সম্পাদকীয়
প্রবল ছাত্র গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর দেশে সব ধরনের জুলুম-অত্যাচারের অবসান ঘটবে এবং দ্রুত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হলেও এমন সব হৃদয়বিদারক নৃশংস ঘটনা ঘটছে, যেগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এক ভয়াবহ মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর একের পর এক পিটিয়ে হত্যার যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু নিন্দনীয় নয়, এগুলো অবশ্যই বর্জনীয়। চরম অপরাধীরও যেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে, সেখানে কাউকেই সন্দেহের বশে কিংবা অন্য কোনো কারণে পিটিয়ে হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে দুই দফায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রায় একইভাবে জাবির একদল শিক্ষার্থীর দফায় দফায় মারধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা প্রাণ হারান।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্গু আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে। আট বছর আগে আরেক হামলায় তিনি একটি পা হারান। ৫ আগস্ট ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে রাস্তায় পেয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়া গত কয়েক দিনে আরও কয়েকটি মব জাস্টিস বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে একাধিক ব্যক্তির আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গন, সরকারি অফিস, এমনকি আদালত প্রাঙ্গণেও হামলা, নির্যাতন বা লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষকসহ অনেককে জোর করে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ ও ভবনে আসামিদের ওপর চড়াও হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে চোর সন্দেহে একজনকে ও ছাত্রলীগ করার অপরাধে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। প্রতিবাদমুখর হয়েছে সংস্কার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সদ্য গঠিত সংগঠনগুলো। কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারীরা এ ধরনের ঘটনার নিন্দা করে নির্যাতনকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়কসহ আটজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ের কারণে অভিযুক্তরা যেন ছাড় না পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। হত্যাকাণ্ড আর মব জাস্টিস কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান না নিতে পারলে এই ভয়াবহতা বাড়তে থাকবে।
প্রবল ছাত্র গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর দেশে সব ধরনের জুলুম-অত্যাচারের অবসান ঘটবে এবং দ্রুত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হলেও এমন সব হৃদয়বিদারক নৃশংস ঘটনা ঘটছে, যেগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এক ভয়াবহ মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর একের পর এক পিটিয়ে হত্যার যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু নিন্দনীয় নয়, এগুলো অবশ্যই বর্জনীয়। চরম অপরাধীরও যেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে, সেখানে কাউকেই সন্দেহের বশে কিংবা অন্য কোনো কারণে পিটিয়ে হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে দুই দফায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রায় একইভাবে জাবির একদল শিক্ষার্থীর দফায় দফায় মারধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা প্রাণ হারান।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্গু আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে। আট বছর আগে আরেক হামলায় তিনি একটি পা হারান। ৫ আগস্ট ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে রাস্তায় পেয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়া গত কয়েক দিনে আরও কয়েকটি মব জাস্টিস বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে একাধিক ব্যক্তির আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গন, সরকারি অফিস, এমনকি আদালত প্রাঙ্গণেও হামলা, নির্যাতন বা লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষকসহ অনেককে জোর করে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ ও ভবনে আসামিদের ওপর চড়াও হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে চোর সন্দেহে একজনকে ও ছাত্রলীগ করার অপরাধে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। প্রতিবাদমুখর হয়েছে সংস্কার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সদ্য গঠিত সংগঠনগুলো। কোটাবিরোধী ও হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারীরা এ ধরনের ঘটনার নিন্দা করে নির্যাতনকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়কসহ আটজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ের কারণে অভিযুক্তরা যেন ছাড় না পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। হত্যাকাণ্ড আর মব জাস্টিস কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান না নিতে পারলে এই ভয়াবহতা বাড়তে থাকবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে