অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা শুনছি অনেক আগে থেকে। প্রথমে ২০০১ সালের দিকে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালে দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। তারপর ২০০৬ সালের দিকে বলা হলো, ২০১৫ সাল থেকে দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকবে এবং ২০২০ সাল নাগাদ আর বাণিজ্যিক উত্তোলন সম্ভব হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সময়ে দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বেড়েছে।
গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে আবার বললেন গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে বলেছেন, দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসের প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। অবশিষ্ট আছে ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ। প্রতিদিন ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে উত্তোলন করলে আগামী ১০ দশমিক ৮ বছরে শেষ হবে এই গ্যাসের মজুত।
আসলে দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়া এমন এক গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার বোধ হয় শেষ নেই। সেই ২০ বছর আগে থেকে চলে এসেছে। এর আগে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পূর্বাভাসের সঙ্গে বলা হতো, ‘যদি আর কোনো নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার না হয়।’ কিন্তু এবার তেমন কিছু বলা হয়নি। অথচ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, বাংলাদেশের সব গ্যাস তো এখন পর্যন্ত আবিষ্কারই হয়নি। ফুরিয়ে যাবে কী করে!
এ কথা সত্য যে, নতুন আবিষ্কার না হলে অচিরেই গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু অব্যাহতভাবে নতুন আবিষ্কারের উদ্যোগ থাকলে আমাদের দেশের গ্যাস কবে ফুরাবে, তা বলার সময় এখনো অনেক দূরে। কেননা, এখানে নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারের অমিত সম্ভাবনা বিদ্যমান। একমাত্র ভোলা দ্বীপের কিয়দংশ ছাড়া আমাদের সুবিশাল বেঙ্গল বেসিনে এখন পর্যন্ত কোনো অনুসন্ধানই চালানো হয়নি। অথচ ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, বেঙ্গল বেসিন অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। সেখানে অনুসন্ধান চালানো হলে দেশের গ্যাস খাতের চিত্র আমূল পাল্টে যেতে পারে।
ভোলা ছাড়া আমাদের সবগুলো গ্যাসক্ষেত্রের আধার সুরমা বেসিনেও অনেক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অনুসন্ধানের বাইরে পড়ে আছে। এর মধ্যে ছাতক একটি ‘টিসিএফ ফিল্ড’ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস। জকিগঞ্জ আবিষ্কৃত ক্ষেত্র। কিন্তু গ্যাস তোলা হচ্ছে না। সুনেত্র, নতুন স্থান নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট গভীরতায় কূপ খনন করলে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
বিদ্যমান একাধিক ক্ষেত্রে গভীরতর কূপ খনন করলে (ডিপার জোন এক্সপ্লোরেশন, ৫ হাজার মিটার+) প্রচুর গ্যাস পাওয়া নিশ্চিত। সমুদ্রবক্ষের সম্ভাবনা ছাড়াই এতগুলো সম্ভাবনাময় বিকল্প আমাদের হাতে রয়েছে। অথচ আমরা কিনা হিসাব করছি গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ!
দেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চলসমূহে গ্যাসের অনুসন্ধান ও আহরণ বাড়ানোর কথা উঠলেই সরকারি মহলে একধরনের অনীহা কিংবা এসব সম্ভাবনা সম্পর্কে অনাস্থা লক্ষ করা যায়। এর কারণ, অনেকে বলেন, আমদানি উৎসাহিত করা। আমদানি উৎসাহিত করার কারণ কী, তা-ও অনেকে বলেন এবং মানুষ তা বিশ্বাস করে। দেশের সম্ভাবনায় যাদের অনাস্থা তাঁদের জন্য আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা যেতে পারে।
২০১৭ সালে গুস্তাভসন অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সরকার একটি সমীক্ষা করিয়েছিল। তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনে ৯২ শতাংশ সম্ভাবনায় ৩৪ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইউরোপের অপর একটি তেল-গ্যাস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান র্যাম্বলও বলেছে প্রায় একই রকম সম্ভাবনার কথা।
ফরাসি প্রতিষ্ঠান স্লামবার্জার বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে বলা হয়, বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোর পুরোনো কূপসমূহে কিছু সংস্কার কাজ করে সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো যায়।
অতি সম্প্রতি নরওয়েভিত্তিক বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি ইকুইনরের (সাবেক স্টেট অয়েল) সঙ্গে বাংলাদেশ মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি গবেষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর গবেষণা তহবিলের অর্থায়নে। এর ফলাফল হচ্ছে, উত্তোলন বন্ধ করে রাখা ৩০টি কূপে এখনো প্রচুর গ্যাস মজুত আছে, যা সেকেন্ডারি রিকভারি প্রযুক্তির মাধ্যমে তোলা সম্ভব। তাতে এই ৩০টি কূপ থেকে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন বা ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে গ্যাসের ঘাটতিও এই পরিমাণই।
এই যে সম্পদ, এর সঙ্গে বেঙ্গল বেসিন, সুরমা বেসিনের অনাবিষ্কৃত অঞ্চলসমূহ—এগুলো সবই কিন্তু আমাদের ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের বাইরের। তাহলে ১০-১২ বছরের মধ্যে গ্যাস ফুরাবে কেন এবং কীভাবে!
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এবং পেট্রোবাংলার যৌথ উদ্যোগে করা সমীক্ষা; নরওয়েজীয় পেট্রোলিয়াম ডিরেক্টরেট এবং হাইড্রোকার্বন ইউনিটের যৌথ সমীক্ষার কথাও উল্লেখযোগ্য। এসব সমীক্ষায় ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত এবং সমুদ্রবক্ষ ছাড়াই প্রচুর গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা অনুসন্ধান করিনি। অথচ অন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের তুলনায় গ্যাস অনুসন্ধান বেশি লাভজনক ও আর্থসামাজিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাস যথেষ্ট পরিমাণে আছে। অনুসন্ধানের জন্য টাকার সংস্থানও করা আছে ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’-এ। জনবল আংশিক আছে। বাকি জনবলের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা যায়। দরকার নীতিনির্ধারকদের সুনজর। এই অভাবটুকু ঘুচলে অচিরেই দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা এমন এক গল্পকথায় পরিণত হবে, প্রকৃত পক্ষেই যে গল্পের শেষ নেই।
দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা শুনছি অনেক আগে থেকে। প্রথমে ২০০১ সালের দিকে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালে দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। তারপর ২০০৬ সালের দিকে বলা হলো, ২০১৫ সাল থেকে দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকবে এবং ২০২০ সাল নাগাদ আর বাণিজ্যিক উত্তোলন সম্ভব হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সময়ে দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বেড়েছে।
গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে আবার বললেন গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে বলেছেন, দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসের প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। অবশিষ্ট আছে ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ। প্রতিদিন ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে উত্তোলন করলে আগামী ১০ দশমিক ৮ বছরে শেষ হবে এই গ্যাসের মজুত।
আসলে দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়া এমন এক গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার বোধ হয় শেষ নেই। সেই ২০ বছর আগে থেকে চলে এসেছে। এর আগে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পূর্বাভাসের সঙ্গে বলা হতো, ‘যদি আর কোনো নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার না হয়।’ কিন্তু এবার তেমন কিছু বলা হয়নি। অথচ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, বাংলাদেশের সব গ্যাস তো এখন পর্যন্ত আবিষ্কারই হয়নি। ফুরিয়ে যাবে কী করে!
এ কথা সত্য যে, নতুন আবিষ্কার না হলে অচিরেই গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু অব্যাহতভাবে নতুন আবিষ্কারের উদ্যোগ থাকলে আমাদের দেশের গ্যাস কবে ফুরাবে, তা বলার সময় এখনো অনেক দূরে। কেননা, এখানে নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারের অমিত সম্ভাবনা বিদ্যমান। একমাত্র ভোলা দ্বীপের কিয়দংশ ছাড়া আমাদের সুবিশাল বেঙ্গল বেসিনে এখন পর্যন্ত কোনো অনুসন্ধানই চালানো হয়নি। অথচ ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, বেঙ্গল বেসিন অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। সেখানে অনুসন্ধান চালানো হলে দেশের গ্যাস খাতের চিত্র আমূল পাল্টে যেতে পারে।
ভোলা ছাড়া আমাদের সবগুলো গ্যাসক্ষেত্রের আধার সুরমা বেসিনেও অনেক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অনুসন্ধানের বাইরে পড়ে আছে। এর মধ্যে ছাতক একটি ‘টিসিএফ ফিল্ড’ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস। জকিগঞ্জ আবিষ্কৃত ক্ষেত্র। কিন্তু গ্যাস তোলা হচ্ছে না। সুনেত্র, নতুন স্থান নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট গভীরতায় কূপ খনন করলে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
বিদ্যমান একাধিক ক্ষেত্রে গভীরতর কূপ খনন করলে (ডিপার জোন এক্সপ্লোরেশন, ৫ হাজার মিটার+) প্রচুর গ্যাস পাওয়া নিশ্চিত। সমুদ্রবক্ষের সম্ভাবনা ছাড়াই এতগুলো সম্ভাবনাময় বিকল্প আমাদের হাতে রয়েছে। অথচ আমরা কিনা হিসাব করছি গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ!
দেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চলসমূহে গ্যাসের অনুসন্ধান ও আহরণ বাড়ানোর কথা উঠলেই সরকারি মহলে একধরনের অনীহা কিংবা এসব সম্ভাবনা সম্পর্কে অনাস্থা লক্ষ করা যায়। এর কারণ, অনেকে বলেন, আমদানি উৎসাহিত করা। আমদানি উৎসাহিত করার কারণ কী, তা-ও অনেকে বলেন এবং মানুষ তা বিশ্বাস করে। দেশের সম্ভাবনায় যাদের অনাস্থা তাঁদের জন্য আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা যেতে পারে।
২০১৭ সালে গুস্তাভসন অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সরকার একটি সমীক্ষা করিয়েছিল। তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনে ৯২ শতাংশ সম্ভাবনায় ৩৪ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইউরোপের অপর একটি তেল-গ্যাস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান র্যাম্বলও বলেছে প্রায় একই রকম সম্ভাবনার কথা।
ফরাসি প্রতিষ্ঠান স্লামবার্জার বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে বলা হয়, বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোর পুরোনো কূপসমূহে কিছু সংস্কার কাজ করে সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো যায়।
অতি সম্প্রতি নরওয়েভিত্তিক বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি ইকুইনরের (সাবেক স্টেট অয়েল) সঙ্গে বাংলাদেশ মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি গবেষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর গবেষণা তহবিলের অর্থায়নে। এর ফলাফল হচ্ছে, উত্তোলন বন্ধ করে রাখা ৩০টি কূপে এখনো প্রচুর গ্যাস মজুত আছে, যা সেকেন্ডারি রিকভারি প্রযুক্তির মাধ্যমে তোলা সম্ভব। তাতে এই ৩০টি কূপ থেকে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন বা ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে গ্যাসের ঘাটতিও এই পরিমাণই।
এই যে সম্পদ, এর সঙ্গে বেঙ্গল বেসিন, সুরমা বেসিনের অনাবিষ্কৃত অঞ্চলসমূহ—এগুলো সবই কিন্তু আমাদের ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের বাইরের। তাহলে ১০-১২ বছরের মধ্যে গ্যাস ফুরাবে কেন এবং কীভাবে!
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এবং পেট্রোবাংলার যৌথ উদ্যোগে করা সমীক্ষা; নরওয়েজীয় পেট্রোলিয়াম ডিরেক্টরেট এবং হাইড্রোকার্বন ইউনিটের যৌথ সমীক্ষার কথাও উল্লেখযোগ্য। এসব সমীক্ষায় ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত এবং সমুদ্রবক্ষ ছাড়াই প্রচুর গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা অনুসন্ধান করিনি। অথচ অন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের তুলনায় গ্যাস অনুসন্ধান বেশি লাভজনক ও আর্থসামাজিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাস যথেষ্ট পরিমাণে আছে। অনুসন্ধানের জন্য টাকার সংস্থানও করা আছে ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’-এ। জনবল আংশিক আছে। বাকি জনবলের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা যায়। দরকার নীতিনির্ধারকদের সুনজর। এই অভাবটুকু ঘুচলে অচিরেই দেশের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার কথা এমন এক গল্পকথায় পরিণত হবে, প্রকৃত পক্ষেই যে গল্পের শেষ নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে