আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পাওনা টাকা দিতে পারছে না চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ফলে রাজশাহী অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত তিন চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ৮১৮ কর্মী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের গ্র্যাচুইটির (আনুতোষিক) প্রায় ৮৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এই টাকার দাবিতে তাঁরা গতকাল শনিবার রাজশাহীও নাটোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজশাহী চিনিকল থেকে ২৩৩ জনের ২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা একেকজন ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কিন্তু তাঁদের আয়ের অন্য কোনো পথ না থাকায় এই টাকায় সংসার চলছে না। তাঁরা একসঙ্গে পুরো পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
এ দাবিতে ‘অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি’র ব্যানারে গত শুক্রবার বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। গতকাল সকালে পবা উপজেলার হরিয়ানে চিনিকলের সামনে তাঁরা এই বিক্ষোভ করেন। আজ রোববার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের এই চিনিকল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তিনি এলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা পাওনা পরিশোধের দাবি জানাবেন। এ জন্য সংঘবদ্ধ হতে আগের দিন চিনিকলের সামনে এই বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চিনিকলের টারবাইন অপারেটর ছিলেন আবদুস শুকুর। তিনি জানান, গ্র্যাচুইটির টাকা না পাওয়ায় তিনি অবসর নেওয়ার পর মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ মুহূর্তে গ্র্যাচুইটির টাকা পেলে তাঁর উপকার হবে। কিন্তু টাকা কবে পরিশোধ করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
ট্রান্সপোর্ট চালক হিসেবে অবসর নেওয়া ইসলাম আলী বলেন, ২০১৫ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যেসব কর্মচারী, শ্রমিক ও কর্মকর্তারা অবসর নিয়েছেন, তাঁরা কেউ গ্র্যাচুইটির পুরো টাকা পাননি। মাঝেমধ্যে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এই টাকায় সংসার চলে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাচ্ছেন।
অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ এস এম মুতিউল্লাহ বলেন, ‘সর্বশেষ ঈদুল আজহার সময় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে টাকা দিলে ছয়-সাত লাখ টাকা পেতে কত বছর লাগবে? অনেকের জীবন শেষ হয়ে যাবে, মৃত্যুর আগে তাঁর টাকা দেখে যেতে পারবেন না।’
জানতে চাইলে রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাসার বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের এই সংকটের কথা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানেন। তহবিলে টাকা না থাকায় দেওয়া যাচ্ছে না। করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাজশাহী আসছেন, কীভাবে এর সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এদিকে নাটোর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ৩৮৫ জন কর্মকর্তা-শ্রমিক-কর্মচারী পেনশন ও গ্র্যাচুইটির বকেয়া ৪৯ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গতকাল সকালে চিনিকল গেটে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ফিরোজ আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলুসহ সাধারণ শ্রমিকেরা। এ সময় বক্তারা আগামী অক্টোবরের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ শতভাগ গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ এবং সরকারনির্দেশিত বিভিন্ন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু বলেন, ২০১৪ সালে মিল থেকে অবসর নেওয়ার আট বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিক-কর্মচারীরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন না। তাই অবিলম্বে তা পরিশোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে নাটোরের লালপুরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাওনা টাকার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের (নবেসুমি) অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল মিলের ২ নম্বর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। পরে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব বলেন, এই মিলের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ জন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পাওনা টাকা দিতে পারছে না চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ফলে রাজশাহী অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত তিন চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ৮১৮ কর্মী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁদের গ্র্যাচুইটির (আনুতোষিক) প্রায় ৮৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এই টাকার দাবিতে তাঁরা গতকাল শনিবার রাজশাহীও নাটোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজশাহী চিনিকল থেকে ২৩৩ জনের ২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা একেকজন ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কিন্তু তাঁদের আয়ের অন্য কোনো পথ না থাকায় এই টাকায় সংসার চলছে না। তাঁরা একসঙ্গে পুরো পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
এ দাবিতে ‘অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি’র ব্যানারে গত শুক্রবার বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। গতকাল সকালে পবা উপজেলার হরিয়ানে চিনিকলের সামনে তাঁরা এই বিক্ষোভ করেন। আজ রোববার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের এই চিনিকল পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তিনি এলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা পাওনা পরিশোধের দাবি জানাবেন। এ জন্য সংঘবদ্ধ হতে আগের দিন চিনিকলের সামনে এই বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চিনিকলের টারবাইন অপারেটর ছিলেন আবদুস শুকুর। তিনি জানান, গ্র্যাচুইটির টাকা না পাওয়ায় তিনি অবসর নেওয়ার পর মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ মুহূর্তে গ্র্যাচুইটির টাকা পেলে তাঁর উপকার হবে। কিন্তু টাকা কবে পরিশোধ করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
ট্রান্সপোর্ট চালক হিসেবে অবসর নেওয়া ইসলাম আলী বলেন, ২০১৫ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যেসব কর্মচারী, শ্রমিক ও কর্মকর্তারা অবসর নিয়েছেন, তাঁরা কেউ গ্র্যাচুইটির পুরো টাকা পাননি। মাঝেমধ্যে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এই টাকায় সংসার চলে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাচ্ছেন।
অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ এস এম মুতিউল্লাহ বলেন, ‘সর্বশেষ ঈদুল আজহার সময় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে টাকা দিলে ছয়-সাত লাখ টাকা পেতে কত বছর লাগবে? অনেকের জীবন শেষ হয়ে যাবে, মৃত্যুর আগে তাঁর টাকা দেখে যেতে পারবেন না।’
জানতে চাইলে রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাসার বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের এই সংকটের কথা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানেন। তহবিলে টাকা না থাকায় দেওয়া যাচ্ছে না। করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাজশাহী আসছেন, কীভাবে এর সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এদিকে নাটোর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ৩৮৫ জন কর্মকর্তা-শ্রমিক-কর্মচারী পেনশন ও গ্র্যাচুইটির বকেয়া ৪৯ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গতকাল সকালে চিনিকল গেটে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ফিরোজ আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলুসহ সাধারণ শ্রমিকেরা। এ সময় বক্তারা আগামী অক্টোবরের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ শতভাগ গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ এবং সরকারনির্দেশিত বিভিন্ন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান ভুলু বলেন, ২০১৪ সালে মিল থেকে অবসর নেওয়ার আট বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিক-কর্মচারীরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন না। তাই অবিলম্বে তা পরিশোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে নাটোরের লালপুরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাওনা টাকার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের (নবেসুমি) অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল মিলের ২ নম্বর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। পরে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব বলেন, এই মিলের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ জন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে