লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে মান্দারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দের একটি ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নির্ধারিত স্থানে ভবন না করে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ করছে এমন অভিযোগ তাঁদের। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, একটি চক্র সুবিধা না পাওয়ায় ভবন নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। এই জায়গায় ভবন নির্মাণ হলে ক্ষতি হবে না খেলার মাঠের। এদিকে খেলার মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার কারণে বন্ধ রয়েছে নির্মাণকাজ। দ্রুত কাজ শুরু না হলে পাঠদানে সমস্যায় পড়তে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে খেলার মাঠের পশ্চিম পাশে একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ভবনটির জন্য। যেখানে নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার কথা, সেখানে না করে ঠিকাদার স্কুল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মাঠের পশ্চিম পাশে ভবন নির্মাণ করা শুরু করে। এরপর মান্দারী ইউপি চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে তোলেন নানা অভিযোগ। ইতিমধ্যে মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন বেশ কয়েকটি ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে খেলার মাঠ নষ্ট করে ভবন নির্মাণ করছেন। যা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। এই মাঠে আন্তজেলা ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে খেলার মাঠ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ নষ্ট ও খেলাধুলার পরিবেশ থাকবে না। তাই যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ এসেছে, সেই জায়গায় ভবন নির্মাণের দাবি করেন তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
এদিকে একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মান্দারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম ও বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তাঁদের দুজনের নোংরামি বন্ধ না হলে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা মারাত্মক সমস্যায় পড়বে। এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান রুবেল পাটওয়ারীর ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। এখানে অন্য কোন বিষয় রয়েছে বলেও জানান তাঁরা। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করার দাবি করেন অভিভাবকেরা।
তবে মান্দারী ইউপির চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারী জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাঁরা না বুঝে করছেন। যেখানে ভবন করার কথা, সেখানে না করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠ নষ্ট করে ভবন নির্মাণকাজ করছে। কোনোভাবে খেলার মাঠ নষ্ট হতে দেব না। ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহিম বলেন, একটি চক্র সুবিধা নিতে না পেরে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জানানো হয়েছে। এই জায়গায় ভবন নির্মাণ হলে ক্ষতি হবে না খেলার মাঠ। বরং আরও ভালো হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিত বিশ্বাস জানান, কি কারণে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেটা তার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় যেন বিঘ্নিত না হয় এবং খেলার মাঠের পরিবেশ ঠিক রেখে ভবন নির্মাণ করার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি মাঠ নিয়ে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে মান্দারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দের একটি ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নির্ধারিত স্থানে ভবন না করে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ করছে এমন অভিযোগ তাঁদের। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, একটি চক্র সুবিধা না পাওয়ায় ভবন নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। এই জায়গায় ভবন নির্মাণ হলে ক্ষতি হবে না খেলার মাঠের। এদিকে খেলার মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার কারণে বন্ধ রয়েছে নির্মাণকাজ। দ্রুত কাজ শুরু না হলে পাঠদানে সমস্যায় পড়তে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে খেলার মাঠের পশ্চিম পাশে একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ভবনটির জন্য। যেখানে নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার কথা, সেখানে না করে ঠিকাদার স্কুল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মাঠের পশ্চিম পাশে ভবন নির্মাণ করা শুরু করে। এরপর মান্দারী ইউপি চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে তোলেন নানা অভিযোগ। ইতিমধ্যে মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন বেশ কয়েকটি ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে খেলার মাঠ নষ্ট করে ভবন নির্মাণ করছেন। যা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। এই মাঠে আন্তজেলা ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে খেলার মাঠ ধ্বংস করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ নষ্ট ও খেলাধুলার পরিবেশ থাকবে না। তাই যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ এসেছে, সেই জায়গায় ভবন নির্মাণের দাবি করেন তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
এদিকে একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মান্দারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম ও বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তাঁদের দুজনের নোংরামি বন্ধ না হলে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা মারাত্মক সমস্যায় পড়বে। এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান রুবেল পাটওয়ারীর ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। এখানে অন্য কোন বিষয় রয়েছে বলেও জানান তাঁরা। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করার দাবি করেন অভিভাবকেরা।
তবে মান্দারী ইউপির চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারী জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাঁরা না বুঝে করছেন। যেখানে ভবন করার কথা, সেখানে না করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠ নষ্ট করে ভবন নির্মাণকাজ করছে। কোনোভাবে খেলার মাঠ নষ্ট হতে দেব না। ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহিম বলেন, একটি চক্র সুবিধা নিতে না পেরে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জানানো হয়েছে। এই জায়গায় ভবন নির্মাণ হলে ক্ষতি হবে না খেলার মাঠ। বরং আরও ভালো হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিত বিশ্বাস জানান, কি কারণে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেটা তার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় যেন বিঘ্নিত না হয় এবং খেলার মাঠের পরিবেশ ঠিক রেখে ভবন নির্মাণ করার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি মাঠ নিয়ে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে