সৌগত বসু, সাইফুল মাসুম ও শেখ আবু হাসান, খুলনা থেকে
চলমান পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নেই বিএনপি। বড় দলটি না থাকায় ভোটের আমেজ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু যেখানে যেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল বা বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন, সেখানে ভোটের উত্তেজনা কিছুটা দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে অন্য সিটিতে ভোট নিয়ে মানুষের আগ্রহও যেন কম।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এটিকেই পুঁজি করতে চাইছে বিএনপি। দলটি চাইছে, মানুষ ভোট দিতে না যাক, যাতে প্রমাণিত হয়, মানুষ এই ভোটের সঙ্গে নেই। তাই তারা কর্মী-সমর্থক আর ভোটারদের বোঝাচ্ছে, তাঁরা যেন ভোট দিতে না যান। এ জন্য গোপন মনিটরিং সেলও গঠন করে দলটি। আর নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে ইতিমধ্যে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। দলটি থেকে প্রতি ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। এ ছাড়া নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের বেশির ভাগ প্রচারের কেন্দ্রে রয়েছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ।
না থেকেও আছে বিএনপি
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি ভোটারদেরকে বিশেষ করে যাঁরা বিএনপির ভোটার, তাঁদের ভোটদানে বিরত রাখতে চায়। এটা নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নজরদারির জন্য ৩১টি ওয়ার্ডে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে গোপনে। প্রতিটি সেলে সদস্যসংখ্যা ২১। তাঁদের কাজ ভোটের দিন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীদের ওপর নজর রাখা, তাঁরা ভোট দিতে গেলেন কি না। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রতিবেদন দেবে সেল। সেই অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা ভোট প্রতিহত করবেন না। তবে ভোট না দেওয়ার কথা বলবেন।
মানুষ ভাঁওতাবাজি শুনবে না: আ.লীগ
কেসিসিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খালিদ হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল বা অংশীজনেরা অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলার আশ্রয় নিতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর আছে। ১৪ দলের নেতা-কর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিতে ভোটারদের উৎসাহিত করবেন।
আর নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বিএনপির এই ভাঁওতাবাজি শুনবে না। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হচ্ছে।’
চিন্তিত নয় অন্যরা
বিএনপির মনিটরিং সেল নিয়ে চিন্তিত নয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো। তাদের ভাষ্য, এমন সেল গঠন করে সাধারণ মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে দূরে রাখা যাবে না।
জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যেটা করেছে, তাতে ভোটারদের বিরত রাখা সম্ভব নয়। তবে ভোটার উপস্থিতি যদি কম হয়, তার বড় কারণ হবে তাদের আগের নির্বাচনগুলোতে বড় ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে ধারণা তাঁর।
তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আওয়াল মনে করেন, ভোট পড়বে ৬০ শতাংশ। হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। এতে দলের নেতা বা কর্মীরা হয়তো ভোটদানে বিরত থাকবেন। তবে সাধারণ ভোটার ভোট দিতে আসবেন।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এমন মনিটরিং সেল গঠন অনভিপ্রেত। তবে যদি দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য করা হয়ে থাকে, তাহলে ঠিক আছে।
চলমান পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নেই বিএনপি। বড় দলটি না থাকায় ভোটের আমেজ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু যেখানে যেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল বা বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন, সেখানে ভোটের উত্তেজনা কিছুটা দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে অন্য সিটিতে ভোট নিয়ে মানুষের আগ্রহও যেন কম।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এটিকেই পুঁজি করতে চাইছে বিএনপি। দলটি চাইছে, মানুষ ভোট দিতে না যাক, যাতে প্রমাণিত হয়, মানুষ এই ভোটের সঙ্গে নেই। তাই তারা কর্মী-সমর্থক আর ভোটারদের বোঝাচ্ছে, তাঁরা যেন ভোট দিতে না যান। এ জন্য গোপন মনিটরিং সেলও গঠন করে দলটি। আর নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে ইতিমধ্যে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। দলটি থেকে প্রতি ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ জন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। এ ছাড়া নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের বেশির ভাগ প্রচারের কেন্দ্রে রয়েছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ।
না থেকেও আছে বিএনপি
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি ভোটারদেরকে বিশেষ করে যাঁরা বিএনপির ভোটার, তাঁদের ভোটদানে বিরত রাখতে চায়। এটা নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নজরদারির জন্য ৩১টি ওয়ার্ডে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে গোপনে। প্রতিটি সেলে সদস্যসংখ্যা ২১। তাঁদের কাজ ভোটের দিন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীদের ওপর নজর রাখা, তাঁরা ভোট দিতে গেলেন কি না। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রতিবেদন দেবে সেল। সেই অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা ভোট প্রতিহত করবেন না। তবে ভোট না দেওয়ার কথা বলবেন।
মানুষ ভাঁওতাবাজি শুনবে না: আ.লীগ
কেসিসিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খালিদ হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল বা অংশীজনেরা অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলার আশ্রয় নিতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর আছে। ১৪ দলের নেতা-কর্মীরাও নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিতে ভোটারদের উৎসাহিত করবেন।
আর নৌকার মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বিএনপির এই ভাঁওতাবাজি শুনবে না। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হচ্ছে।’
চিন্তিত নয় অন্যরা
বিএনপির মনিটরিং সেল নিয়ে চিন্তিত নয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো। তাদের ভাষ্য, এমন সেল গঠন করে সাধারণ মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে দূরে রাখা যাবে না।
জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যেটা করেছে, তাতে ভোটারদের বিরত রাখা সম্ভব নয়। তবে ভোটার উপস্থিতি যদি কম হয়, তার বড় কারণ হবে তাদের আগের নির্বাচনগুলোতে বড় ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা। নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে ধারণা তাঁর।
তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আওয়াল মনে করেন, ভোট পড়বে ৬০ শতাংশ। হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। এতে দলের নেতা বা কর্মীরা হয়তো ভোটদানে বিরত থাকবেন। তবে সাধারণ ভোটার ভোট দিতে আসবেন।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এমন মনিটরিং সেল গঠন অনভিপ্রেত। তবে যদি দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য করা হয়ে থাকে, তাহলে ঠিক আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে