শাকিলা ববি, সিলেট
একটা সময় গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাইয়ের পর খুলি ও শিং ঝুলিয়ে রাখা হতো বাড়ির সামনে। বয়োজ্যেষ্ঠরা বিশ্বাস করতেন, এগুলো বাড়ির সামনে রাখলে ভূত-প্রেত বাড়িতে প্রবেশ করে না। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। মানুষ এখন আর ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে না। তাই গ্রামের বাড়িতে এসব আর খুব একটা দেখা যায় না।
তবে এই উচ্ছিষ্টের (হাড় ও শিং) কদর এখন দেশ-বিদেশে। পশুর ফেলে দেওয়া হাড় থেকে নতুন একটি শিল্প খাত ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। যদিও সিলেটে খুব একটা জনপ্রিয় হতে পারেনি এই ব্যবসা।
ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. লায়েক আহমদ। সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইচক এলাকায় মেসার্স ফয়েজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। প্রায় ১০ বছর আগে ভাঙারি ব্যবসার সূত্রে ঢাকায় পশুর হাড় ও শিংয়ের ব্যবসার খোঁজ পান তিনি। এরপর সিলেটে ফিরে ভাঙারি ব্যবসার পাশাপাশি এই ব্যবসা শুরু করার উদ্যোগ নেন। যাঁরা তাঁর প্রতিষ্ঠানে ভাঙারি সামগ্রী বিক্রি করতেন তাঁদের পশুর হাড় সংগ্রহ করতে বলেন। সেখান থেকে শুরু তাঁর হাড়ের ব্যবসা।
মো. লায়েক আহমদ জানান, স্বল্প পরিসরে তিনি হাড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে সিলেট শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার কসাইদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন হাড় সংগ্রহের জন্য। এখন প্রতিদিন ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি পর্যন্ত হাড় সংগ্রহ করেন তিনি। তিনিসহ চারজন শ্রমিক এই হাড় প্রক্রিয়াজাত করেন।
মো. লায়েক আহমদ বলেন, ‘পশুর হাড় সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস কোরবানির ঈদ। এই ঈদই আমাদের ব্যবসার মৌসুম। তাই এবার ঈদেও অনেক পশুর হাড় সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারের কসাই, টোকাইদের কাছ থেকে সারা বছর হাড় সংগ্রহ করি। তাঁদের কাছ থেকে কেজি দরে হাড়গুলো কিনে প্রক্রিয়াজাত করি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘আমাদের দেশে জবাইয়ের পর পশুর হাড় খাল-বিল জলাশয় বা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেওয়ার প্রবণতা আছে। এই অবস্থায় এই সব পশু বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।’
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, পশুর হাড়, শিং, অণ্ডকোষ, মূত্রথলি ও চর্বি দিয়ে যে বহুমাত্রিক ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে সিলেটের মানুষ অজ্ঞ। এ বিষয়ে সেমিনার করা প্রয়োজন।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘এটা যদিও আমাদের অধিদপ্তরের কাজ না, তারপরও এই খাত যদি শিল্পের পর্যায়ে যায় তাহলে ভালো হবে। দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতি দুটোতেই ভালো প্রভাব ফেলবে এই ব্যবসা।’
একটা সময় গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাইয়ের পর খুলি ও শিং ঝুলিয়ে রাখা হতো বাড়ির সামনে। বয়োজ্যেষ্ঠরা বিশ্বাস করতেন, এগুলো বাড়ির সামনে রাখলে ভূত-প্রেত বাড়িতে প্রবেশ করে না। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। মানুষ এখন আর ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে না। তাই গ্রামের বাড়িতে এসব আর খুব একটা দেখা যায় না।
তবে এই উচ্ছিষ্টের (হাড় ও শিং) কদর এখন দেশ-বিদেশে। পশুর ফেলে দেওয়া হাড় থেকে নতুন একটি শিল্প খাত ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। যদিও সিলেটে খুব একটা জনপ্রিয় হতে পারেনি এই ব্যবসা।
ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. লায়েক আহমদ। সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইচক এলাকায় মেসার্স ফয়েজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। প্রায় ১০ বছর আগে ভাঙারি ব্যবসার সূত্রে ঢাকায় পশুর হাড় ও শিংয়ের ব্যবসার খোঁজ পান তিনি। এরপর সিলেটে ফিরে ভাঙারি ব্যবসার পাশাপাশি এই ব্যবসা শুরু করার উদ্যোগ নেন। যাঁরা তাঁর প্রতিষ্ঠানে ভাঙারি সামগ্রী বিক্রি করতেন তাঁদের পশুর হাড় সংগ্রহ করতে বলেন। সেখান থেকে শুরু তাঁর হাড়ের ব্যবসা।
মো. লায়েক আহমদ জানান, স্বল্প পরিসরে তিনি হাড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে সিলেট শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার কসাইদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন হাড় সংগ্রহের জন্য। এখন প্রতিদিন ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি পর্যন্ত হাড় সংগ্রহ করেন তিনি। তিনিসহ চারজন শ্রমিক এই হাড় প্রক্রিয়াজাত করেন।
মো. লায়েক আহমদ বলেন, ‘পশুর হাড় সংগ্রহের সবচেয়ে বড় উৎস কোরবানির ঈদ। এই ঈদই আমাদের ব্যবসার মৌসুম। তাই এবার ঈদেও অনেক পশুর হাড় সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারের কসাই, টোকাইদের কাছ থেকে সারা বছর হাড় সংগ্রহ করি। তাঁদের কাছ থেকে কেজি দরে হাড়গুলো কিনে প্রক্রিয়াজাত করি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘আমাদের দেশে জবাইয়ের পর পশুর হাড় খাল-বিল জলাশয় বা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেওয়ার প্রবণতা আছে। এই অবস্থায় এই সব পশু বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।’
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, পশুর হাড়, শিং, অণ্ডকোষ, মূত্রথলি ও চর্বি দিয়ে যে বহুমাত্রিক ব্যবহার করা যায় তা সম্পর্কে সিলেটের মানুষ অজ্ঞ। এ বিষয়ে সেমিনার করা প্রয়োজন।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘এটা যদিও আমাদের অধিদপ্তরের কাজ না, তারপরও এই খাত যদি শিল্পের পর্যায়ে যায় তাহলে ভালো হবে। দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতি দুটোতেই ভালো প্রভাব ফেলবে এই ব্যবসা।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে