আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
ভোর থেকে বড় বড় কড়াইতে দুধ জ্বাল দেওয়া শুরু হয় বাজারের মিষ্টির দোকানগুলোয়। দুধের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজার এলাকায়। সকাল-বিকেলে এমন ঘ্রাণ পাওয়া যায় প্রতিদিন। ছোট্ট সে বাজারটিতে হাতে গোনা কয়েকটি মিষ্টির দোকান থেকে প্রতিদিন লাখ টাকার বেশি দই-মিষ্টি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। আবার সেখান থেকে মিষ্টির পাইকারেরা কিনে নিয়ে যান গরুর খাঁটি দুধ। গৈলা বাজার থেকে খাঁটি দুধ বা দুধ থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন দই, মাখন, ছানা, ঘোলও কিনে নিয়ে যায় অনেকেই।
দই, মিষ্টি ও দুগ্ধজাত খাবার তৈরির জন্য ছোট্ট কিন্তু বিখ্যাত এ বাজারটি আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে। নাম গৈলা। এ বাজারের পাশে যে গ্রাম, সেটির নামও গৈলা। মূলত গ্রামের নামেই বাজারের নাম। তবে এলাকার মানুষ গ্রামটিকে চেনে দুধ-মিষ্টির গ্রাম হিসেবে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার এই গ্রামটি খাঁটি দুধ, দই-মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ও বিশ্বস্ত। এখানকার দুধ ও মিষ্টি ব্যবসায়ীদের পণ্যের মান ও ব্যবসায়িক সততা কিংবদন্তির পর্যায়ে বলে শোনা যায়। ফলে নির্ভাবনায় খাওয়া যায় দুধ, মিষ্টি কিংবা দই।
গৈলা বাজারের মিষ্টির দোকানগুলোর বড় অংশ সরবরাহ করে নিকটস্থ গৈলা গ্রাম। গো–খাদ্য পর্যাপ্ত থাকায় গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার বাড়িতে গরু পালন করে। ফলে গরুর দুধের প্রাচুর্য আছে এখনো। জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী এ গ্রামে ধর্মীয় কিছু নির্দেশনা ও রেওয়াজের সূত্র ধরে দুধ বিক্রেতা পরিবারগুলো দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে না। সে জন্য গৈলা গ্রামের দুধ আশপাশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।
স্থানীয় সোহাগ সরদার জানান, নীতিগত কারণে এখানকার মিষ্টি ও দুধ ব্যবসায়ীরা তাঁদের জিনিসপত্রে খারাপ বা কৃত্রিম কোনো কিছু মেশান না। এর পেছনে ধর্মীয় কিছু নির্দেশনা ও রেওয়াজ প্রচলিত আছে অনেক আগে থেকেই। এখানে সতেজ খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। এই ব্যাপারটা এখন ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে অনেকেই দূর থেকে মিষ্টি ও দুধের তৈরি খাবার খেতে আসেন এখানে।
আলামিন হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এই গ্রামের দই-মিষ্টির সুনাম-সুখ্যাতি শুনছি অনেক দিন থেকে। কিন্তু খাওয়া হয়নি আগে। এখানকার মিষ্টি সত্যিই অসাধারণ সুস্বাদু। আর সবাই জানে, এখানে কোনো খারাপ খাবার খাওয়ানো হয় না। তাই মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার কারণে খাবার আরও ভালো লাগে।’
এমনই আরেকজন ক্রেতা মাসুদ রানা পথিমধ্যে এই বাজারের এক মিষ্টির দোকান থেকে ছানা-মাখন ও দই ক্রয় করে দারুণ খুশি।
গৈলা বাজারের ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রবীণ মিষ্টি ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র ঘোষ জানান, এ গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের খারাপ মিষ্টি খাইয়ে ব্যবসা করতে চাননি কখনো। ফলে তাঁরাও মিষ্টির গুণমান ঠিক রেখে ব্যবসা করছেন। এই বাজারের শ্রী দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডারের গোসাই দাস জানান, গৈলা গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীরাও তাঁদের কাছে পানি মেশানো দুধ আনেন না বিক্রির জন্য। সবাই সবার কাজ সততার সঙ্গে করেন বলে এখনো গৈলা বাজারে ভালো ও সুস্বাদু মিষ্টি তৈরি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন গোসাই দাস।
ভোর থেকে বড় বড় কড়াইতে দুধ জ্বাল দেওয়া শুরু হয় বাজারের মিষ্টির দোকানগুলোয়। দুধের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজার এলাকায়। সকাল-বিকেলে এমন ঘ্রাণ পাওয়া যায় প্রতিদিন। ছোট্ট সে বাজারটিতে হাতে গোনা কয়েকটি মিষ্টির দোকান থেকে প্রতিদিন লাখ টাকার বেশি দই-মিষ্টি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। আবার সেখান থেকে মিষ্টির পাইকারেরা কিনে নিয়ে যান গরুর খাঁটি দুধ। গৈলা বাজার থেকে খাঁটি দুধ বা দুধ থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন দই, মাখন, ছানা, ঘোলও কিনে নিয়ে যায় অনেকেই।
দই, মিষ্টি ও দুগ্ধজাত খাবার তৈরির জন্য ছোট্ট কিন্তু বিখ্যাত এ বাজারটি আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে। নাম গৈলা। এ বাজারের পাশে যে গ্রাম, সেটির নামও গৈলা। মূলত গ্রামের নামেই বাজারের নাম। তবে এলাকার মানুষ গ্রামটিকে চেনে দুধ-মিষ্টির গ্রাম হিসেবে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার এই গ্রামটি খাঁটি দুধ, দই-মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ও বিশ্বস্ত। এখানকার দুধ ও মিষ্টি ব্যবসায়ীদের পণ্যের মান ও ব্যবসায়িক সততা কিংবদন্তির পর্যায়ে বলে শোনা যায়। ফলে নির্ভাবনায় খাওয়া যায় দুধ, মিষ্টি কিংবা দই।
গৈলা বাজারের মিষ্টির দোকানগুলোর বড় অংশ সরবরাহ করে নিকটস্থ গৈলা গ্রাম। গো–খাদ্য পর্যাপ্ত থাকায় গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার বাড়িতে গরু পালন করে। ফলে গরুর দুধের প্রাচুর্য আছে এখনো। জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী এ গ্রামে ধর্মীয় কিছু নির্দেশনা ও রেওয়াজের সূত্র ধরে দুধ বিক্রেতা পরিবারগুলো দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে না। সে জন্য গৈলা গ্রামের দুধ আশপাশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।
স্থানীয় সোহাগ সরদার জানান, নীতিগত কারণে এখানকার মিষ্টি ও দুধ ব্যবসায়ীরা তাঁদের জিনিসপত্রে খারাপ বা কৃত্রিম কোনো কিছু মেশান না। এর পেছনে ধর্মীয় কিছু নির্দেশনা ও রেওয়াজ প্রচলিত আছে অনেক আগে থেকেই। এখানে সতেজ খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। এই ব্যাপারটা এখন ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে অনেকেই দূর থেকে মিষ্টি ও দুধের তৈরি খাবার খেতে আসেন এখানে।
আলামিন হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এই গ্রামের দই-মিষ্টির সুনাম-সুখ্যাতি শুনছি অনেক দিন থেকে। কিন্তু খাওয়া হয়নি আগে। এখানকার মিষ্টি সত্যিই অসাধারণ সুস্বাদু। আর সবাই জানে, এখানে কোনো খারাপ খাবার খাওয়ানো হয় না। তাই মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার কারণে খাবার আরও ভালো লাগে।’
এমনই আরেকজন ক্রেতা মাসুদ রানা পথিমধ্যে এই বাজারের এক মিষ্টির দোকান থেকে ছানা-মাখন ও দই ক্রয় করে দারুণ খুশি।
গৈলা বাজারের ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রবীণ মিষ্টি ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র ঘোষ জানান, এ গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের খারাপ মিষ্টি খাইয়ে ব্যবসা করতে চাননি কখনো। ফলে তাঁরাও মিষ্টির গুণমান ঠিক রেখে ব্যবসা করছেন। এই বাজারের শ্রী দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডারের গোসাই দাস জানান, গৈলা গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীরাও তাঁদের কাছে পানি মেশানো দুধ আনেন না বিক্রির জন্য। সবাই সবার কাজ সততার সঙ্গে করেন বলে এখনো গৈলা বাজারে ভালো ও সুস্বাদু মিষ্টি তৈরি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন গোসাই দাস।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে