শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে ইউনিয়নের একটি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন স্থানীয়রা। গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সালাম হাওলাদার ও হারুন হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরোধ প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও দলীয় সিদ্ধান্তে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে হারুন অর রশিদ ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছিলেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৯টি ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদের ৪৮ প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিতলিয়া ইউপির নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এরই জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আব্দুস সালামের সমর্থক মজুমদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা লিটন ব্যাপারীকে কুপিয়ে আহত করেন হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা।
বুধবার সকালে মানিক হাওলাদারের নেতৃত্বে ছালাম হাওলাদারের সমর্থকেরা চিতলিয়া এলাকার একটি বাজারে থাকা হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। তখন উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অন্তত শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৪২ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পালং থানা–পুলিশ ও আঙ্গারিয়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে এমদাদ চৌকিদার, হাসেম মাতুব্বর, রাশেদ মাতুব্বর ও নুরুল আমীন ব্যাপারীকে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গতকাল পারিবারিক বিরোধে লিটন ব্যাপারী নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করেন তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। এ ঘটনার জেরে সালাম ও মানিক হাওলাদারের লোকজন বিনা উসকানিতে আমার লোকজনের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এতে আমার ২৫ সমর্থক আহত হয়েছেন।
চিতলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা মঙ্গলবার আমার সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছেন। বুধবার আমার চাচাতো ভাইকে স্থানীয় বাজারে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা। বাজারে গেলে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তখন আমার লোকজন হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। তাঁদের হামলায় আমার ১৭ কর্মী–সমর্থক আহত হয়েছেন।
পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে ইউনিয়নের একটি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন স্থানীয়রা। গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সালাম হাওলাদার ও হারুন হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরোধ প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও দলীয় সিদ্ধান্তে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে হারুন অর রশিদ ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছিলেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৯টি ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদের ৪৮ প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিতলিয়া ইউপির নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এরই জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আব্দুস সালামের সমর্থক মজুমদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা লিটন ব্যাপারীকে কুপিয়ে আহত করেন হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা।
বুধবার সকালে মানিক হাওলাদারের নেতৃত্বে ছালাম হাওলাদারের সমর্থকেরা চিতলিয়া এলাকার একটি বাজারে থাকা হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। তখন উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা অন্তত শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৪২ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পালং থানা–পুলিশ ও আঙ্গারিয়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে এমদাদ চৌকিদার, হাসেম মাতুব্বর, রাশেদ মাতুব্বর ও নুরুল আমীন ব্যাপারীকে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গতকাল পারিবারিক বিরোধে লিটন ব্যাপারী নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করেন তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। এ ঘটনার জেরে সালাম ও মানিক হাওলাদারের লোকজন বিনা উসকানিতে আমার লোকজনের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এতে আমার ২৫ সমর্থক আহত হয়েছেন।
চিতলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা মঙ্গলবার আমার সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছেন। বুধবার আমার চাচাতো ভাইকে স্থানীয় বাজারে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা। বাজারে গেলে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তখন আমার লোকজন হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। তাঁদের হামলায় আমার ১৭ কর্মী–সমর্থক আহত হয়েছেন।
পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে