সম্পাদকীয়
আমাদের দেশের সর্বত্র যে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে, তারই উদাহরণ হলো বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। এর আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা এবং শিক্ষক নিয়োগসহ নানা পদের সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় কোচিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ছাত্রসংগঠনের নেতাসহ নানা পেশার লোকজন যুক্ত ছিলেন। এবার স্বয়ং সরকারি চাকরির নিয়োগে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘পিএসসির ভেতরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। চক্রটির অন্যতম সদস্য হলেন পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা সরবরাহ করেন প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে। এ চক্র এবারই প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁস করেনি, এর আগেও তারা পিএসসির আওতায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষা এবং ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। আর এসব অপকর্ম করে তারা বিপুল সম্পদের মালিকও হয়েছে।
পিএসসির মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হন, তখন আস্থার আর জায়গা থাকে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ্য লোক নিয়োগ না পেলে, এর প্রভাব রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে পড়বে। ভালোভাবে কাজ হবে না। কারণ অযোগ্য লোক তো সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। এতে রাষ্ট্র তথা জনগণেরই ক্ষতি হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে মেধাহীনেরা সরকারি চাকরি পেলে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে মেধাবীরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে মেধাচর্চার বিকাশ হবে না। ভবিষ্যতে মেধাবী নাগরিক তৈরি না হলে দেশ ক্রমাগত পিছিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অপরাধ, দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে, তার অন্যতম কারণ হলো ভোগবাদী প্রবণতা। এসব ঘটনা রাষ্ট্রের অবক্ষয়েরও নির্দেশক। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা একদিকে যেমন জাতির মেধাবী সন্তানদের বঞ্চিত করছে, অন্যদিকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
সমস্যা স্বীকার না করার একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যেই প্রবল। পিএসসির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পিএসসির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তাদের লজ্জিত করেনি। সরকারের এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের দায় এড়াতে পারে?
পিএসসির অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি আইনের মাধ্যমে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও অপরাধপ্রবণতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা রোধ করতে রাষ্ট্রকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমাদের দেশের সর্বত্র যে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে, তারই উদাহরণ হলো বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। এর আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা এবং শিক্ষক নিয়োগসহ নানা পদের সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় কোচিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ছাত্রসংগঠনের নেতাসহ নানা পেশার লোকজন যুক্ত ছিলেন। এবার স্বয়ং সরকারি চাকরির নিয়োগে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘পিএসসির ভেতরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। চক্রটির অন্যতম সদস্য হলেন পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা সরবরাহ করেন প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে। এ চক্র এবারই প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁস করেনি, এর আগেও তারা পিএসসির আওতায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষা এবং ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। আর এসব অপকর্ম করে তারা বিপুল সম্পদের মালিকও হয়েছে।
পিএসসির মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হন, তখন আস্থার আর জায়গা থাকে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ্য লোক নিয়োগ না পেলে, এর প্রভাব রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে পড়বে। ভালোভাবে কাজ হবে না। কারণ অযোগ্য লোক তো সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। এতে রাষ্ট্র তথা জনগণেরই ক্ষতি হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে মেধাহীনেরা সরকারি চাকরি পেলে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে মেধাবীরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে মেধাচর্চার বিকাশ হবে না। ভবিষ্যতে মেধাবী নাগরিক তৈরি না হলে দেশ ক্রমাগত পিছিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অপরাধ, দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে, তার অন্যতম কারণ হলো ভোগবাদী প্রবণতা। এসব ঘটনা রাষ্ট্রের অবক্ষয়েরও নির্দেশক। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা একদিকে যেমন জাতির মেধাবী সন্তানদের বঞ্চিত করছে, অন্যদিকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
সমস্যা স্বীকার না করার একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যেই প্রবল। পিএসসির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পিএসসির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তাদের লজ্জিত করেনি। সরকারের এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের দায় এড়াতে পারে?
পিএসসির অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যদি আইনের মাধ্যমে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও অপরাধপ্রবণতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা রোধ করতে রাষ্ট্রকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে