রাব্বিউল হাসান কালাই (জয়পুরহাট)
আমাদের গ্রামটা কি অন্য সব গ্রামের মতো? হয়তো তাই। কিন্তু আমার চোখে তা অদ্বিতীয়।
ভোরের আলোয় মোরগের ডাকে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভেঙে যায় ঘুম। সবুজ শ্যামলে ভরা ছোট গ্রাম। গ্রামটি মূলত দুটি পাড়ায় বিভক্ত। একটিকে বলা হয় চাষাপাড়া, অন্যটি তাঁতিপাড়া। ইট বিছানো রাস্তায় আঁকাবাঁকা পথের দুই পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে গ্রামটি বিশ্রাম নিচ্ছে।
ভোরে কোদাল, কাস্তে নিয়ে কৃষকেরা ছুটে যান ফসলের মাঠে। মাঠে কাজ করার সময় ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেন সবুজ মাঠের বুক চিরে যাওয়া রাস্তার ধারে খেজুরগাছ, শিশুগাছ ও বটগাছের ছায়ায়।
গ্রামে রয়েছে অসংখ্য বাঁশবাগান।
অনেক পরিবার বংশপরম্পরায় তাঁতের কাজে জড়িত। গৃহিণীরা সেই তাঁতযন্ত্রে বসে ঠকঠক শব্দে শুরু করেন তাঁতের কাজ। তাঁতের কাজ করলেও তাঁরা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত।
ওই যা! আমাদের গ্রামের নামটিই তো বলা হয়নি! বলছি। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বফলগাড়ী হলো আমাদের গ্রাম।
এ গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করেন। ধান ও আলু তাঁদের প্রধান ফসল। সরিষা, আদা, রসুন, মরিচ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজিরও চাষ করেন তাঁরা। গ্রামের শিক্ষিত যুবকেরা চাকরির পেছনে না ছুটে গর্বের সঙ্গে করছেন ব্যবসা ও কৃষিকাজ। এখানকার জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। গ্রামে রয়েছে পোলট্রি, মাছ, গাভির খামার।
প্রবীণেরা বলেন, এই গ্রামটির গোড়াপত্তন কবে হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে গ্রামের মধ্যে প্রাচীন একটি পুকুর ‘বফলগাড়ী’ ঘিরেই এই গ্রামে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। গ্রামের নাম বফলগাড়ী এ কারণেই। এই গ্রামে প্রায় ৫০০ ঘর। এখনো রয়েছে মাটির তৈরি টিনের ছাউনি দিয়ে বৈঠকখানা। যে বৈঠকখানায় বসানো হতো গ্রাম্য সালিস।
কালাই উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থান গ্রামটির। গ্রামটিতে ঢোকার মুখে সোনালি সবুজ ফসলের মাঠ। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ। গ্রামটিতে রয়েছে একটি ঈদগাহ মাঠ ও দুটি মসজিদ। রয়েছে সৈয়দ মোকাররবিন ছাহেবে চিশতী (র.) সুফি সাধকের মাজার। আর এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর চৈত্র মাসের ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ওরস।
দইয়ের জন্য বিখ্যাত ছিল এই গ্রাম। এখন দইয়ের কারিগরেরা পেশা বদল করে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
একসময় সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ে উঠানে কুপি ও হারিকেনের আলোয় ইজ্জত আলী দফাদার ও সরাফত আলীর পুঁথি, কিচ্ছার গল্প শুনতে ভিড় জমে যেত খেটে খাওয়া মানুষগুলোর। গ্রামে বসত পালাগানের আসর। সেই গানের আসরে বাউল, মুর্শিদি, জারিগান পরিবেশন করা হতো। মঞ্চস্থ হতো নাটক। সেই নাটক দেখতে আসত আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এখন তা অতীত।
গ্রামের শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে যায়।
একসময় মাটির তৈরি ঘরকে বলা হতো এসি ঘর। অথচ এখন এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির ঘর ভেঙে গড়ে উঠছে ইটের তৈরি দালানবাড়ি। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। এখন গোয়ালভরা গরু, গোলাভরা ধান, বাড়িভরা আলু। ফসল ঘরে তোলার পরে ফাঁকা মাঠে ফুটবল ও পিচ তৈরি করে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠে কিশোরের দল। প্রতিটি বাড়িতে এখন সচ্ছলতার হাসি।
আমাদের গ্রামটা কি অন্য সব গ্রামের মতো? হয়তো তাই। কিন্তু আমার চোখে তা অদ্বিতীয়।
ভোরের আলোয় মোরগের ডাকে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভেঙে যায় ঘুম। সবুজ শ্যামলে ভরা ছোট গ্রাম। গ্রামটি মূলত দুটি পাড়ায় বিভক্ত। একটিকে বলা হয় চাষাপাড়া, অন্যটি তাঁতিপাড়া। ইট বিছানো রাস্তায় আঁকাবাঁকা পথের দুই পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে গ্রামটি বিশ্রাম নিচ্ছে।
ভোরে কোদাল, কাস্তে নিয়ে কৃষকেরা ছুটে যান ফসলের মাঠে। মাঠে কাজ করার সময় ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেন সবুজ মাঠের বুক চিরে যাওয়া রাস্তার ধারে খেজুরগাছ, শিশুগাছ ও বটগাছের ছায়ায়।
গ্রামে রয়েছে অসংখ্য বাঁশবাগান।
অনেক পরিবার বংশপরম্পরায় তাঁতের কাজে জড়িত। গৃহিণীরা সেই তাঁতযন্ত্রে বসে ঠকঠক শব্দে শুরু করেন তাঁতের কাজ। তাঁতের কাজ করলেও তাঁরা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত।
ওই যা! আমাদের গ্রামের নামটিই তো বলা হয়নি! বলছি। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বফলগাড়ী হলো আমাদের গ্রাম।
এ গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করেন। ধান ও আলু তাঁদের প্রধান ফসল। সরিষা, আদা, রসুন, মরিচ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজিরও চাষ করেন তাঁরা। গ্রামের শিক্ষিত যুবকেরা চাকরির পেছনে না ছুটে গর্বের সঙ্গে করছেন ব্যবসা ও কৃষিকাজ। এখানকার জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। গ্রামে রয়েছে পোলট্রি, মাছ, গাভির খামার।
প্রবীণেরা বলেন, এই গ্রামটির গোড়াপত্তন কবে হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে গ্রামের মধ্যে প্রাচীন একটি পুকুর ‘বফলগাড়ী’ ঘিরেই এই গ্রামে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। গ্রামের নাম বফলগাড়ী এ কারণেই। এই গ্রামে প্রায় ৫০০ ঘর। এখনো রয়েছে মাটির তৈরি টিনের ছাউনি দিয়ে বৈঠকখানা। যে বৈঠকখানায় বসানো হতো গ্রাম্য সালিস।
কালাই উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থান গ্রামটির। গ্রামটিতে ঢোকার মুখে সোনালি সবুজ ফসলের মাঠ। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ। গ্রামটিতে রয়েছে একটি ঈদগাহ মাঠ ও দুটি মসজিদ। রয়েছে সৈয়দ মোকাররবিন ছাহেবে চিশতী (র.) সুফি সাধকের মাজার। আর এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর চৈত্র মাসের ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ওরস।
দইয়ের জন্য বিখ্যাত ছিল এই গ্রাম। এখন দইয়ের কারিগরেরা পেশা বদল করে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
একসময় সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ে উঠানে কুপি ও হারিকেনের আলোয় ইজ্জত আলী দফাদার ও সরাফত আলীর পুঁথি, কিচ্ছার গল্প শুনতে ভিড় জমে যেত খেটে খাওয়া মানুষগুলোর। গ্রামে বসত পালাগানের আসর। সেই গানের আসরে বাউল, মুর্শিদি, জারিগান পরিবেশন করা হতো। মঞ্চস্থ হতো নাটক। সেই নাটক দেখতে আসত আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এখন তা অতীত।
গ্রামের শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে যায়।
একসময় মাটির তৈরি ঘরকে বলা হতো এসি ঘর। অথচ এখন এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির ঘর ভেঙে গড়ে উঠছে ইটের তৈরি দালানবাড়ি। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। এখন গোয়ালভরা গরু, গোলাভরা ধান, বাড়িভরা আলু। ফসল ঘরে তোলার পরে ফাঁকা মাঠে ফুটবল ও পিচ তৈরি করে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠে কিশোরের দল। প্রতিটি বাড়িতে এখন সচ্ছলতার হাসি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে