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ভয়ে রয়েছে। কারও গায়ের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগলেই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে স্থাপন করতে হবে সংযোগসিঁড়ি। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়বে ট্রেনের যাত্রীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মচারী বলেন, পুরো স্টেশনের নকশা ত্রুটিপূর্ণ। প্ল্যাটফর্ম নিয়মতান্ত্রিকভাবে গড়ে ওঠেনি। সরু ওই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যাত্রী পারাপারের সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়িও দেওয়া হয়নি। অবশ্য তা দেওয়াও সম্ভব নয়।
রেল কর্মচারী আরও বলেন, নকশা পরিবর্তন করে প্ল্যাটফর্মটি প্রশস্ত করা উচিত এবং এর সঙ্গে সিঁড়ি দেওয়াটাও প্রয়োজন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্টেশনটি অত্যন্ত ব্যস্ততম। সব দিক বিবেচনায় দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি যাতায়াতে উপযোগী করা উচিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আব্দুস সালাম (৬২) সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে মাথা ফেটে আহত হন। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় রেলওয়ে হাসপাতালে। এ রকম দুর্ঘটনায় আহত তিনি একা নন। তাঁর মতো আরও অনেকেই প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে কিংবা উঠতে গিয়ে আহত হন। স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হলেও এটি এখন যাত্রী ভোগান্তির কারণ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিয়মনীতি না মেনে আধুনিকায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি। সরু ও উঁচু প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যাত্রী পারাপার সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়ি। প্ল্যাটফর্মটি যেন একটি মরণফাঁদ। বিশেষ করে রাতে অন্ধকারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূল প্ল্যাটফর্মে উঠতে ও নামতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে আধুনিকায়নের কাজ করাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক করতে প্ল্যাটফর্মের নকশা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ের পূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি যাত্রীবান্ধব নয়। সঠিক পরিকল্পনায় এটি নির্মাণ হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, ওই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে স্টেশনের পূর্ব দিকে কিছু সিঁড়ি স্থাপনের। এ ছাড়া যাত্রী পারাপার সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়ি স্থাপন করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, ভৌগোলিক কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চিলাহাটি রেলপথের ছয়টি আন্তনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এ উপজেলা ছাড়াও রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার যাত্রীরা এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। ২০২১ সালে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্ল্যাটফর্মগুলো উঁচুকরণ, সীমানাবেষ্টনী নির্মাণ, বিজলি বাতি স্থাপন, প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ, লুপ লাইন ও মেইন লাইনের মধ্যে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি। লাইনের মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় মাত্র সাড়ে চার ফুট চওড়া ও সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার ওই প্ল্যাটফর্মটি নির্মাণ করা হয়, এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২২৫ ফুট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনটির দুটি প্ল্যাটফর্ম। একটি মূল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত অন্যটি মূল স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন। অত্যন্ত উঁচু ও সরু প্ল্যাটফর্ম দিয়ে চলাচলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন থেকে যাত্রীরা ওঠানামা করছে। পাশাপাশি দুজন চলাচলের জায়গাটুকু নেই। ট্রেন এলে আতঙ্কিত হয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা। ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা কীভাবে মূল টার্মিনালের দিকে যাবে, তা নিয়েও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের বিড়ম্বনা অনেক বেশি। তাঁদের দীর্ঘ পথ হেঁটে মূল প্ল্যাটফর্মে উঠতে হচ্ছে। অনেকেই আবার ঝুঁকি নিয়েই প্রায় চার ফুট নিচে অন্যের হাত ধরে নামছেন-উঠছেন।
দুলাল হোসেন নামের এক শিক্ষক দম্পতি দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। স্বামী-স্ত্রী ছোট দুই ছেলেমেয়ে ও দুটি লাগেজ নিয়ে ট্রেন থেকে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মে সহজে নামলেও মূল প্ল্যাটফর্মে যেতে পারছিলেন না।
দুলাল হোসেন বলেন, এত ভিড়ে উভয় পাশে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ভয়ে রয়েছে। কারও গায়ের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগলেই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে স্থাপন করতে হবে সংযোগসিঁড়ি। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়বে ট্রেনের যাত্রীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মচারী বলেন, পুরো স্টেশনের নকশা ত্রুটিপূর্ণ। প্ল্যাটফর্ম নিয়মতান্ত্রিকভাবে গড়ে ওঠেনি। সরু ওই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যাত্রী পারাপারের সেতুর সঙ্গে সংযোগসিঁড়িও দেওয়া হয়নি। অবশ্য তা দেওয়াও সম্ভব নয়।
রেল কর্মচারী আরও বলেন, নকশা পরিবর্তন করে প্ল্যাটফর্মটি প্রশস্ত করা উচিত এবং এর সঙ্গে সিঁড়ি দেওয়াটাও প্রয়োজন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্টেশনটি অত্যন্ত ব্যস্ততম। সব দিক বিবেচনায় দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মটি যাতায়াতে উপযোগী করা উচিত। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে