ড. এম তারিক আহসান
যেকোনো দেশের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয় সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে। বাংলাদেশেও প্রথমবারের মতো ১০ বছর (২০১৭-২০২৭) সময় নিয়ে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিবেচনায় এবারের নতুন শিক্ষাক্রম কিন্তু আগের যেকোনো শিক্ষাক্রম প্রণয়নের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় এই বড় রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই। নতুন শিক্ষাক্রম কেন প্রয়োজন, তা বিস্তারিত গবেষণালব্ধ ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। এখানে মোটাদাগে প্রধান কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রথমেই দেখা যাক, শিক্ষার সংখ্যাগত অনেকগুলো অর্জন আমাদের আছে। কিন্তু গবেষণা বলে, বর্তমানের প্রচলিত প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো কলোনিয়াল মডেল বজায় রেখে আমরা গুণগত পরিবর্তন আনতে হিমশিম খাচ্ছি। জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (২০২২) রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ বেশি ভাষা ও যোগাযোগ যোগ্যতা এবং দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী গাণিতিক যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ব্যানবেইসের (২০২২) গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭১ শতাংশ অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ ঝরে পড়ে।
ভেবে দেখার বিষয় হলো, ৭০ শতাংশ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীকে অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে বিদেশে পাঠিয়ে বা তৈরি পোশাকশিল্পে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে অর্থনীতি টিকিয়ে রেখেছে। অথচ এদের রূপান্তরিত দক্ষতা অর্জন করানো সম্ভব হলে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আয়ে প্রথম সারির দেশে পরিণত হতে পারত। গণসাক্ষরতা অভিযানের (২০১৪) গবেষণা বলছে, এই মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক হওয়া সত্ত্বেও অভিভাবকদের বিপুল শিক্ষাব্যয় বহন করতে হচ্ছে কোচিং, গাইডবই এবং প্রাইভেট টিউশনির জন্য। ফলে শহর-গ্রাম এবং ধনী-দরিদ্রের শিক্ষায় অংশগ্রহণ এবং সম্পন্ন করায় বৈষম্য বিরাজ করছে। আর মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সহযোগিতা—এসব চর্চার বিষয় শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করে এবং লিখে প্রকাশ করে শেখে। শিক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের এসব বৈষম্য দূর করার জন্য একটি নমনীয় এবং শিক্ষার্থী ও পরিস্থিতিবান্ধব শিক্ষাক্রম অতি প্রয়োজনীয় ছিল।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ‘শ্রমভিত্তিক মডেল’ অবলম্বন করে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে, তা অচিরেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ভবিষ্যতে নতুন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যার কারণে বর্তমান সময়ের অনেক পেশা ও শ্রম অচিরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই চিত্র পাল্টাচ্ছে। শুধু যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করা শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬-৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৮ শতাংশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা এই জনমিতিক সুফল পেতে চাই; কারণ, এরপরে আমাদের বর্ষীয়ান নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। কাজেই অতিসত্বর জনমিতিক সুফল পেতে হলে নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো বিকল্প নেই।
পাকিস্তান আমলে শরীফ কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং কলা বিভাজন সৃষ্টির ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় নবম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ২০-২৫ শতাংশ। এই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক উচ্চমাধ্যমিকে বাণিজ্য বা কলা বিভাগে চলে যায়। এই বিভাজন শিক্ষাব্যবস্থায় ভালো ও খারাপ শিক্ষার্থীর ধারণা এবং বৈষম্য তৈরি করেছে, মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষাকে তাত্ত্বিক ও ল্যাবনির্ভর করে ফেলায় শহর-গ্রামে বিজ্ঞানশিক্ষায় ব্যাপক বৈষম্য তৈরি করেছে; সেই সঙ্গে ছেলেরা বিজ্ঞান পড়বে এবং মেয়েরা কলা পড়বে—এই দর্শনের বৈষম্যমূলক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। এর ফলে বিজ্ঞানমনস্ক, সমস্যা সমাধানে সক্ষম, সৃজনশীল মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া সংকুচিত হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে আমরা কয়টা পেটেন্টের অধিকারী? অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩-এর জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীন থাকছে প্রায় ৮ লাখ তরুণ। সনদসর্বস্ব মুখস্থনির্ভর শিক্ষা মডেল দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম মানুষ তৈরি করতে যেমন পারছে না, তেমনি সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরির মাধ্যমে জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনেও ব্যর্থ হচ্ছে, যা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অপরিহার্যতার দাবি রাখে।
কোভিড-১৯ অতিমারি বর্তমান পৃথিবীর চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে অভিযোজন করতে সক্ষম, সংবেদনশীল, মানবিক, যোগ্য বৈশ্বিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন অপরিহার্য। এই রূপান্তর বৈশ্বিক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়, ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশও তাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবছে। কাজেই রাষ্ট্র ২০৪১-এ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, তা অর্জনের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষায় রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
ড. এম তারিক আহসান: সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটি, এনসিটিবি
যেকোনো দেশের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয় সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে। বাংলাদেশেও প্রথমবারের মতো ১০ বছর (২০১৭-২০২৭) সময় নিয়ে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিবেচনায় এবারের নতুন শিক্ষাক্রম কিন্তু আগের যেকোনো শিক্ষাক্রম প্রণয়নের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় এই বড় রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই। নতুন শিক্ষাক্রম কেন প্রয়োজন, তা বিস্তারিত গবেষণালব্ধ ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। এখানে মোটাদাগে প্রধান কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রথমেই দেখা যাক, শিক্ষার সংখ্যাগত অনেকগুলো অর্জন আমাদের আছে। কিন্তু গবেষণা বলে, বর্তমানের প্রচলিত প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো কলোনিয়াল মডেল বজায় রেখে আমরা গুণগত পরিবর্তন আনতে হিমশিম খাচ্ছি। জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (২০২২) রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ বেশি ভাষা ও যোগাযোগ যোগ্যতা এবং দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী গাণিতিক যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ব্যানবেইসের (২০২২) গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭১ শতাংশ অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ ঝরে পড়ে।
ভেবে দেখার বিষয় হলো, ৭০ শতাংশ ঝরে পড়া শিক্ষার্থীকে অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে বিদেশে পাঠিয়ে বা তৈরি পোশাকশিল্পে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে অর্থনীতি টিকিয়ে রেখেছে। অথচ এদের রূপান্তরিত দক্ষতা অর্জন করানো সম্ভব হলে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আয়ে প্রথম সারির দেশে পরিণত হতে পারত। গণসাক্ষরতা অভিযানের (২০১৪) গবেষণা বলছে, এই মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক হওয়া সত্ত্বেও অভিভাবকদের বিপুল শিক্ষাব্যয় বহন করতে হচ্ছে কোচিং, গাইডবই এবং প্রাইভেট টিউশনির জন্য। ফলে শহর-গ্রাম এবং ধনী-দরিদ্রের শিক্ষায় অংশগ্রহণ এবং সম্পন্ন করায় বৈষম্য বিরাজ করছে। আর মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সহযোগিতা—এসব চর্চার বিষয় শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করে এবং লিখে প্রকাশ করে শেখে। শিক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের এসব বৈষম্য দূর করার জন্য একটি নমনীয় এবং শিক্ষার্থী ও পরিস্থিতিবান্ধব শিক্ষাক্রম অতি প্রয়োজনীয় ছিল।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ‘শ্রমভিত্তিক মডেল’ অবলম্বন করে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে, তা অচিরেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ভবিষ্যতে নতুন অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যার কারণে বর্তমান সময়ের অনেক পেশা ও শ্রম অচিরেই প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই চিত্র পাল্টাচ্ছে। শুধু যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করা শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬-৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৮ শতাংশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা এই জনমিতিক সুফল পেতে চাই; কারণ, এরপরে আমাদের বর্ষীয়ান নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। কাজেই অতিসত্বর জনমিতিক সুফল পেতে হলে নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো বিকল্প নেই।
পাকিস্তান আমলে শরীফ কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং কলা বিভাজন সৃষ্টির ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় নবম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ২০-২৫ শতাংশ। এই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক উচ্চমাধ্যমিকে বাণিজ্য বা কলা বিভাগে চলে যায়। এই বিভাজন শিক্ষাব্যবস্থায় ভালো ও খারাপ শিক্ষার্থীর ধারণা এবং বৈষম্য তৈরি করেছে, মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষাকে তাত্ত্বিক ও ল্যাবনির্ভর করে ফেলায় শহর-গ্রামে বিজ্ঞানশিক্ষায় ব্যাপক বৈষম্য তৈরি করেছে; সেই সঙ্গে ছেলেরা বিজ্ঞান পড়বে এবং মেয়েরা কলা পড়বে—এই দর্শনের বৈষম্যমূলক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। এর ফলে বিজ্ঞানমনস্ক, সমস্যা সমাধানে সক্ষম, সৃজনশীল মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া সংকুচিত হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে আমরা কয়টা পেটেন্টের অধিকারী? অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩-এর জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীন থাকছে প্রায় ৮ লাখ তরুণ। সনদসর্বস্ব মুখস্থনির্ভর শিক্ষা মডেল দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম মানুষ তৈরি করতে যেমন পারছে না, তেমনি সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরির মাধ্যমে জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনেও ব্যর্থ হচ্ছে, যা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অপরিহার্যতার দাবি রাখে।
কোভিড-১৯ অতিমারি বর্তমান পৃথিবীর চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে অভিযোজন করতে সক্ষম, সংবেদনশীল, মানবিক, যোগ্য বৈশ্বিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন অপরিহার্য। এই রূপান্তর বৈশ্বিক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়, ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশও তাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবছে। কাজেই রাষ্ট্র ২০৪১-এ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, তা অর্জনের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষায় রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
ড. এম তারিক আহসান: সদস্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটি, এনসিটিবি
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে